বাংলাদেশ এবারের বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালের লড়াই থেকে ছিটকে গেলেও টুর্নামেন্ট সেরা ক্রিকেটার হওয়ার লড়াইয়ে প্রবলভাবেই আছেন সাকিব। এবারের আসর রাঙিয়েছেন তিনি বিশ্বকাপ ইতিহাসের সেরা অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে।
৯০.৩৩ গড়ে ৭ ইনিংসে এখনও পর্যন্ত ৫৪২ রান করেছেন সাকিব, বাঁহাতি স্পিনে উইকেট ১১টি। বিশ্বকাপে আগের কোনো আসরে ১০ উইকেটের পাশে ৪০০ রানও ছিল না কোনো ক্রিকেটারের।
গত ১০ বছর ধরেই আইসিসি অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে বেশিরভাগ সময় শীর্ষে ছিলেন সাকিব। বরাবরই বাংলাদেশের সেরা পারফরমার। তবে এই বিশ্বকাপে ছাড়িয়ে গেছেন যেন নিজের আগের সব পারফরম্যান্সকে। এমন একজন ক্রিকেটারকে কোচিং করাতে পারা কত বড় প্রাপ্তি, সেই উচ্ছ্বাস ফুটে উঠল বাংলাদেশ কোচের কণ্ঠে।
“সাকিব আল হাসানের সঙ্গে কাজ করতে আমি উপভোগ করি। অসাধারণ ব্যক্তিত্ব সে, অসাধারণ ক্রিকেটার। আমার কাছ থেকে কোনো প্রেরণা নিতে হয়না তাকে। কৃতিত্ব সবটুকুই সাকিবের। তার ভেতর থেকে এসেছে। সবকিছু সে নিজে করেছে। বিশ্বকাপে ভালো করতে সে মরিয়া ছিল।”
বিশ্বকাপে এবার সাত ম্যাচের ছয়টিতেই পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন সাকিব, সেঞ্চুরি করেছেন দুটি। বাকি এক ম্যাচে করেছেন ৪১ রান। এই ধারাবাহিকতা মুগ্ধ করেছে কোচকে।
“কখনও কখনও এমন হয়, কোনো ক্রিকেটার কিছু রান করার পর মনে করে, পরের ম্যাচে হয়তো রান পাব না। যেটি কখনই হওয়া উচিত নয়। পরের ম্যাচেও রান না করার কারণ নেই। সে সেটাই প্রমাণ করে চলেছে। তার সর্বনিম্ন স্কোর ৪১, অসাধারণ ব্যাপার। পাশাপাশি বোলিংটাও মনে রাখতে হবে। কখনও কখনও তার বোলিং ছিল দুর্দান্ত।”