চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদককে নোটিস

এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের একটি বগিভিত্তিক গ্রুপের দুই পক্ষ দুইবার সংঘর্ষে জড়ায়, হলের প্রভোস্টের কক্ষসহ আটটি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Feb 2023, 08:15 PM
Updated : 25 Feb 2023, 08:15 PM

ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলাসহ একাধিক কারণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

শনিবার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তিন দিনের ব্যবধানে দুইবার শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক গ্রুপ বিজয় এর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ এবং একটি হলের প্রভোস্টের কক্ষসহ আটটি কক্ষ ভাঙচুরের ঘটনার মধ্যে এ নোটিস দেওয়ার খবর এল।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "ধারাবাহিক সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলা, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশ ক্ষুণ্ন হওয়া, গঠনতান্ত্রিক কার্যক্রমের ব্যত্যয় ও পূর্বে প্রেরিত শোকজ নোটিসের জবাব এর প্রতিফলন না হওয়ায় রেজাউল হক রুবেল ( সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা)  ও ইকবাল হোসেন টিপু (সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) আপনাদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার উপযুক্ত কারণসহ লিখিত জবাব আগামী সাত দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হল।"

Also Read: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, হলের কক্ষ ভাঙচুর

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাধারণ সম্পাদক টিপু রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "নোটিস পেয়েছি। বিভিন্ন জায়গায় বিশৃংখলা হচ্ছে এরই প্রেক্ষাপটে উনারা যেটা ভালো মনে করেছেন, সেটাই করেছেন। আমরাও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এর জবাব দিব।“

তিনি ক্যাম্পাসে যারা বিশৃঙ্খলা করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক গ্রুপ বিজয় এর দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়।

এ ঘটনার জেরে ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকালে সোহরাওয়ার্দী হলে আক্রমণ করে প্রভোস্টের কক্ষসহ মোট আটটি কক্ষ ভাঙচুর করে একটি পক্ষ।

এরপর রাতে আলাওল ও সোহরাওয়ার্দী হলে তল্লাশি চালিয়ে দেশি অস্ত্র উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ।

এর আগে জানুয়ারিতে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর শহীদুল ইসলামসহ ১২ জন আহত হন। এর প্রেক্ষিতে ১১ জানুয়ারি সাত দিনের মধ্যে লিখিত জবাব চেয়ে শোকজ করেছিল কেন্দ্রীয় কমিটি।