শুরুতে ৬০ হাজার টন ডিজেল চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডে (ইআরএল) নেওয়া হবে।
Published : 28 Feb 2024, 08:54 PM
সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) প্রকল্পের আওতায় এবার মহেশখালীর স্টোরেজ ট্যাংক থেকে পাইপলাইনে তেল পরিবহনের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
মহেশখালীর কালারমার ছড়ায় স্থাপিত স্টোরেজ ট্যাংক থেকে বৃহস্পতিবার পাইপলাইনের মাধ্যমে ৬০ হাজার টন ডিজেল চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডে (ইআরএল) নেওয়া হবে।
এ প্রকল্পের অংশ হিসেবে গত বছরের ডিসেম্বরের শুরুতে গভীর সমুদ্র থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে মহেশখালীর স্টোরেজ ট্যাংকে এসব তেল নেওয়া হয়েছিল।
ইস্টার্ন রিফাইনারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ লোকমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মহেশখালীর স্টোরেজ ট্যাংক থেকে রিফাইনারি পর্যন্ত স্থাপন করা পাইপলাইনের কমিশনিং শুরু হবে বৃহস্পতিবার। এদিন একটি ট্যাংকে রাখা ডিজেল পাইপলাইনের মাধ্যমে রিফাইনারিতে নেওয়া হবে।”
এ প্রক্রিয়া সফলভাবে শেষ হলে এসপিএম প্রকল্পের আওতায় সাগর থেকে সরাসরি তেল পাইপলাইনে মহেশখালী হয়ে ইস্টার্ন রিফাইনারিতে নেওয়ার কাজ শুরু করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “এর মধ্য দিয়ে জ্বালানি তেল পরিবহনে নবদিগন্তের সূচনা হবে।”
গত বছরের ২৬ জুন মহেশখালীর অদূরে গভীর সাগরে স্থাপিত এসপিএম ব্যবহার করে পাইপলাইনের মাধ্যমে জাহাজ থেকে তেল খালাসের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরুর কথা থাকলেও বিরূপ আবহাওয়ার কারণে তা পিছিয়ে যায়।
৩ জুলাই ‘এমটি হোরে‘ নামক জাহাজ থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে মহেশখালীর কালারমার ছড়ায় স্থাপিত ট্যাংকে তেল পরিবহনের পরীক্ষামূলক কাজ শুরু হয়। এর পাঁচ দিনের মাথায় কারিগরি ত্রুটি দেখা দিলে পাইপলাইনে সরাসরি তেল পরিবহন কার্যক্রম পিছিয়ে যায়।
সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং: সাগরে পাইপ লাইনে তেল খালাসের পরীক্ষামূলক যাত্রা
ত্রুটি সারানোর পর বিশেোয়িত বয়া ব্যবহার করে গত ৩ ডিসেম্বর জাহাজ থেকে ৮৩ হাজার টন ক্রুড অয়েল এবং ৭ ডিসেম্বর ৬০ হাজার টন ডিজেল পাইপলাইনের মাধ্যমে মহেশখালীর স্টোরেজ ট্যাংকে নেওয়া হয়।
ইআরএলের এমডি লোকমান বলেন, “প্রাথমিক পর্যায়ে কমিশনিংয়ের সময় কিছু সমস্যা ছিল। এটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল। তা আমরা কাটিয়ে উঠেছি। এবার মহেশখালী থেকে আনোয়ারা হয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় রিফাইনারিতে (তেল) নেওয়া হবে।”
পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল খালাসের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)।
মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নে উপকূল থেকে ছয় কিলোমিটার পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) স্থাপন করা হয়েছে। এসপিএম থেকে ৩৬ ইঞ্চি ব্যসের দুটি আলাদা পাইপলাইনের মাধ্যমে অপরিশোধিত তেল ও ডিজেল খালাস করা হবে।
১৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সেই পাইপলাইনে তেল প্রথমে নিয়ে আসা হবে কালারমার ছড়ায় সিএসটিএফ বা পাম্প স্টেশন অ্যান্ড ট্যাঙ্ক ফার্মে। সেখান থেকে বিভিন্ন পাম্পের মাধ্যমে ৭৪ কিলোমিটার পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল চলে যাবে আনোয়ারার সমুদ্র উপকূল হয়ে ইআরএলে।
প্রকল্পের পরিচালক মো. শরিফ হাসনাত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বৃহস্পতিবার সকালের দিকে মহেশখালীর ট্যাংক থেকে ইআরএলে নেওয়ার পাম্পিং শুরু হবে।
কমিশনিং শেষ হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে হস্তান্তর করা হবে। পরবর্তীতে পুরো প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে।