বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঝরেছে ১৪৯.৬ মিলিমিটার।
Published : 01 Aug 2024, 01:50 PM
চট্টগ্রামে বুধবার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি রাতে ঝরে মুষুলধারে; বৃহস্পতিবার দুপুর গড়ালেও থামেনি সেই বৃষ্টি। তাতে তলিয়ে গেছে নগরীর বিভিন্ন এলাকা।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আলী আকবর খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১৪৯ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
“মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় এ বৃষ্টিপাত আগামী ২৪ ঘণ্টা থাকতে পারে। পরদিন থেকে কিছুটা কমার সম্ভাবনা আছে।”
সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি, ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি ধরনের ভারি, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে ভারি এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে তাকে বলা হয়ে থাকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত।
টানা বৃষ্টিতে নগরীর চকবাজার, কাপাসগোলা, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, চন্দনপুরা এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে অফিসগামী যাত্রীরা।
বেসরকারি চাকুরে সঞ্জয় চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চকবাজার, বহদ্দারহাট এলাকায় পানি উঠায় যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে। এ রুটে সর্বনিম্ন ভাড়া ৫ টাকা হলেও আজকে অটো টেম্পুগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে ১০ টাকা করে আদায় করছে।”
তার ভাষ্য, বৃষ্টি হলেই এই রুটে পানি ওঠে। তাই এই রুটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ‘স্বাভাবিক’ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চালকরা বলছেন, এলাকা ভেদে হাঁটু পরিমাণ পানি থাকায় কোথাও কোথাও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলতে পারছে না; যার কারণে অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
এদিকে বহদ্দারহাট এলাকায় মূল সড়কের পাশাপাশি বিভিন্ন মার্কেটের নিচতলা প্লাবিত হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর নগরীর কয়েক দশকের পুরনো জলাবদ্ধতা নিরসনে চারটি প্রকল্পের কাজ চলছে। এগুলোর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা।
এর মধ্যে সবচেয়ে বড়টি হল চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-সিডিএ এর ৩৬টি খাল ঘিরে নেওয়া প্রকল্প। শুরুতে এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা। গত বছরের নভেম্বরে সংশোধনের পর প্রকল্প ব্যয় আরও ৩ হাজার ১০ কোটি টাকা বাড়ানো হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড-পাউবো এর অধীনে আরেকটি প্রকল্প চলছে। ‘চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলমগ্নতা/জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিষ্কাশন উন্নয়ন’ নামের প্রকল্পটির খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬২০ কোটি টাকা।
প্রতি বর্ষায় নগরীর চকবাজার, মুরাদপুর, বাকলিয়ার একাংশ, দুই নম্বর গেইট, বহদ্দারহাট, কাপাসগোলা, চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, আছাদগঞ্জ, আগ্রাবাদ, হালিশহরসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।