সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান শুনানি শেষে প্রদীপকে দুদকের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা ওসি প্রদীপের জামিন এবং সুচিকিৎসার আবেদন করেছেন।
প্রদীপ কুমার দাশকে এদিন কড়া নিরাপত্তার মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ২৩ অগাস্ট প্রদীপের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রদীপের সঙ্গে তার স্ত্রী চুমকি কারণকেও আসামি করা হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে তিন কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়। চুমকি এখনো পলাতক রয়েছেন।
কক্সবাজারের টেকনাফের কাছে বাহারছড়া চেকপোস্টে গত ৩১ জুলাই রাতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
ওই ঘটনার পর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস গত ৫ অগাস্ট কক্সবাজারের হাকিম আদালতে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেখানে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলিকে ১ নম্বর এবং টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে ২ নম্বর আসামি করা হয়।
প্রদীপ এবং কক্সবাজারের এসপি এবিএম মাসুদ হোসেনসহ আটজনের ব্যাংক হিসাবও স্থগিত করা হয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের নির্দেশে।
দুদকের মামলায় হাজিরার জন্য প্রদীপ কুমার দাশকে গত শনিবার কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে আসা হয়।