চট্টগ্রামের সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আ স ম শহীদুল্লাহ কায়সার সোমবার এ আদেশ দেন।
সাক্ষ্য গ্রহণ শুরুর জন্য আদালত ২৩ জানুয়ারি দিন রেখেছেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রুবেল পাল জানান।
অভিযোগ গঠনের শুনানির আগে কাশিমপুর কারাগার থেকে আসলাম চৌধুরীকে আদালতে হাজির করা হয়।
রুবেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অভিযোগ গঠনের সময় আসলাম চৌধুরীসহ ৭ জন আসামি উপস্থিত ছিলেন। বাকি ৪৯ জন পলাতক। আসামিরা সবাই বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড পৌর সদরের গোডাউন রোড এলাকায় ২০১৩ সালের ৮ নভেম্বর যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এই মামলা করে পুলিশ।
ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ‘বাংলাদেশের সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগে ২০১৬ সালের ১৫ মে ঢাকার খিলখেত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সেসময়ের আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরী।
এরপর রাষ্ট্রদ্রোহের দুই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে নাশকতা, চেক প্রতারণাসহ বিভিন্ন মামলায় তাকে আসামি করা হয়।
চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম নগর, উত্তর ও দক্ষিন জেলা বিএনপির এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, আসলাম চৌধুরীকে আটকে রাখার ‘কৌশল নিয়েছে সরকার’।
তাই তাকে একশরও বেশি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় বলে জানান বিএনপি নেতারা।