ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট: নিজের শুরুর সময়ের সঙ্গে মিল দেখছেন আকরাম

প্রথমবারের মতো বিসিবির তত্ত্বাবধানে শুরু হয়েছে ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। 

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 May 2023, 01:38 PM
Updated : 6 May 2023, 01:38 PM

নতুন যুগের সূচনা করল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। প্রথমবারের মতো দেশে শুরু হলো ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। ১০ দলের টুর্নামেন্ট উদ্বোধনের পর আকরাম খান বললেন, এই শুরুর সঙ্গে নিজের খেলোয়াড়ি জীবন শুরুর সময়ের মিল পাচ্ছেন তিনি।  

পূর্বাচলের শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম সাইটে শনিবার শুরু হয়েছে শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রিকেটারদের নিয়ে বিশেষ এই টুর্নামেন্ট। প্রতি বছর এটি আয়োজন করে সেরা পারফরমারদের নিয়ে পূর্ণাঙ্গ জাতীয় দল গড়ার লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন বিসিবির ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড কমিটির প্রধান আকরাম। 

দেশে বিচ্ছিন্নভাবে নানা সময়ে হুইল চেয়ার ক্রিকেট, ব্লাইন্ড ক্রিকেট বা ফিজিক্যালি ডিজেবলড ক্রিকেট খেলা হয়েছে। তবে সরাসরি বিসিবির তত্ত্বাবধানে পূর্ণাঙ্গ কোনো টুর্নামেন্ট এবারই প্রথম। সশরীরের উপস্থিত থেকে এই টুর্নামেন্টের পথচলা শুরুর ঘোষণা দেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আকরাম।  

পরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথোপকথনে আকরাম ফিরে যান নিজের ক্যারিয়ার শুরুর দিনগুলিতে। তার আশা, শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ কাঠামোতে চলে আসবে দেশের ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট। 

“সত্যি কথা বলতে, আমরা যখন ক্রিকেট খেলা শুরু করি, আমাদের অবস্থাও কিন্তু এমন ছিল। বরং এর চেয়ে বাজে পরিবেশে খেলতে হয়েছে। এখন যেহেতু ক্রিকেটটা বাংলাদেশের এক নম্বর খেলা। সবাই ক্রিকেট খেলতে চায়। সেটা আমাদের মাথায় আছে।”  

“গত ৪-৫ বছর ধরে আমি (ফিজিক্যালি) ডিজেবলড ক্রিকেটের সঙ্গে আছি। ওদের বিভিন্ন টুর্নামেন্ট হয়। সেগুলোয় আমি থাকি। যেটা দেখলাম, ওদের খেলার খুব ইচ্ছা। বাংলাদেশ যেভাবে সবাইকে খেলার সুযোগ দিচ্ছে, ওদেরকেও কিন্তু দেওয়া উচিত। এটি নিয়ে আমরা বোর্ড প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলাপ করেছি এবং (বোর্ডে) নতুন একটা উইং তৈরি করেছি।” 

টুর্নামেন্ট থেকে ক্রিকেটারদের আর্থিক লাভের প্রসঙ্গে আকরাম জানান, এই বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে একরকম নিশ্চয়তা দিয়েছেন ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড কমিটির প্রধান।  

“আমাদের ২-৩ বছর সময় লাগবে এটা ভালোভাবে আয়োজন করতে। যেহেতু প্রথমবার, আমরা সেরকম সুযোগ সুবিধা দিচ্ছি না। ম্যান অব দা ম্যাচ, ম্যান অব দা সিরিজ বা চ্যাম্পিয়ন- এটা ২-১ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেব। আপাতত চাচ্ছি, ফাইনাল পর্যন্ত যেন ভালোভাবে আয়োজন করতে পারি। তবে অবশ্যই আর্থিকভাবে ওরা সাহায্য পাবে।”  

আকরামের আশা, ক্রিকেটের অন্যান্য দলের মতো ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেটও বিশ্বের বাকি দলগুলোর সঙ্গে লড়াই করে নানান সাফল্য বয়ে আনবে। 

“বিশ্বে কিন্তু (ফিজিক্যালি) ডিজেবলড বলেন, ব্লাইন্ড ক্রিকেট বলেন বা হুইল চেয়ার বলেন, একটা টুর্নামেন্ট হয়। তো আমি দেখছি যে বাংলাদেশেরও সম্ভাবনা আছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার।”  

“আমরা স্রেফ শুরু করলাম। ওদেরকে এখনই পুরোপুরি সব সুবিধা দিতে পারছি না। তবে ২-১ বছরের মধ্যে এটা খুব ভালোভাবে সাজিয়ে ফেলব আমরা। এখন বিভিন্ন দল নিজেদের উদ্যোগে (বিদেশ সফরে) যায়। তবে ২-১ বছরের মধ্যে এটা গুছিয়ে নিয়ে বাংলাদেশ দল নামে যাবে, বিসিবির তত্ত্বাবধানে যাবে। আমরা যদি গুরুত্ব দেই, তাহলে এরা অনেক সাফল্য আনবে।”