‘জাতির ক্রান্তিকালে দক্ষ রাজনীতিকের ভূমিকায় ছিলেন ফজিলাতুন্নেছা মুজিব’

জাতির জনকের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতির কঠিন ক্রান্তিকালে দক্ষ রাজনীতিকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 August 2020, 03:37 PM
Updated : 8 August 2020, 03:37 PM

ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নগরীর থিয়েটার ইন্সটিটিউটে আয়োজিত স্মরণানুষ্ঠানে তিনি বলেন, “মহিয়সী নারী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব শুধু জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী হিসেবে নন, জাতির কঠিন ক্রান্তিকালে একজন দক্ষ রাজনীতিকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে স্বীয় কর্মগুণে ইতিহাসের অংশ হয়ে আছেন।

“তিনি কঠিনকে জয় করার মতো একজন সাহসী যোদ্ধা ছিলেন। বঙ্গবন্ধু যখন কারান্তরে তখন দিশেহারা অগণিত রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের অভিভাবিক হিসেবে টিকে থাকার লড়াইয়ে প্রেরণা যুগিয়ে গেছেন। তাই তিনি আমাদের মাঝে শুধু স্মৃতি নয়, প্রতিদিনের প্রেরণা হয়ে চিরঞ্জীব হয়ে রইবেন।”

স্মরণানুষ্ঠানে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, “শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বঙ্গবন্ধুর উত্তাল রাজনৈতিক জীবনে একজন সার্বক্ষণিক ছায়াসঙ্গী হয়ে কঠিন সময় উত্তরণে মন্ত্রণা, পরামর্শ ও রাজনৈতিক রণকৌশল নির্ধারণে মুখ্য ভূমিকা রেখেছিলেন।

“তিনি এতই দূরদর্শী ছিলেন যে, বঙ্গবন্ধু যখন কারাগারে তখন উনাকে কাগজ-কলম যুগিয়ে দিয়ে লেখালেখি করার তাগিদ দিয়েছিলেন। সেই তাগিদ থেকেই বঙ্গবন্ধুর লেখালেখির ফসল ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ শিরোনামে প্রকাশিত দালিলিক গ্রন্থ হিসেবে অনেক অজানা তথ্য-উপাত্তের ভাণ্ডার উন্মুক্ত করে দিয়েছেন।”

নাছির বলেন, “একজন রাজনৈতিক নেতা তখনই পরিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারেন, যখন তার জীবনসঙ্গীনি নিজের রাজনৈতিক চেতনা, আদর্শ ও স্বপ্ন সাধনার পরিপূরক প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেন। তাই অবশ্যই স্বীকার করতে হবে, জাতির জনকের পরিপূর্ণ রাজনৈতিক জীবনচরিতে অনিবার্য ও অতুলনীয় অংশ হলেন ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।

“আমরা জানি লাহোরে ঊনসত্তর সালে পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীর সাথে গোলটেবিল বৈঠকে যোগদানের জন্য বঙ্গবন্ধুকে প্যারোলে মুক্তির প্রস্তাবনা দিলে বেগম মুজিব জেলগেইটে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন- প্যারোলে মুক্তির প্রস্তাব গ্রহণ করা যাবে না। সেই সময় এটাই ছিল সবচেয়ে কার্যকরী ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। এ সমস্ত কারণে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বাঙালি জাতিসত্তার ইতিহাসের অন্যতম প্রধান তারকা।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী ও আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ রশিদ, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য শফর আলী ও শেখ মাহমুদ ইছহাক, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ ও চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য চন্দন ধর, মোহাম্মদ হোসেন, হাজী জহুর আহমেদ, উপ-প্রচার সম্পাদক শহীদুল আলম, কার্যনির্বাহী সদস্য আবুল মনসুর, পেয়ার মোহাম্মদ, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার প্রমুখ।

স্মরণানুষ্ঠানের আগে কোরআন খতম ও দোয়া হয়।