‘মিথ্যাচার’ করে আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে বিএনপি: হাছান

জনগণকে বিভ্রান্ত করতে সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যাচার’ করে বিএনপি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন আওয়ামী লীগ নেতা হাছান মাহমুদ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Nov 2018, 10:56 AM
Updated : 26 Nov 2018, 10:57 AM

সোমবার চট্টগ্রামের দেওয়ানজী পুকুর পাড়ে নিজের বাসায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “রুহুল কবির রিজভী বেশ কিছুদিন ধরে অনেকগুলো মিথ্যাচার করছে।”

প্রশাসন ও পুলিশের কিছু কর্মকর্তা ‘গোপন বৈঠক’ করেছেন বলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক রিজভীর বক্তব্যের পাল্টায় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, “প্রকৃতপক্ষে তার কাজ হচ্ছে প্রতিদিন একটি সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যাচার করা ও প্রপাগান্ডা ছড়ানো।

“সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের বক্তব্য দিয়ে তারা নির্বাচন কমিশনকে এবং প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে অভিযোগ উপস্থাপন করে জনগণকে বিভ্রান্ত করে ঘোলাটে পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। কারণ তারা বুঝতে পেরেছে প্রকৃতপক্ষে নির্বাচনের মাঠে তাদের অবস্থা শোচনীয়।”

আওয়ামী লীগ নেতা হাছান বলেন, “রিজভীর সংবাদ সম্মেলনে গত ২০ তারিখে যে বৈঠকের কথা বলা হয়েছে সে সময়ে প্রধানমন্ত্রী সচিব অন্য একটি বৈঠকে ছিলেন। যে বৈঠকের সংবাদ পত্রপত্রিকায় এসেছে। প্রধানমন্ত্রীর এপিএস প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ছিলেন। জনপ্রশাসন সচিব তার অফিসে ছিলেন। যেটির তথ্য প্রমাণসহ ছবি আছে।

“এভাবে বানোয়াট, আজগুবি, মিথ্যাচার নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন। কারণ আচরণবিধিতে বলা আছে কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে কিংবা কোনো প্রকার প্রপাগান্ডা ছড়ানো যাবে না।”

রিজভী ও বিএনপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানান আওয়ামী লীগের এই নেতা।

তারেক রহমানের স্কাইপের মাধ্যমে বিএনপির মনোয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণেরও সমালোচনা করেন হাছান মাহমুদ।  

“পত্রপত্রিকায় বের হয়েছে তারেক রহমান ঠিক করে দিচ্ছে কারা বিএনপির পক্ষ থেকে মনোনয়ন পাচ্ছে। এমনকি ঐক্যফ্রন্টের চূড়ান্ত তালিকাও তিনি ফাইনাল করবেন। এতে বোঝা যাচ্ছে ড. কামাল হোসেন, মাহমুদুর রহমান মান্না ও আ স ম রবদের নেতা তারেক রহমান। কারণ তার কথাই চূড়ান্ত।”

বিভিন্ন আসনে মনোনয়ন দেওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন হাছান মাহমুদ, যিনি নিজেও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী উপজেলার কিছু অংশ নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম-৭ আসনের জন্য মনোনয়নের প্রাথমিক প্রত্যয়নপত্র পেয়েছেন।

তিনি বলেন, “প্রতিটি আসনে গড়ে ১৩ জন করে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিল। যারা মনোয়নপ্রত্যাশী ছিল তাদের প্রত্যেকের কমবেশি সাপোর্টার ছিল। যারা মনোনয়ন পাননি তাদের সাপোর্টাররা কিছুটা হতাশ হতেই পারে। এবার মনোনয়ন দেওয়ার আগে দলের পক্ষ থেকে দুই বছরব্যাপী জরিপের বিষয়টি মাথায় রাখা হয়েছে। সে জরিপে যাদের জয়লাভের সম্ভাবনা বেশি দেখা গেছে তাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।”

আর জরিপের প্রেক্ষিতেই অনেককে বাদ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান হাছান মাহমুদ।