বাকলিয়া থানার বিভিন্ন এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার গণমাধ্যমকে এ বিষয়ে জানানো হয়।
গ্রেপ্তার চারজন হলেন- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র মামুন (২৩), বেসরকারি ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুল্লাহ ওয়াহিদ জিহান (২২), রমজান (৩৫) ও আরিফ (২১)।
বাকলিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আল মামুন নামে এক গার্মেন্টেস মেশিনারিজ ব্যবসায়ীকে বৃহস্পতিবার বিকেলে ফোন করে বিভিন্ন ধরনের মালামাল বিক্রির কথা বলে রসুলবাগ আবাসিক এলাকায় একটি বাসার ডেকে নিয়ে যায় তারা। ওই বাসায় আল মামুনকে আটকে রেখে সাতজন মিলে মারধর করে দুই লাখ টাকা দাবি করে।
তিনি আরও জানান, এসময় গ্রেপ্তার হওয়া যুবকরা আল মামুনের পকেটে থাকা ১৫ হাজার টাকাও সাথে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। তারপরও দাবি করা টাকার জন্য মারধর করলে আল মামুন তার এক বন্ধুর মাধ্যমে তাদের মোবাইলে ১০ হাজার টাকা এনে দেয়। তবুও আরও টাকা এবং ক্রেডিট কার্ডের পাসওয়ার্ডের জন্য মারধর করে বলে অভিযোগ আল মামুনের।
ওসি নেজাম জানান, অপহরণকারীরা আল মামুনকে টাকার জন্য ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়ার এবং হত্যার হুমকি দিতে থাকে।
এক পর্যায়ে তারা ঘর থেকে বের হলে আল মামুন কৌশলে ঘর থেকে রাস্তায় বের হয়ে আত্মরক্ষার জন্য চিৎকার শুরু করেন। পথচারীরা এগিয়ে আসলে অপহরণকারী পালিয়ে যায়। লোকজন রমজানকে আটক করার চেষ্টা করলে সে তাদের মারধর করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা তাকে চিনে ফেলে।
ওসি নেজাম আরও জানান, এসময় আল মামুন এক পথচারীর মোবাইল থেকে ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশের সহায়তা চায়।
এরপর গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে কল্পলোক আবাসিক এলাকা থেকে মামুনকে, রাহাত্তার পুল এলাকা থেকে আব্দুলাহ ওয়াহিদ জিহানকে, কালামিয়া বাজার থেকে রমজানকে এবং বাকলিয়া খাল পাড় থেকে আরিফকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে ওসি নেজাম জানান।