ইতিমধ্যে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে একাধিক প্রার্থীর ব্যাখ্যা চেয়ে তলব করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। তলব পেয়ে কেউ সশরীরে, আবার কেউ প্রতিনিধি পাঠিয়ে লিখিত জবাবও দিয়েছে।
Published : 08 Dec 2023, 11:04 PM
তফসিল অনুযায়ী ভোটের প্রচার শুরুর সুযোগ মিলবে আরো দিন দশেক পর, তবে সেজন্য বসে নেই চট্টগ্রামের প্রার্থীরা। বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড, মত বিনিময় সভার মত আনুষ্ঠানিকতার সুযোগ নিয়ে ঠিকই তারা অনানুষ্ঠানিক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
ভোটারদের মাঝে আলোচনায় থাকার পাশাপাশি প্রতিপক্ষের চেয়ে এগিয়ে থাকতে চাইছেন প্রার্থীরা। সেজন্য আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার পরদিন থেকেই ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা ভোটের মাঠে সক্রিয় হয়েছেন।
ইতোমধ্যে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে একাধিক প্রার্থীর ব্যাখ্যা তলব করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। তলব পেয়ে কেউ সশরীরে, আবার কেউ প্রতিনিধি পাঠিয়ে লিখিত জবাব দিয়েছেন।
মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে মোট ১১৬ জনের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এই ১৬ আসনের মধ্যে ১২টি আসনে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বাকি চারটি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তেমন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়বে না।
যে ১২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস মিলেছে সেগুলোর মধ্যে নৌকার প্রার্থীর সাথে লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অধিকাংশই আওয়ামী লীগ নেতা।
এরমধ্যে বেশ কয়েকজনের প্রার্থিতা বাছাইয়ে বাতিল হয়েছে। যাদের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে, তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ঢাকায় নির্বাচন কমিশনে গিয়ে আপিল করতে ব্যস্ত।
চট্টগ্রামের যে চারটি আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী নেই সেগুলো হলো- চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান), চট্টগ্রাম-৭ (রাঙুনিয়া), চট্টগ্রাম- ৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) এবং চট্টগ্রাম- ১৩ (আনোয়ারা)।
বাকি আসনগুলোর মধ্যে মীরসরাই নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম-১ আসনে এবার আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন দলের মনোনয়ন চাননি। তার ছেলে মাহবুব রহমান রুহেলকে ওই আসনে প্রার্থী করেছে আওয়ামী লীগ। সেখানে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তবে বাছাইয়ে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী রুহেল গত কয়েকদিনে স্থানীয় বর্ষীয়ান ও অসুস্থ দলীয় নেতাদের দেখতে তাদের বাড়ি বাড়ি গেছেন। চলতি পথে কোনো কোনো বাজারে বসে স্থানীয় নেতাকর্মী ও ব্যবসায়ীদের সাথে অনানুষ্ঠানিক আলাপ সেরেছেন।
চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে আওয়ামী লীগ এবার প্রার্থী করেছে সাবেক সংসদ সদস্য রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনিকে। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইন্ডভান্ডারি।
দুজনের মনোনয়নপত্রই বাছাইয়ে বৈধ হয়েছে। ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ বৃহস্পতিবার আসন্ন নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে বর্ধিত সভা করেছে। সেখানে অবশ্য সনিকে দেখা যায়নি। আর অন্যদিকে ১৪ দলীয় জোটের আসন বিন্যাস এখনো নিশ্চিত হয়নি। তাই সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারিও প্রকাশ্যে সক্রিয় নন ভোটের মাঠে।
চট্টগ্রাম-৪ আসনে (সীতাকুণ্ড) বর্তমান সংসদ সদস্য দিদারুল আলম এবার দলের মনোনয়ন পাননি। তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দিলেও দলের প্রত্যয়ন না থাকায় বাছাইয়ে তা বাতিল হয়েছে। প্রার্থিতা ফিরে পেতে তিনি আর আপিল করবেন না বলে জানিয়েছেন।
এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এস এম আল মামুনের সমর্থনে ২ ডিসেম্বর বর্ধিত সভা করেছে সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগ। ওই সভায় উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. আতাউর রহমান এবং প্রার্থী নিজে উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে আওয়ামী লীগ এবার দল থেকে প্রার্থী করেছে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালামকে। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
এ আসনে জাতীয় পার্টির সঙ্গে কোনো সমঝোতায় না গিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এম এ সালামকেই বহাল রাখার আবেদন জানিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে হাটহাজারী পৌর সদরে উপজেলা যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ মিছিল-সমাবেশ করেছে।
চট্টগ্রাম-৬ আসনে (রাউজান) আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম-৭ আসনে (রাঙ্গুনিয়া) প্রার্থী তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নগর কমিটির কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, সদস্য বিজয় কুমার চৌধুরী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আরশেদুল আলম বাচ্চুর মনোনয়ন বাছাইয়ে বাতিল হয়েছে।
প্রার্থিতা ফিরে পেতে আবেদন করেছেন সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম। এই আসনে জাতীয় পার্টির নেতা সোলায়মান আলম শেঠও প্রার্থী হয়েছেন। ভোটের মাঠে নোমান-ছালাম-শেঠ ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস মিললেও তাদের সেভাবে প্রচারে দেখা যায়নি।
চট্টগ্রাম-৯ আসনে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং চট্টগ্রাম-১৩ আসনে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।
চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাহাড়তলি) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক নগর যুবলীগ আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু। তিনি নিজের নেতাকর্মীদের নিয়ে ছোট আকারে ঘরোয়া বৈঠক করেছেন। আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক মেয়র মনজুর আলম গত কয়েকদিন সংসদীয় আসনের বিভিন্ন মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের কয়েকটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চুর হলফনামায় মামলা ও ব্যাংক হিসাব দাখিল করা হয়নি অভিযোগ করে বৃহস্পতিবার তার মনোনয়নপত্র বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছেন মনজুর আলম।
চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এম এ লতিফ বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমনের পক্ষ নিয়েছে নগর আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ।
দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার পরদিনই সুমনের পক্ষে মত বিনিময় সভায় অংশ নেন নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন। এর ধারবাহিকতায় ওই আসনের তৃণমূল নেতাদের প্রার্থী পরিবর্তন চেয়ে চিঠি দেওয়া, নগর কমিটির বর্ধিত সভায় দুই দফায় এ নিয়ে আলোচনা ও হুঁশিয়ারি দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
অন্যদিকে গত ১ ডিসেম্বর এম এ লতিফের পক্ষে এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম রেজাউল করিম চৌধুরী। ওই ঘটনায় এক ভোটারের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিত্রে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি ব্যাখ্যা চাইলে লিখিত ব্যাখ্যা দিয়ে বিধি লঙ্ঘন হয়ে থাকলে, সেজন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন মেয়র রেজাউল ও সংসদ সদস্য লতিফ।
চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে এবার দলের মনোনয়ন পাননি তিনবারের সংসদ সদস্য ও হুইপ সামশুল হক চৌধুরী। সেখানে এবার নৌকার প্রার্থী দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী।
মনোনয়ন পত্র জমা দিতে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে পতাকাবাহী গাড়ি ব্যবহার ও পুলিশ প্রহরা নেওয়ায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য শোকজ করা হয় সামশুল হক চৌধুরীকে। নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে সশরীরে হাজির হয়ে ওই ঘটনার জন্য ‘অনুতপ্ত’ এবং ‘ভবিষ্যতে আর এধরণের ভুল হবে না’ মর্মে জানান সামশুল।
সবশেষ বৃহস্পতিবার পটিয়া থানার ওসি বদল চেয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোতাহেরুল। ওমরাহ পালনের জন্য বৃহস্পতিবার সৌদি আরব গেছেন সামশুল।
চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) প্রার্থী হয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। আর চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নজরুল ইসলাম চৌধুরী। গত কয়দিনে তিনি একটি মাদ্রাসার অনুষ্ঠানসহ সামাজিক কয়েকটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সবশেষ বুধবার নগরীতে হওয়া দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায়ও উপস্থিত ছিলেন।
এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী চন্দনাইশ উপজেলার সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জব্বার চৌধুরী। তার মনোনয়নপত্র বাছাইতে বৈধ হয়েছে। তিনিও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন।
চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু রেজা মো. নেজামুদ্দীন নদভী। ২৯ নভেম্বর কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে তিনি মনোনয়ন পত্র জমা দেন।
এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এম এ মোতালেব। তিনিও কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে মনোনয়ন জমা দেন। তবে বাছাইতে তার মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। প্রার্থিতা ফিরে পেতে তিনি আপিল করেছেন।
চট্টগ্রাম-১৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। নানা কারণে গত কয়েক বছর ধরে আলোচিত-সামলোচিত এই নেতা মনোনয়ন জমা দিতে এসে ‘আচরণ বিধি লঙ্ঘন’ বিষয়ক প্রশ্ন শুনেই সাংবাদিকের দিকে তেড়ে যান, চড়াও হয় তার অনুসারীরা।
এ ঘটনায় কারণ দর্শাতে মোস্তাফিজুরকে তলব করে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। এ বিষয়ে তিনি লিখিত জবাব দিয়েছেন। তবে এরপর নির্বাচন কমিশন কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।
এ আসনে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। মূলত মোস্তাফিজুরের সাথে মুজিবুর রহমানের লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে এই আসনে।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় শেষ হচ্ছে ১৭ ডিসেম্বর। ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত বৈধভাবে প্রচার চালানোর সুযোগ আছে। তার আগে প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচারে নামার সুযোগ নেই।
কেউ সেই নিয়ম লঙ্ঘন করছে কি না, তা দেখার দায়িত্ব রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের। এছাড়া আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে প্রতি আসনে গঠন করা হয়েছে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি।
চট্টগ্রামের ১০টি আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক এবং বাকি ৬টি আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা বিভাগীয় কমিশনার।
আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর সময়ের আগেই প্রার্থীদের বিভিন্ন ধরনের প্রচারের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আমরা প্রার্থীদের কার্যক্রম মনিটর করছি। কোনো অভিযোগ পেলে ব্যবস্থাও নিচ্ছি। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম-১১ আসনে একটি মতবিনিময় সভায় অংশ নেওয়ায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সিটি মেয়রের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি।
" এছাড়া কোথাও কোনো অনুষ্ঠান বা আচরণ বিধি লঙ্ঘনের ঘটনা পত্রপত্রিকায় এলে অথবা লিখিত অভিযোগ পেলেও আমরা আইন অনুসারে ব্যবস্থা নিয়েছি এবং নেব।"