“এক-দুইদিনের মধ্য বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়বে এবং দামও কমবে,” বলেন এক আড়তদার।
Published : 25 Aug 2024, 05:32 PM
বন্যার কারণে চট্টগ্রামে পণ্য সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় সবজির দর ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। তবে একদিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দর কেজিতে কমেছে ৪০০ টাকা পর্যন্ত।
নগরীর রেয়াজুদ্দিন বাজারে রোববার দুপুরে কাঁচা মরিচের দর ছিল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে। শনিবার এ দর ছিল মানভেদে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা।
বন্যার মধ্যে সরবরাহ ঘাটতির কথা বলে শনিবার আসকারদীঘির পাড় কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। পরদিন সেখানে তা ৬০০ টাকায় বেচতে দেখা গেছে।
সেখানকার খুচরা বিক্রেতা রহিম বলেন, “রেয়াজুদ্দিন বাজারের আড়তে কম দামে কিনেছি, সেকারণে আজকে খুচরায় কমে বিক্রি করছি।”
নগরীর ঝাউতলা কাঁচাবাজারে রোববার সকালে কাঁচামরিচ ৫৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছিল। এছাড়া নগরীর আন্দরকিল্লা এলাকার সবজি বিক্রির ভ্যানগুলোতেও একই দরে মরিচ বিক্রি হতে দেখা গেছে।
কাঁচামরিচের দাম কমলেও অন্যান্য সবজির দরে উর্ধমুখী প্রবণতা অব্যাহত আছে চট্টগ্রামে।
রোববার রেয়াজুদ্দিন বাজারের খুচরা দোকানিরা বরবটি প্রতি কেজি ১৪০ টাকা, করলা ১২০ টাকা, ঢেঁড়শ ৮০ টাকা, কাকরোল ১২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা, ঝিঙা ১০০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, লাউ ৬০ টাকা, বেগুন ৯০ টাকা, আলু ৬০ টাকা এবং পটল ৫০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়।
শনিবারেও অন্যতম বড় এ পাইকারি ও খুচরা বাজারে এসব সবজি ৫ থেকে ১০ টাকা কমবেশি ছিল।
একই সময়ে আসকার দীঘির পাড় কাঁচাবাজারে খুচরা দোকানিরা বরবটি প্রতি কেজি ১৫০ টাকা, করলা ১২০ টাকা, ঢেঁড়শ ৮০ টাকা, কাকরোল ১৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৭০ টাকা, ঝিঙা ১০০, কাঁচা পেপে ৬০ টাকা, লাউ ৬০ টাকা, বেগুন ১০০ টাকা, আলু ৭০ টাকা এবং পটল ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
ঝাউতলা কাঁচাবাজারে খুচরা দোকানিরা বরবটি প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, করলা ১২০ টাকা, ঢেঁড়শ ৮০ টাকা, কাকরোল ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা, ঝিঙা ১০০ টাকা, লাউ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, বেগুন ১০০ টাকা, আলু ৬৫ টাকা এবং পটল ৫০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়।
রেয়াজুদ্দিন বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা হাসান বলেন, “রোববারেও সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি, তাই দাম বাড়তি আছে।”
এই বাজারের এক আড়তদার বলেন, “বৃষ্টিতে যোগাযোগ ব্যবস্থার সংকট থাকায় সরবরাহ কম, তাই দামও বাড়তির দিকে। এক-দুইদিনের মধ্য বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়বে এবং দামও কমবে।”