বন্দরনগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার গভীর রাতে মো. মহিবুল্লাহ নামে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
৫৪ বছর বয়েসী মহিবুল্লাহ রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোদলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন।
চট্টগ্রাম জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (রাউজান-রাঙ্গুনিয়া সার্কেল) আনোয়ার হোসেন শামীম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত শনিবার নারায়ণগঞ্জের রিসোর্টে মামুনুল হককে এক নারীসহ ঘেরাওয়ের ঘটনার পর রাঙ্গুনিয়ায় তার সমর্থনে কিছু লোক মিছিল বের করে।
রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি মাহবুব মিল্কী বলেন, “মহিবুল্লাহ, জব্বার ও লিটন সেদিন রিকশায় করে কোদালা বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। তখন মিছিল থেকে তাদের ওপর হামলা করা হয়। স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরাও সে মিছিলে ছিলেন।”
হামলার ওই ঘটনায় আহত আব্দুল জব্বার বাদী হয়ে একটি এবং পুলিশ বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করে। দুই মামলায় ৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৩০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়।
পুলিশ এ পর্যন্ত মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে, যাদের মধ্যে দুইজন এজাহারভুক্ত আসামি বলে জানান এএসপি শামীম জানিয়েছেন।
গত শনিবার বিকালে সোনারগাঁয়ে রয়্যাল রিসোর্টে এক নারীসহ হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে স্থানীয় লোকজন। পরে খবর পেয়ে হেফাজত কর্মীরা ওই রিসোর্টে হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে তাকে নিয়ে যায়।
পরে হেফাজতকর্মীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ভাংচুর চালায়। শতাধিক যানবাহনের পাশাপাশি স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ও ভাংচুর করে তারা।