বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে এবারের ঈদের প্রথম জামাত হয়। প্রথম ও প্রধান জামাতে ইমামতি করেন মসজিদের খতিব সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দিন আল কাদেরী।
ঈদের নামাজ শেষে মোনাজাতে করোনাভাইরাস মহামারী থেকে দেশ ও জাতির মুক্তি কামনা করে প্রার্থনা করা হয়।
অন্যবার ঈদের নামাজে চট্টগ্রামের সব রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা এক কাতারে শামিল হতেন। কিন্তু গত বছর মহামারী শুরুর পর থেকে সে চিত্র পাল্টেছে।
তবে চট্টগ্রামের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে আর কেউ সেখানে ছিলেন না। অন্যরা নিজ নিজ এলাকার মসজিদে নামাজ পড়েন।
মসজিদের ভিতর স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করতে আগেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সরকারের তরফ থেকে। সে অনুসারে এবার জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের ভেতরেই ছিল মুসল্লিদের সারি। প্রাঙ্গণ ছাপিয়ে মাঠ পর্যন্ত সে সারি দীর্ঘ হয়নি।
নামাজ পড়তে আসা অনেকের হাতে স্যানিটাইজার দিতে দেখা গেছে। নামাজে অংশগ্রহণকারীরা বেশিরভাগই নিজেদের জায়নামাজ নিয়ে এসেছিলেন। শিশুদের অংশগ্রহণও ছিল অন্যবারের চেয়ে কম।
সকাল সাড়ে ৮টায় জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে দ্বিতীয় জামাত হয়। এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) ৪১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে একটি করে মসজিদে ঈদ জামাত হয়েছে।
লালদীঘি শাহী জামে মসজিদে ঈদ জামায়াত হয়েছে সকাল সাড়ে ৭টায়। সকাল সাড়ে সাতটায় সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, হযরত শেখ ফরিদ চশমা মসজিদ, চকবাজার সিটি করপোরেশন জামে মসজিদ ও সিসিসি মা আয়েশা সিদ্দিকা জামে মসজিদে ঈদ জামাত হয়।
নামাজ শেষে সবাই নগরীর বিভিন্ন এলাকায় নিজেদের বাসা-বাড়িতে ফেরেন। তারপর শুরু হয় পশু কোরবানির পর্ব।