প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতিবাদে কোটাবিরোধীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মরণ চত্বরে জড়ো হয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন।
Published : 15 Jul 2024, 09:27 AM
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মধ্যরাতে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার রাত সাড়ে ১১টায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মরণ চত্বরে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকলে ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের ওপর ‘চড়াও’ হয়। তাতে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
রোববার গণভবনের সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ‘চেয়েছিলাম অধিকার হয়ে গেলাম রাজাকার’, ‘তুমি কে, আমি কে রাজাকার রাজাকার’, ‘তোমার আমার বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’– ইত্যাদি শ্লোগান দিতে থাকেন।
তারা বলছেন, ছাত্রলীগের কর্মীরা এক পর্যায়ে তাদের ওপর ‘হামলা’ করে এবং হুমকি-ধমকি দিয়ে, মারধর করে ওই এলাকা ত্যাগ করতে বাধ্য করে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী আজকে যে কথাটা বলেছেন, সেখানে যেটা মিন করা হয়েছে, তাতে বোঝা যায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা ছাড়া সবাই রাজাকার। এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সমন্বয় করে আমরা প্রায় সাড়ে ১১টার দিকে জিরো পয়েন্টে গেছি এবং মিছিলের এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের অতর্কিত হামলা চালায়। তাতে দুই তিন জন আহত হয়। তারপরে আমরা সবাই ছত্রভঙ্গ হয়ে যাই।"
গণ্ডগোলের সময় প্রক্টর কিংবা পুলিশ কেউ সেখানে উপস্থিত ছিল না। সুমন নামের ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীকে সেখানে লাঠি ও বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, হামলাকারীরা ছাত্রলীগের বগি ভিত্তিক গ্রুপ সিএফসির কর্মী। তবে সিএফসির নেতা এবং চবি ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি সাদাফ খানের বক্তব্য জানা যায়নি।
অপর বগি ভিত্তিক গ্রুপ কনকর্ডের নেতা এবং ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহসভাপতি আবরার শাহরিয়ার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা আন্দোলনকারীদের ‘আমরা রাজাকার’ স্লোগান দিতে নিষেধ করলেও তারা শোনেনি। পরে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে তারাই আমাদের আক্রমণ করে।"