ভোটে সহিংসতা হলে ছাড় নয়: সিএমপি কমিশনার

আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পুলিশ শক্ত অবস্থানে থাকবে বলে জানিয়েছেন সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Jan 2021, 01:26 PM
Updated : 17 Jan 2021, 01:26 PM

রোববার দামপাড়ায় চট্টগ্রাম নগর পুলিশ সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদেরতিনি এ তথ্য জানান।

চট্টগ্রামে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিতহয়। সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনায় বেশি উঠে আসে আসন্ন সিটিকরপোরেশন নির্বাচনের প্রচারণায় ঘটে যাওয়া বিভিন্ন সহিংস ঘটনা ও নির্বাচনের প্রস্তুতিনিয়ে।

নগরীতে পুলিশী কার্যক্রমের ব্যাপ্তি বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে সিএমপি কমিশনারসালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, “নগরীতে পুলিশ টহল, চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি যেসববিষয় নির্বাচনকে সহিংস করতে পারে সেগুলো প্রতিরোধ করতে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি।

“আমরা একটা কড়া বার্তা দিতে চাই সহিংসতা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”

পুলিশ কমিশনার জানান, বিভিন্ন স্থানে তাৎক্ষনিক চেকপোস্ট হচ্ছে। যেহেতুমোটর সাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা, মাইক্রোবাস এ ধরনের বাহনগুলো সহিংস ঘটনায় সচরাচর ব্যবহারকরা হয় সেজন্য এগুলোকে নজরদারি করা হচ্ছে।

এদিকে জামিনে থাকা অপরাধীদের মাধ্যমে যাতে নির্বাচনী সহিংসতা ও আইন শৃঙ্খলারঅবনতি না ঘটে সেজন্য যে তাদের প্রতিও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

গত ১২ জানুয়ারি নগরীর মোগলটুলি এলাকায় নির্বাচনী সহিংসতায় একজন নিহত এবংশনিবার লালখান বাজার এলাকায় দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনারবিষয় নিয়েও সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন নগর পুলিশ প্রধান তানভীরের কাছে।

সিএমপি কমিশনার বলেন, “মোগলটুলির ঘটনায় আপনারা দেখেছেন আমরা একটুও সময়নিইনি সিদ্ধান্ত নিতে। কাউকে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নাই। আমরা শক্ত অবস্থানে আছি। সেঘটনা তদন্তনাধীন, তাই বেশি কিছু বলছি না। আমরা তদন্ত প্রতিবেদন দিলে আপনার বিষয়টি জানতেপারবেন।”

অল্প দিনের ব্যবধানে দুই এলাকায় এ ধরনের ঘটনায় পুলিশের প্রস্তুতির ঘাটতিআছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আপনাদের একটা বিষয় বুঝতে হবে। ঘোষণা দিয়ে কেউ এ ধরনেরঘটনা ঘটায় না। তাই আমরা বলছি আমাদের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার ঘাটতি নেই। অতীতের যেকোনোনির্বাচনের তুলনায় এবছর আমাদের প্রস্তুতি ইফেকটিভ হবে।

“আমরা কারও নির্বাচনী প্রচারণাকে নিয়ন্ত্রণ করছি না। এটা সবার জন্য উন্মুক্তআছে। আমরা সবাইকে বলেছি আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপানারা আসেন, আমরা মামলা নিব। আমরাকঠোর অ্যাকশন নিব, এ বিষয়ে কাউকে ছাড় আমরা দিব না।”

গত সিটি নির্বাচনে ফেনীসহ আশপাশের জেলা থেকে বহিরাগতরা এসে প্রভাব বিস্তারকরেছিল বলে প্রচার আছে। এবারও সে ধরনের ঘটনা ঘটার শঙ্কা করছে অনেকে।

এ বিষয়ে সিএমপি কমিশনার বলেন, “একটি এলাকায় একটি জেলার লোকের আধিক্য থাকতেপারে সেটা একটা বিষয়। আবার বাইরে থেকে অস্ত্রধারীরা এসে নির্বাচনী পরিবেশ বানচাল করতেচায় সেটা আরেকটা বিষয়। অস্ত্রধারীদের বিষয়ে আমাদের কোনো ছাড় নেই।

“উই আর লুকিং ফর দেম, আমরা দেখছি কারা আসতে পারে। সম্ভাব্য জায়গাগুলোতেআমরা চেকপোস্ট বসিয়েছি এবং হোটেলগুলোতেও ড্রাইভ দিচ্ছি।”

নির্বাচন কমিশন থেকে তালিকা পাওয়ার পর সবকিছু মিলিয়ে ফোর্স মোতায়েনসহ বিভিন্ননিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) ডিআইজি আমেনা বেগম, অতিরিক্ত কমিশনার(অপরাধ ও অভিযান) এসএম মোস্তাক আহমেদ, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথও বিভিন্ন জোনের উপ-কমিশনার, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ও সহকারী কমিশনাররা এ সময় উপস্থিতছিলেন।