তাদের অভিযোগ, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ওই বিভাগের শিক্ষকদের পাশ কাটিয়ে অন্য বিভাগের শিক্ষককে সভাপতির পদে রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব অভিযোগ করেন ওই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. শাখাওয়াত হোসেন, সহকারী অধ্যাপক মৌমিতা পাল ও প্রভাষক মো. মাজহারুল ইসলাম।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত বছর ২ জুলাই সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এ.বি.এম. নাজমুল ইসলাম খানকে ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দেয় কর্তৃপক্ষ।
তারা অভিযোগ করেন, এ বছরের ৩০ মার্চ এই বিভাগ থেকে দুইজন পদোন্নতি পেয়ে সহকারী অধ্যাপক হলেও নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে নাজমুল ইসলাম খানকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে তিন শিক্ষক দাবি করেন, বিভাগীয় দুজন শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক পদে থাকা অবস্থায় অন্য বিভাগের শিক্ষককে সভাপতি রাখা চবি অ্যাক্ট ১৯৭৩ এর সংবিধির ধারা ৭ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
গত ২৪ নভেম্বর বিভাগের সভাপতিকে মাধ্যম করে রেজিস্ট্রার বরাবর বিভাগীয় শিক্ষকদের মধ্য থেকে সভাপতি করার আহ্বান জানিয়ে চিঠি দেওয়া হলেও তা রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠানো হয়নি বলে অভিযোগ তাদের।
রেজিস্ট্রার দপ্তরে এ চিঠির আগাম অনুলিপি দিতে গেলেও তা গ্রহণ করা হয়নি জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনাও হয়েছে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সে আবেদন অগ্রাহ্য করে সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক নাজমুল ইসলাম খানকেই বিভাগীয় সভাপতি হিসেবে মেনে নিতে পরামর্শ দেয়।
তিন শিক্ষক অভিযোগ করেন, সোমবার বিভাগীয় সভাপতি নৈমিত্তিক ছুটিতে যাওয়ার সময় রেজিস্ট্রার বরাবর দেওয়া চিঠিতে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন মহোদয়কে সভাপতির ‘রুটিন দায়িত্ব’ দেওয়ার অনুরোধ করেন। যা নজিরবিহীন এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইনের গুরুতর লঙ্ঘন।
এ বিষয়ে জানতে ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের সভাপতি ও সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এ.বি.এম. নাজমুল খানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান তিন শিক্ষকের অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখানে নিয়মের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।
“ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগে সভাপতির যোগ্যতা না থাকার কারণে অন্য বিভাগ থেকে একজন শিক্ষককে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”
সভাপতি নিয়োগে নিয়মের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “সম্প্রতি ওই বিভাগের দুইজন শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক হয়েছেন। এখন ওনারা সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার যোগ্য হয়েছেন। সেক্ষেত্রে তাদের অপেক্ষা করতে হবে।
“কারণ যাকে বর্তমানে সভাপতি হিসেবে রাখা হয়েছে, তার সময়সীমা শেষ হয়নি। সময়সীমা শেষ হলেই তারা সভাপতির দায়িত্ব পাবেন।”