চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা পরিচালনা কমিটির সভাপতি এসব নাম রেখেছেন।
Published : 25 Mar 2024, 06:17 PM
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার বাঘ ‘বাইডেন’ ও বাঘিনী ‘জয়ার’ ঘরে জন্ম নেওয়া তিনটি শাবকের নাম রাখা হয়েছে।
সোমবার সকালে শাবকগুলোকে প্রথমবারের মত জনসম্মুখে আনার পর নাম দেওয়া হয়- প্রকৃতি, স্রোতস্বিনী ও রূপসী।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি জন্মের পর থেকে বাঘ শাবক তিনটি মায়ের সঙ্গে ছিল। সোমবার থেকে সেগুলো দেখার জন্য দর্শনার্থীদের সামনে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
শুভ জানান, বাঘ শাবক তিনটিই মেয়ে। চিড়িয়াখানা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মো. ফখরুজ্জামান শাবক তিনটির নাম রাখেন প্রকৃতি, স্রোতস্বিনী ও রূপসী।
২০২০ সালের ১৪ নভেম্বর রাতে চিড়িয়াখানার ‘জয়া’ নামের একটি বাঘিনী তিনটি শাবকের জন্ম দেয়। তবে শাবকগুলোকে মা দুধ খেতে না দেওয়ায় ১৫ নভেম্বর একটি এবং ১৮ নভেম্বর আরও একটি শাবক মারা যায়।
জীবিত এই শাবকটিকে মায়ের কাছ থেকে সরিয়ে নিয়ে আলাদা করে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে এবং অফিস কক্ষে আলাদা করে রাখা হয়েছিল। সেখানে হাতে ধরে খাওয়ানো হয়েছিল দুধ।
মানুষের হাতে পাঁচ মাস ধরে আদর যত্নে লালন পালন করা এ বাঘ ছানাটি পরের বছরের ২১ এপ্রিল থেকে রাখা হয়েছে খাঁচায়। কোভিড মহামারীর কারণে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ থাকায় প্রথমে কিছুদিন বিকাল হলেই সেটিকে বের করে আনা হতো খাঁচা থেকে।
‘জো-বাইডেন’ নাম দেওয়া সেই বাঘ শাবকটি মানুষের স্নেহে বেড়ে ওঠার ছবি সে সময়ে বিভিন্ন মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছিল।
২০২১ সালের ২৯ অগাস্ট চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থী প্রবেশ উন্মুক্ত করার পর সেই বাঘটি দেখতে মানুষের ভিড় জমত।
ডেপুটি কিউরেটর শুভ বলেন, “মানুষের হাতে লালন পালন হয়ে পুনরায় বাঘ পরিবারের সাথে একত্রীকরণের মাধ্যমে বংশবিস্তার করা বিরল ঘটনা।”
বাঘিনী জয়ার জন্মও চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়। ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই চিড়িয়াখানার বেঙ্গল টাইগার দম্পতি রাজ-পরীর তিনটি ছানার জন্ম হয়। যার মধ্যে দু্টি ছিল ‘হোয়াইট টাইগার’, অন্যটি কমলা-কালো ডোরাকাটা।
পরদিন একটি সাদা বাঘ শাবক মারা যায়। অন্য সাদা বাঘিনীটির নাম দেয়া হয় ‘শুভ্রা’। কমলা-কালো বাঘিনীটির নাম দেওয়া হয় ‘জয়া’।
পুরানো খবর: