রেলের ওয়াগন লাইচ্যুত: দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ ডিজির

“পরিবেশের উপর একটা বিরূপ প্রভাব তো পড়বেই। আমরা এ জিনিসটাও দেখব,” বলেন কামরুল আহসান।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Feb 2023, 02:43 PM
Updated : 17 Feb 2023, 02:43 PM

চট্টগ্রামে ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়ে জ্বালানি তেল ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রেলওয়ে মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান।

শুক্রবার গরীর হালিশহর এলাকার রেলওয়ে গুডস পোর্ট ইয়ার্ড (সিজিপিওয়াই) এলাকায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি এ নির্দেশ দেন।

কামরুল আহসান বলেন, “এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। আজকের (শুক্রবার) মধ্যে তাদের তদন্ত রিপোর্ট দিতে হবে জিএম সাহেবের কাছে।

“তদন্ত কমিটি যাদের দোষী সাব্যস্ত করবে তাদের বিরুদ্ধে আগামীকালই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবং এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সেজন্য সব বিভাগীয় প্রধানদের বলেছি।”

বুধবার সন্ধ্যায় নগরীর হালিশহর এলাকার রেলওয়ে গুডস পোর্ট ইয়ার্ড (সিজিপিওয়াই) এলাকায় একটি ট্রেনের তেলবাহী তিনটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়। সেগুলোতে ডিজেল ছিল। ওই তিনটি ওয়াগনের মধ্যে দুটি থেকে তেল বাইরে ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন রেল কর্মকর্তারা।

Also Read: লাইনচ্যুত ওয়াগনের তেল খাল ছাড়িয়ে কর্ণফুলীতে

Also Read: চট্টগ্রামে ডিজেলবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত, তেল ‘পড়ছে’ খালে

ছড়িয়ে পড়া তেল পাশের মহেশখাল হয়ে কর্ণফুলী নদীতেও ছড়িয়ে পড়েছে বলে আশঙ্কা জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশেষজ্ঞরা।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে রেলওয়ে মহাপরিচালক কামরুল বলেন, “পরিবেশের উপর একটা বিরূপ প্রভাব তো পড়বেই। আমরা এ জিনিসটাও দেখব। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না।”

এ সময় তার সঙ্গে পূর্ব রেলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. জাহাঙ্গীর হোসেনসহ রেলের কর্মকর্তারা ছিলেন।

লাইনচ্যুত হওয়া ওয়াগনগুলোর প্রতিটিতে ৩০ হাজার লিটার তেল ধরে। রেলওয়ের ব্যবহারের জন্য চট্টগ্রাম থেকে ডিজেলের ওই চালান ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে কত তেল ছড়িয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি রেল কর্মকর্তারা।

পরিবেশ অধিদপ্তারের কর্মকর্তারা জানান, মহেশখাল যেখানে কর্ণফুলী নদীতে মিশেছে, সেখানকার স্লুইস গেটটি বুধবার থেকে বন্ধ ছিল।

তবে মহেশখালের পানিতে ভালো পরিমাণে তেলের উপস্থিতি পেয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের নমুনা সংগ্রহকারী দল।

খালের স্লুইস গেটের অপর পাশে নদীর পানির নমুনাও সংগ্রহ করেছে তারা। নমুনা পরীক্ষার পর বলা যাবে তেল নদীতে ছড়িয়েছে কি না। তবে খালি চোখে নদীর পানিতে খুব অল্প পরিমাণ তেল দেখা গেছে বলে জানান পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. মনির।

পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খালে ও নদীতে তেলা ছড়িয়ে পড়ার প্রভাব দীর্ঘমেয়াদে পড়বে।