ইভিএম নিয়ে শঙ্কার কারণ নেই: শাহাদাত

চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে ইভিএম নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Jan 2020, 01:05 PM
Updated : 6 Jan 2020, 01:06 PM

সোমবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে উপনির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে দুপুরে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের সাথে লাভ লেইন এলাকায় চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে সভা করেন শাহাদাত হোসেন চৌধুরী।

সার্কিট হাউজের সভা শেষে সাংবাদিকরা গত জাতীয় নির্বাচনে ইভিএমের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে চট্টগ্রাম-৯ আসনের অনেক কেন্দ্রে ভোট বাধাগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।

জবাবে শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, “ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে ইভিএমে ৬০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে, রূপগঞ্জে ৭০ শতাংশের বেশি। ইভিএম নট ইস্যু। আপনারা চাইলে ইভিএম মেশিন পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।

“ইভিএম নিয়ে শঙ্কা থাকার কোনো কারণ নেই। আমরা এটা ভোটারদের কাছে পরিচিত করছি। ফেইসবুক, ইন্টারনেট, এনড্রয়েড ফোন যারা চালাতে পারে.... ইভিএম কষ্টের কিছু না। সবাইকে উৎসাহিত করা উচিত।”

তিনি বলেন, “আমরা চাই একটা সুষ্ঠু, অবাধ ও আইনানুগ নির্বাচন। সেটা ইভিএমের মাধ্যমে। এজন্য আজ থেকে ওই আসনের ৫৩টি জনসমাগমের স্থানে ইভিএম প্রদর্শন করা হবে।

“পরিচিতির জন্য, যাতে ভোটারদের মধ্যে শঙ্কা-ভয় না থাকে। এই আসনের প্রতিটি কেন্দ্রে দুই দিন আগে (১১ জানুয়ারি) মক ভোটিং হবে। ভোটারদের অনুরোধ করব সময় পেলে নিজস্ব কেন্দ্রে গিয়ে মক ভোটিংয়ে অংশ নিন।”

এর আগে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে সভা শেষে শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, “ইভিএমে আস্থা না থাকার কোনো কারণ নেই। ইভিএমের উপর বেশি আস্থা রাখা উচিত। কারণ সমসাময়িককালের নির্বাচনের ব্যাপারে অনিয়মগুলোর অধিকাংশ ইভিএমের  মাধ্যমে সলভ করা হয়েছে।

“আমরা তো সম্প্রতি ইভিএম চালু করেছি। তার আগে কী নির্বাচন নিয়ে কমপ্লেইন ছিল না? সবকিছুর দায়ভার ইভিএমের উপর না দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও নির্বাচন সংস্কৃতির দিকে নজর দিলে ভালো হবে।”

সেখানে অন্য এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “নির্বাচনে আস্থার বিষয়টি যদি পুরো নির্বাচন কমিশনের ওপর রাখা হয় তাহলে আমরা মনে করি আমাদের ওপর অন্যায় করা হবে।

“রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা নির্বাচনে আসেন। সুতরাং ভালো নির্বাচনের জন্য প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী, ভোটার, গণমাধ্যমকর্মী, সিভিল সোসাইটি সবার ভূমিকা আছে।”

আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে প্রশ্নের জবাবে শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, “র‌্যাব-পুলিশ-আনসার-বিজিবি, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সবাইকে বলেছি- কোনো অঘটন যেন না ঘটে। সুনির্দিষ্ট কঠোর নির্দেশনা দিয়েছি যেন কোনো দুর্ঘটনা বা প্রাণহানি না হয়। ভোট দিয়ে যেন ভোটাররা নিরাপদে বাড়িতে ফিরতে পারে এবং ভোটের পরও যেন নিরাপদ থাকতে পারে।”

চট্টগ্রাম-৮ আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “নির্বাচন খেলার মাঠ। প্রতিদ্বন্দ্বীতা আছে। সবাই চায় জিততে। ছোটখাটো কিছু অভিযোগ থাকবেই। এগুলো থাকা মানেই নির্বাচন হচ্ছে। বড় কিছু ঘটেনি।

“বড় রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের বলব কোনো সহিংসতা যেন না হয়। জানমালের ক্ষতি হয় এমন কিছু করতে দেবেন না। অভিযোগের প্রমাণ মিললে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন। এতে বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।