বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারের বেদীতে ফুল দিয়ে জাতির মেধাবী সন্তানদের স্মরণ করেন।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ইফতেখার সাইমুল চৌধুরীর নেতৃত্বে আইনজীবী সমিতি নেতৃবৃন্দ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ড. বেণু কুমার দে, সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার চৌধুরীসহ পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের নেতারা এবং চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ রাতে শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে আসেন।
শুক্রবার সকালে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, উদীচী এবং খেলাঘর।
নগরীর পাহাড়তলী বধ্যভূমিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সকালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগ।
একাত্তরের ১০ নভেম্বর আনুমানিক পাঁচ হাজার লোককে পাহাড়তলীর ওই বধ্যভূমিতে জবাই করা হয়। এ কারণে স্থানীয়দের কাছে ওই বধ্যভূমি ‘জল্লাদখানা’ নামেও পরিচিত।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সাইয়েন্স ইউনিভার্সিটির (সিভাসু) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে স্মরণ করেন পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের হাতে নিহত বুদ্ধিজীবীদের।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহীদ মিনার ও বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং কলেজ-স্কুলের শিক্ষার্থীদের ভিড় বাড়তে থাকে। শ্রদ্ধার ফুলে ভরে ওঠে শহীদ বেদী।