ওসি প্রদীপকে কক্সবাজার কারাগারে স্থানান্তর

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার আসামি টেকনাফের বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কক্সবাজার কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 June 2021, 08:38 AM
Updated : 13 June 2021, 11:15 AM

বৃহস্পতিবার তাকে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার দেওয়ান মো. তারিকুল ইসলাম।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ওসি প্রদীপের মামলাগুলো কক্সবাজারে। সেসব মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য তাকে কক্সবাজার কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।”

কক্সবাজারের টেকনাফের কাছে বাহারছড়া চেকপোস্টে গত বছরের ৩১ জুলাই রাতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

ওই ঘটনার পর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস ৫ অগাস্ট কক্সবাজারের হাকিম আদালতে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেখানে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে এক নম্বর এবং টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে দুই নম্বর আসামি করা হয়।

মামলা হওয়ার পর ওসি প্রদীপসহ সাত পুলিশ সদস্য ৬ অগাস্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর প্রদীপকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

একই বছরের ২৩ অগাস্ট দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদি হয়ে ওসি প্রদীপের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় ওসি প্রদীপের সঙ্গে তার স্ত্রী চুমকি কারণকেও আসামি করা হয়েছে।

তাদের বিরুদ্ধে তিন কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়।

দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭ (১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন- ২০১২ এর ৪(২) ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলাটি করা হয়।

সিনহা হত্যা মামলার পাশাপাশি ১৪ সেপ্টেম্বর টেকনাফের বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে চট্টগ্রামে দুদকের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এরপর থেকে ওসি প্রদীপ চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন।

গত ১৩ ডিসেম্বর সিনহা হত্যা মামলায় প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলীসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজারের আদালতে অভিযোগপত্র দেয় র‌্যাব।