রোববার প্যাসিফিক ক্যাজুয়াল লিমিটেডের শ্রমিকদের একটি পক্ষ ২২ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করে।
Published : 10 Feb 2025, 07:56 PM
শ্রমিকদের দাবিকে ‘অন্যায়’ আখ্যা দিয়ে কারখানা বন্ধের নোটিস দেওয়ার পর শ্রমিকরাই আবার স্মারকলিপি দিয়েছে কারখানা খুলে দিতে।
সোমবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা ইপিজেডে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের পর বিকালে প্যাসিফিক গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ‘প্যাসিফিক ক্যাজুয়াল লিমিটেডের’ শ্রমিকরা বেপজার কাছে গিয়ে ‘বিনা দাবিতে’ কারখানা খুলে দেওয়ার স্মারকলিপি দেন।
বেপজার মহাব্যবস্থাপক এসএম আবদুর রশিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্যাসিফিক ক্যাজুয়াল লিমিটেডের শ্রমিকদের কিছু দাবির দাওয়ার পর মালিকপক্ষ কারখানার দুইটি ইউনিট বন্ধ ঘোষণা করেছিল। আজ সকালে হাজারখানেক শ্রমিক এসেছিল, তারা আলোচনা করে বিকালে আমাদের কাছে কারখানা খুলে দেওয়ার জন্য স্মারকলিপি দিয়েছে।
“এ প্রেক্ষিতে আমরা মালিকপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছি। তারা কাল-পরশুর মধ্যে কারখানা খুলবে জানিয়েছে।”
প্যাসিফিক গ্রুপের মালিকানাধীন দুইটি কারখানায় প্রায় সাড়ে চার হাজার শ্রমিক কাজ করেন।
শ্রমিকরা ভাষ্য, রোববার প্যাসিফিক ক্যাজুয়াল লিমিটেডের এক দল শ্রমিক ২২ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। এ প্রেক্ষিতে সন্ধ্যায় মালিকপক্ষ কারখানার দুইটি ইউনিট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার নোটিস দেয়।
সোমবার সকালে শ্রমিকরা কাজে গিয়ে কারখানা বন্ধ দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তারা বিক্ষোভ করে গ্রুপের অন্য দুইটি প্রতিষ্ঠান ‘প্যাসিফিক জিন্স’ ও ‘এনএইচটি ফ্যাশনের’ সামনে জড়ো হন।
এসময় ওই দুই কারখানার শ্রমিকরা নেমে আসলে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শ্রমিকরা বলেছেন, গত জানুয়ারি মাসে গ্রুপের প্রধান প্রতিষ্ঠান ‘প্যাসিফিক জিন্সের’ শ্রমিকরা মজুরি বাড়ানোসহ সাত দফা দাবি দাওয়া নিয়ে বিক্ষোভ করেছিলেন। পরে সেগুলো মালিকপক্ষ মেনে নিয়েছিল। এরপর প্যাসিফিক ক্যাজুয়ালের শ্রমিকদের দাবি দাওয়া না থাকার পরও প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ একই ধরনের দাবিগুলো তাদেরও পূরণ করেছে।
তাদের ভাষ্য, রোববার কিছু শ্রমিক ২২ দফা দাবি নিয়ে কারখানার বিভিন্ন ইউনিটে কাজ বন্ধ করে দেন এবং অন্যদেরও কাজ করতে বিরত রাখেন। এরপর সন্ধ্যায় মালিকপক্ষ বেপজা আইনে কারখানা বন্ধের ঘোষণা দেয়।
এ বিষয়ে প্যাসিফিক ক্যাজুয়াল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তাহমিরের বক্তব্য জানা যায়নি।