গ্রেড পরিবর্তন হয়ে আরও ৬১ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
Published : 14 Nov 2024, 06:55 PM
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণে নতুন করে ১০১ জন পরীক্ষার্থী পাস করেছে; গ্রেড পরিবর্তন হয়ে আরও ৬১ জন পেয়েছে জিপিএ-৫।
বৃহস্পতিবার পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশের পর চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ এম এম মুজিবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যাদের নম্বর ও গ্রেড পরিবর্তন হয়েছে, তারা শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে সংশোধিত রেজাল্ট শিট সংগ্রহ করতে পারবে।”
শিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর ২২ হাজার ৩২৪ জন শিক্ষার্থী ৬৮ হাজার ২৭১টি উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করেছিলেন।
এর মধ্যে প্রথমবার প্রকাশিত ফলাফলে অকৃতকার্য আসা ১০১ জন পাস করেছে, ৪২৮ শিক্ষার্থীর জিপিএ পরিবর্তন হয়েছে। গ্রেড পরিবর্তন হয়ে নতুন করে ৬১ জন পেয়েছে জিপিএ-৫।
শিক্ষাবোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, মোট আবেদনের মধ্যে এক হাজার ৮৬৪টি উত্তরপত্রের নম্বর পাল্টেছে। ১২৯ জনের গ্রেড পয়েন্ট বাড়লেও জিপিএ বাড়েনি। আর এক হাজার ২০৮ জন পরীক্ষার্থীর নম্বর বাড়লেও গ্রেড পয়েন্ট বাড়েনি। ৭১ জনের নম্বর বাড়লেও পাস করতে পারেনি।
গত ১৫ অক্টোবর সারাদেশে এক যোগে মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ছিল ৭০ দশমিক ৩২ শতাংশ। পরীক্ষার ফলাফল যাদের আশানুরূপ হয়নি তারা তাদের উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করতে পারেন। পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরদিন গত ১৬ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর ছিল এ আবেদনের সময়সীমা।
উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণে এবার সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে ইংরেজি প্রথমও দ্বিতীয় পত্রে ১৪ হাজার ৯৪২টি করে।
কোভিড মহামারীর পর গত বছরই প্রথমবার পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা হয়। আর এ বছর সাতটি বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়ার পর বাকিগুলো আর নেওয়া সম্ভব হয়নি ছাত্র-জনতার আন্দোলন এবং সরকার পতনের পরের ঘটনাপ্রবাহের কারণে।
যে পরীক্ষাগুলো হয়নি, সেগুলোর ক্ষেত্রে এসএসসির নম্বর বিবেচনায় নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে করা হয়েছে মূল্যায়ন।
পরীক্ষার ফলাফল যাদের আশানুরূপ হয়নি তারা তাদের উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করতে পারেন। পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরদিন গত ১৬ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর ছিল এ আবেদনের সময়সীমা ছিল।
আরও পড়ুন-
আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা যেভাবে হবে
পরীক্ষা বাতিল ‘অনভিপ্রেত’, সিদ্ধান্ত নেবেন বিশেষজ্ঞরা: শিক্ষা উপদেষ্টা