আগামী ২২ অগাস্ট থেকে সকল বিনোদন কেন্দ্র দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন মো. ইলিয়াছ হোসাইন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম জেলা করোনাভাইরাস বিষয়ক সমন্বয় কমিটির সভায় বিনোদন কেন্দ্র খোলার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
“বৈঠকে দর্শনার্থীদের মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলকসহ ১৫টি নির্দেশনা দিয়ে বিনোদন কেন্দ্র চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে- পার্কের প্রবেশ পথে জীবানুমুক্তকরণ ট্যানেল স্থাপন, থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে দর্শনার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা, পার্কে প্রবেশের ক্ষেত্রে দর্শনার্থীদের শারিরীক দূরত্ব বজায় রাখা, প্রবেশ পথে নিরাপদ শারিরীক দূরত্বের জন্য এক মিটার পরপর মার্কিং লাইন করা, পার্কে ময়লা ফেলার পাত্র ও স্যানিটাইজার অথবা হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা।
পার্ক খোলার আগে ও পরে এবং মধ্যবর্ত্তী সময়ে বিভিন্ন রাইড, শৌচারগার জীবানুমুক্ত করা, দর্শনার্থীরা শৌচাগার ব্যবহারের পর দরজার হাতল, বেসিন জীবনুমুক্ত করা, রাইডে দর্শনার্থীদের এক আসন পরপর বসানো এবং যে সকল রাইডে শারিরীক দূরত্ব বজায় রাখা যাবে না সেগুলো বন্ধ রাখা।
পার্কের প্রবেশপথ ও রাইডের কাছে তিন জনের বেশি জনসমাগম করতে না দেওয়া, স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে কর্মচারিদের প্রশিক্ষণ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা কাপড় পরা নিশ্চিত করা, পার্কের ভেতরে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত বোর্ড, লিফলেট বিতরণ করা এবং ফুড কর্নারে বসে খাওয়া দাওয়া না করা।
জেলা প্রশাসক বলেন, “বিনোদন কেন্দ্রগুলো এসব নির্দেশনা মানছে কিনা তা তদারকি করতে একটি ‘মনিটরিং টিম’ থাকবে। যদি কেউ না মানে তাহলে সে বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবে।”
দেশে মহামারী করোনভাইরাস সংক্রমণ শুরু হলে গত ১৯ মার্চ থেকে চট্টগ্রামের সব বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ করে দেয় চট্টগ্রামের পুলিশ ও জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকে দেশজুড়ে ‘সাধারণ ছুটি’ ঘোষণা করা হয়।
টানা ‘সাধারণ ছুটির’ পর স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে সীমিত আকারে অফিস-আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য চালু হলেও বিনোদন কেন্দ্র চালুর নির্দেশনা আসে বুধবার।
ঈদ ও বিভিন্ন সরকারি ছুটিতে বিনোদন কেন্দ্রগুলো দশনার্থীদের ভিড় থাকলেও এবছর দুই ঈদের ছুটিতে বিনোদন কেন্দ্রগুলো ছিল ফাঁকা।