আসর সেরা উইলিয়ামসন

খুব কাছে গিয়েও জেতা হলো না শিরোপা। তবে বিশ্বকাপ ফাইনালে অসাধারণ লড়াইয়ের জন্য মাথা উঁচু করেই মাঠ ছেড়েছে কিউইরা। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া কেন উইলিয়ামসন জিতেছেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 July 2019, 08:56 PM
Updated : 14 July 2019, 08:56 PM

নিউ জিল্যান্ডের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে উইলিয়ামসন বিশ্বকাপে জিতলেন ‘ম্যান অব দা টুর্নামেন্ট’ পুরস্কার। ১৯৯২ আসর থেকে এই পুরস্কার দিচ্ছে আইসিসি। সেবার সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক মার্টিন ক্রো।

ফাইনালে খুব বেশি কিছু করতে পারেননি। তবে টুর্নামেন্ট জুড়ে দলের ব্যাটিংকে প্রায় একাই বয়ে নিয়েছেন নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক। দলের প্রয়োজনের সময় খেলেছেন দুর্দান্ত সব ইনিংস। ৯ ইনিংসে দুটি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটিতে ৮২.৫৭ গড়ে করেছেন ৫৭৮ রান।  

নিউ জিল্যান্ড বেশিরভাগ ম্যাচ খেলেছে বেশ কঠিন উইকেটে। কন্ডিশন বুঝে, সময়ের দাবি মিটিয়ে উইলিয়ামসন অসাধারণভাবে সাজিয়েছেন নিজের ইনিংস।

ফিল্ডিংয়ে ছিলেন দুর্দান্ত। সঙ্গে অসাধারণ নেতৃত্ব তো ছিলই। বোলিং খুব একটা করেননি। দুই ম্যাচে হাত ঘুরিয়েছেন। দুই ম্যাচেই নিয়েছেন একটি করে উইকেট।

বারবার শেষ চারে কাটা পড়ায় নিউ জিল্যান্ডের গায়ে লেগে গিয়েছিল সেমি-ফাইনালের দলের তকমা। টানা দুটি আসরের ফাইনালে খেলে সেই তকমা থেকে মুক্তি ঘটেছে। নিজের পুরস্কার জয়ের আনন্দ স্পর্শ করছে না উইলিয়ামসনকে। খুব কাছে গিয়েও শিরোপা জিততে না পারা পোড়াচ্ছে অধিনায়ককে। আবার টুর্নামেন্টে দলের পারফরম্যান্সে গর্বও অনুভব করছেন সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান।

“এই ম্যাচে অনেক ছোট ছোট বিষয় ছিল যেগুলো যে কোনো দিকে যেতে পারত। অসাধারণ একটা আসরের জন্য ইংল্যান্ডকে অভিনন্দন। আমরা যেমন আশা করেছিলাম, পিচ তারচেয়ে একটু ভিন্ন ছিল। বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল।”

“তিনশ ছাড়ানো সংগ্রহ নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। কিন্তু তেমন স্কোর আমরা খুব বেশি দেখিনি। টুর্নামেন্টে দলকে টিকিয়ে রাখতে এবং এতো দূর নিয়ে আসতে নিউ জিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা যে লড়াই করেছে এর জন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই।”