বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক শেখ আশফাকুর রহমান আসামি প্রদীপের উপস্থিতিতে শুনানি করে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক জানান, মামলার অপর আসামি প্রদীপের স্ত্রী পলাতক চুমকি কারণকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারির আদেশ দেওয়া হয়েছে।
“আজকে মামলার ধার্য তারিখ ছিল। আসামি পক্ষ থেকে জামিনের আবেদন করা হয়। আমরা আপত্তি করেছি। মাননীয় আদালত বিস্তারিত শুনে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন।
“যেহেতু অপর আসামি, উনার স্ত্রী পলাতক, তাই দুদক আইন অনুসারে আমরা গেজেট নোটিফিকেশনের আবেদন করেছি। সেই আবেদনটি মঞ্জুর করেছেন আদালত।”
গত ১ সেপ্টেম্বর এ মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আদালত। সেদিনও প্রদীপের জামিন আবেদন নাকচ করা হয়। পাশাপাশি চুমকির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি এবং তার মালামাল জব্দ করার নির্দেশ দেয় আদালত।
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন গত ২৮ জুলাই প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
সম্পদ বিবরণীতে ৪৯ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫৭ টাকা সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দেয়া এবং ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার জ্ঞাত আয় বর্হিভূত অর্জন ও অন্যকে হস্তান্তরের অভিযোগ আনা হয় অভিযোগপত্রে।
এতে মোট ২৯ জনকে সাক্ষী করা হয়। এর আগে কয়েক দফায় এই মামলার তদন্ত শেষ করতে আদালতে সময়ের আবেদন করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন।
ওই ঘটনার পর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস গত ৫ অগাস্ট কক্সবাজারের হাকিম আদালতে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেখানে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলিকে ১ নম্বর এবং টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে ২ নম্বর আসামি করা হয়।
মামলা হওয়ার পর ওসি প্রদীপসহ সাত পুলিশ সদস্য ৬ অগাস্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর প্রদীপকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এরপর গত বছরের ২৩ অগাস্ট দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এই মামলা করেন।
সিনহা হত্যা মামলায় প্রদীপসহ ১৫ আসামির বিচার চলছে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে।
আরও পড়ুন