শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর নগরীর ষোলশহর দুই নম্বর গেইটের চশমা হিলের বাড়ি থেকে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরীর কফিন নিয়ে দারুল ফজল মার্কেটে দলীয় কার্যালয়ের পথে রওনা হয় শোকের মিছিল।
কফিনবাহী গাড়ি ঘিরে কয়েক হাজার নেতাকর্মী মোটরসাইকেলে করে আর পায়ে হেঁটে প্রায় তিন কিলোমিটার পথ পেরিয়ে দারুল ফজল মার্কেটের সামনে পৌঁছান। সেখানে দলীয় পতাকায় মোড়া প্রয়াত নেতার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তারা।
মহিউদ্দিন চৌধুরী তার ৭৪ বছরের জীবনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ছিলেন ১৬ বছর। একাত্তরের এই মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যু পর্যন্ত ছিলেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি।
তার মৃত্যুর খবরে ভোরে হাসপাতালে এবং সকালে তার চশমা হিলের বাড়িতে ভিড় করেন বিভিন্ন দলের রাজনীতিবিদ এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। তাদের কারো কাছে তিনি ছিলেন রাজনৈতিক গুরু, কারো সহযোদ্ধা, আবার কারো কাছে ছিলেন অভিভাবকের মত।
প্রবীণ এই নেতার মৃত্যুর খবরে ঢাকা থেকে ছুটে আসেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।রাজনীতির মাঠের প্রতিপক্ষ বিএনপির নেতারাও শেষবার দেখতে আসেন প্রবীণ এই রাজনীতিবিদকে।
ষাটের দশকের ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পর পালিয়ে প্রায় তিন বছর তাকে কলকাতায় থাকতে হয়।
১৯৯৪ সালে প্রথমবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর টানা তিন মেয়াদে তিনি বন্দরনগরীর অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করেন। চট্টগ্রামে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, বন্দর রক্ষা আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনেও তিনি ছিলেন সামনের কাতারে।
সন্ধ্যায় চশমা হিল মসজিদ কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে দাফন করা হবে এই রাজনীতিবিদকে।