স্থায়ী বহিষ্কার করা ছাত্রীর নাম আফসানা এনায়েত এমি। তিনি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
Published : 16 Feb 2025, 09:20 PM
বহিষ্কৃত ১০ ছাত্রীর মধ্যে স্থায়ী বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী বাদে দুই বছরের জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হওয়া নয় ছাত্রীর আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে মানববন্ধন করেছেন একদল শিক্ষার্থী।
রোববার বেলা এগারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে একদল এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
চবি থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা ছাত্রীর নাম আফসানা এনায়েত এমি। তিনি প্রতিষ্ঠানটির আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
এছাড়া মানববন্ধন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের পদত্যাগও দাবি করা হয়। প্রায় পৌনে একঘণ্টা ধরে চলা কর্মসূচিতে অংশ নেন বিভিন্ন বিভাগের অর্ধশত শিক্ষার্থী।
গেল ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে একদল শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের সামনে থাকা নৌকা ভাঙতে গেলে হলের ছাত্রীদের সাথে বাগবিতণ্ডা হয়।
দু’পক্ষের অবস্থানের পর সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি গেলে তাদের সঙ্গেও ছাত্রীরা বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
এসময় প্রক্টরিয়াল বডির এক সদস্য লাঞ্চিত হন বলে অভিযোগ তোলেন। এছাড়াও তথ্য সংগ্রহে যাওয়া এক সাংবাদিকও সেসময় শারীরিকভাবে আহত হন বলে অভিযোগ ওঠে।
এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ১৩ ফেব্রুয়ারি ‘বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির’ সভায় এক ছাত্রীকে স্থায়ী এবং বাকি নয়জনকে দুই বছর করে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ধ্রুব বড়ুয়া বলেন, “ছাত্রীদের অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। অবিলম্বে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করতে হবে, নইলে প্রশাসনকে পদত্যাগ করতে হবে।”
ঘটনা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফের ফেইসবুকে দেওয়া একটি বক্তব্যের প্রতিবাদে তার পদত্যাগও দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।
পুরোনো খবর
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলে নৌকার প্রতিকৃতি ভাঙচুর
চট্টগ্রাম বিশ্বিবিদ্যালয়ে 'শিক্ষক লাঞ্ছনার' অভিযোগে ১০ ছাত্রীকে