শেষ ব্যাটসম্যান নিয়েও আশা ছিল সাইফের

এক প্রান্তে উইকেট হারাচ্ছিল দল। আরেক প্রান্তে চাবুকের মতো ব্যাট চলাচ্ছিলেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। লড়াই করে গেছেন ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের শেষ পর্যন্ত। ম্যাচ শেষে তরুণ অলরাউন্ডার জানালেন, আরেকপাশে শেষ ব্যাটসম্যানকে নিয়েও ম্যাচ জয়ের আশায় ছিলেন তিনি।

ক্রীড়া প্রতিবেদক বার্মিংহাম থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 July 2019, 07:39 PM
Updated : 2 July 2019, 07:39 PM

৩১৫ রান তাড়ায় টপ ও মিডল অর্ডারে কেবল সাকিব ছাড়া আর কেউ খেলতে পারেননি উল্লেখযোগ্য কোনো ইনিংস। ৬৬ রান করে সাকিব যখন আউট হলেন, বাংলাদেশের রান তখন ৬ উইকেটে ১৭৯। জয় তখন বহু দূর।

সাব্বির ও সাইফের জুটি সেখান থেকেই নতুন করে জাগিয়ে তুলেছিল আশা। ৬৬ রানের জুটির পর সাব্বির ফিরে গেলেও সাইফ চেষ্টা করে গেছেন। শেষ পর্যন্ত সঙ্গীর অভাবে তাকে থমকে যেতে হয় এক প্রান্তে। দ্বিতীয় ওয়ানডে ফিফটিতে অপরাজিত থাকেন ৩৮ বলে ৫১ রানে। পরপর দুটি ইয়র্কারে রুবেল হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমানকে বোল্ড করে ম্যাচ শেষ করে দেন জাসপ্রিত বুমরাহ।

ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাইফ জানালেন, ম্যাচ জেতানোর এমন সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। অতীত থেকেই পাচ্ছিলেন প্রেরণা।

“এ রকম একটা সুযোগের জন্য আমি অপেক্ষা করছিলাম। ম্যাচ জেতানোর বা হিরো হওয়ার। আজকে আমার ব্যাটে-বলে হচ্ছিল। আত্মবিশ্বাস ছিল যে আজকে পারব। দুর্ভাগ্যজনকভাবে পারিনি।”

“আন্তর্জাতিক ম্যাচে এরকম কিছু হয়তো করিনি। কিন্তু অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ম্যাচে এরকম ম্যাচ জিতিয়েছিলাম দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রামে। সেই দিনের কথা স্মরণ করছিলাম। ভাবছিলাম, আজকে আমি পারব (শেষ ব্যাটসম্যানকে নিয়েও)। হয়ে ওঠেনি।”

শুধু এই ম্যাচ নয়, নিজের প্রথম বিশ্বকাপ সব মিলিয়ে খারাপ কাটেনি সাইফের। উইকেট নিয়েছেন ১০টি। ব্যাট হাতে এই ম্যাচের আগে গুরুত্বপূর্ণ একটি ইনিংস খেলেছিলেন নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে। তবে দল সেমি-ফাইনালের লড়াই থেকে ছিটকে যাওয়ায় নিজের পারফরম্যান্স তাকে কোনো তৃপ্তি দিচ্ছে না।

“নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে আমি ভাবি না। যদি আমি উইকেট না পেতাম বা রানও না করতাম, কিন্তু দল সেমি-ফাইনালে উঠত, তবু ভালো লাগত। নিজের বিশ্বকাপ স্মরণীয় করে রাখতে পারতাম। সেটা হয়নি বলে হতাশ।”