কন্টেইনারে মদ: বিদেশ থেকে হুমকির অভিযোগ কাস্টমস কর্মকর্তার

একটি বিদেশি নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন দিয়ে রায়হান নামে একজন নানাভাবে হুমকি দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন বলে কাস্টমস কর্মকর্তার ভাষ্য।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 July 2022, 02:26 PM
Updated : 29 July 2022, 02:26 PM

সুতা মেশিনারিজের নামে পণ্য আনার পর বন্দর থেকে বেরিয়ে যাওয়া কন্টেইনার থেকে মদ আটকের ঘটনায় একটি বিদেশি নম্বর থেকে হুমকি পাওয়ার অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের এক কর্মকর্তা।

চট্টগ্রাম ইপিজেড কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) রাশেদুর রহমান গত ২৪ জুলাই রাতে এ বিষয়ে ইপিজেড থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

ইপিজেড থানার ওসি কবিরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একজন কাস্টমস কর্মকর্তা তাকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে জিডি করেছেন। আমরা আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে বিষয়টি তদন্ত করব।”

ভুয়া আইপি ব্যবহার করে পণ্য আনার সংবাদ পেয়ে গত ২২ জুলাই নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকা থেকে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বের করা দুটি কন্টেইনার আটক করা হয়।

ওই দুই কন্টেইনার থেকে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর এবং র‌্যাবের সহযোগিতায় বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ উদ্ধার করার কথা জানিয়েছিল চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

পরে ২৪ জুলাই ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে র‍্যাব জানায়, কন্টেইনার দুটি থেকে মোট ৩৬ হাজার ৮১৬ বোতল মদ উদ্ধার করা হয়েছে, ঢাকার কিছু হোটেল, বার ও ক্লাব এসব মদের ক্রেতা।

সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) রাশেদুর রহমান শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আটক করা কন্টেইনারের বিষয়ে কাস্টমসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছিল।

তিনি বলেন, “এ ঘটনার পর একটি বিদেশি নম্বর থেকে আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন দিয়ে রায়হান নামে একজন নানাভাবে হুমকি দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। বিষয়টি আমি কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে অবহিত করি।

পরবর্তীতে তাদের নির্দেশে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন বলে জানান রাশেদুর।

অপর এক কাস্টমস কর্মকর্তা বলেন, “সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রাশেদুর বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্য তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে শেয়ার করেছিলেন। সেকারণেই এ হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”

র‍্যাবের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছিল গার্মেন্ট পণ্যের মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে মদ আমদানির পেছনে রয়েছে মুন্সীগঞ্জকেন্দ্রিক একটি চক্র। যাদের নেটওয়ার্ক দুবাই পর্যন্ত বিস্তৃত।

মদ আটকের পর কাস্টমস কর্মকর্তারা বলেছিলেন, ঈশ্বরদী ও কুমিল্লা ইপিজেডের দুটি প্রতিষ্ঠানের নাম এবং ভুয়া আইপি ব্যবহার করে একটি চক্র ৪০ ফুটের কন্টেইনার দুটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বের করে নিয়ে যায়।

এদিকে নারায়ণগঞ্জে কন্টেইনার আটকের পর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ২৪ জুলাই একটি এবং পরদিন আরও দুইটি কন্টেইনার থেকে বিপুল পরিমাণ মদ উদ্ধারের কথা জানায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

এসব কন্টেইনারও মিথ্যা ঘোষণায় আনা হয়েছিল বলে জানান তারা। কাস্টমস এবং শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এসব ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

আরও খবর:

Also Read: চট্টগ্রাম বন্দরে আরও ২ কন্টেইনার মদ জব্দ

Also Read: স্ক্যানিং ছাড়াই বন্দর থেকে খালাস হয় মদভর্তি কন্টেইনার: র‌্যাব

Also Read: সুতা মেশিনারিজের নামে আনা হল মদ