এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘ইতিহাস চর্চার অনন্য ক্ষেত্র ইতিহাসের খসড়া’ শীর্ষক আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন বলেন, “ইতিহাসের খসড়া একটি অসাধারণ প্রকাশনা। এতে এমন সব বিষয় উঠে আসে, যা বাঙালির জাতি চেতনাকে জাগ্রত করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
ইতিহাসের খসড়ার সম্পাদক মুহাম্মদ শামসুল হকের প্রশংসাও করেন তিনি।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে শহীদ জায়া মুশতারী শফি বলেন, “ইতিহাসের খসড়া ইতিহাসের অনেক অজানা বিষয় উঠে আসে। তা দেখে আমি মুগ্ধ হই।”
সভাপতির বক্তব্যে ড. মাহবুবুল হক বলেন, “ইতিহাস বিকৃতি রোধ এবং প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে এ বিষয়ে গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। সেই কষ্টসাধ্য কাজ করে চলেছে ইতিহাসের খসড়া। যা এদেশের ইতিহাস চর্চার জগতে এক অনবদ্য কাজ হিসেবে চিহ্নিত হবে ভবিষ্যতে।”
ইতিহাসের খসড়ার সম্পাদক মুহাম্মদ শামসুল হক বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অনুসন্ধান করতে গিয়ে আমার মনে হয়েছে আমাদের চারপাশে এমন অনেক বিষয় আছে, যা তুলে আনতে পারলে ইতিহাসের সত্য উদঘাটিত হবে।”
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি দেখে প্রকৃত তথ্য তুলে আনতে এই প্রকাশনার উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেন তিনি।
“আমাদের এখানে ভালো কাজে সহায়তা কম। ইতিহাস অনুসন্ধান ও প্রকাশ এক চলমান প্রক্রিয়া। সবার সহযোগিতা পেলে আমরা এ প্রক্রিয়া চালিয়ে নিতে পারব,” বলেন তিনি।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান এবং উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম।
আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ফেরদৌস আরা আলীম, সাংবাদিক ওমর কায়সার এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন এ বি এম আবু নোমান।
মোজাম্মেল মাহমুদের সঞ্চালনায় সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের উপ-সচিব বেলাল হোসেন।