মাঠের আকার, উইকেট ও টস নিয়ে ভাবনার জট

এই এজবাস্টনেই অদ্ভুতুড়ে এক অভিজ্ঞতা হয়েছিল বাংলাদেশ দলের। ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি ম্যাচে এমন এক উইকেট খেলতে হয়েছিল, যেখানে এক পাশে মাঠের আকার ছিল ৩৫ থেকে ৪০ গজের মতো। এবারও সেখানেই আলোচনা মাঠের আকার নিয়ে। সঙ্গে ব্যবহৃত উইকেটে খেলা ও টস জিতলে সম্ভাব্য সিদ্ধান্ত নিয়ে ভাবনা গুছিয়ে উঠতে পারছে না বাংলাদেশ দল।

আরিফুল ইসলাম রনিআরিফুল ইসলাম রনিবার্মিংহাম থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 July 2019, 04:02 PM
Updated : 1 July 2019, 04:02 PM

এবার অবশ্য শোরগোল উঠেছে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের আগেই। রোববার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের ম্যাচ শেষে বিরাট কোহলি প্রশ্ন তোলেন মাঠের আকার নিয়ে।
 
এমনিতে এজবাস্টন যথেষ্টই বড় মাঠ। ইংল্যান্ডের সবচেয়ে পুরোনো ও গোছানো ক্রিকেট মাঠগুলোর একটি। তবে বিতর্ক হচ্ছে যে উইকেটে ইংল্যান্ড-ভারত ম্যাচ হয়েছে, সেটির কারণে দুই পাশের ভারসাম্যে তারতম্য হওয়ায়। 
 
ইংল্যান্ডের বেশির ভাগ মাঠের মতো এজবাস্টনেও মাঠের মাঝামাঝি থেকে দুই পাশে প্রায় সীমানা পর্যন্ত উইকেট অনেকগুলো। ইংল্যান্ড-ভারত ম্যাচের জন্য মাঝামাঝি জায়গা থেকে উইকেট না বেছে খেলানো হয়েছে একটু পাশের উইকেটে। যেখানে থেকে এক পাশের সীমানা মাত্র ৫৯ মিটার। আরেক পাশে সীমানা ছিল ৮০ মিটারের বেশি। ক্রিকেট মাঠের সীমানা সব প্রান্তে একইরকম হওয়া জরুরি নয়। তবে দুই পাশে এতটা ফারাক বেশ বিরল।
 
ভারতকে বেশি ভুগতে হয়েছে স্পিনারদের কারণে। দুই রিস্ট স্পিনারের ওপর তারা নির্ভর করে প্রবলভাবে। ছোট বাউন্ডারিকে কাজে লাগিয়ে কুলদীপ যাদব ও যুজবেন্দ্র চেহেলের ২০ ওভারে ইংলিশরা তুলেছে ১৬০ রান। ছোট সীমানা দিয়ে জনি বেয়ারস্টো ৫টি ছক্কা মেরেছেন চেহেলকে।
 
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচেও চলে আসছে সেই আলোচনার রেশ, কারণ এই ম্যাচ হবে একই উইকেটে। বাংলাদেশ অধিনায়কের সংবাদ সম্মেলনেও ঘুরেফিরে বেশ কবার এলো এই প্রসঙ্গ। মাশরাফি অবশ্য মাঠের আকার নিয়ে বিতর্কে যেতে চাইলেন না।
 
“দুই দলের জন্যই উইকেট একই, মাঠ একই। আমরা এখানে এখনও খেলিনি, তাই কোনো মন্তব্য করতে চাই না। তবে হ্যাঁ, এক পাশ বেশ ছোট। ব্যাটসম্যানরা স্বাভাবিকভাবেই সেই পাশটাকে টার্গেট করবে। তবে দুই দলই সেই সুবিধা পাবে।”

একই উইকেটে খেলা ও মাঠের আকার প্রভাব ফেলছে একাদশ বাছাইয়েও। ব্যবহৃত উইকেট বলে এই ম্যাচে উইকেট একটু মন্থর হওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে স্পিনাররা পাবেন সুবিধা। কিন্তু মাঠের আকারের কারণে স্পিনের সমস্যাটাও তুলে ধরলেন মাশরাফি, “একপাশ অনেকটা ছোট। দুই পাশ থেকে স্পিন চালানো তাই কঠিন।”
 
উইকেটের ফায়দা নেওয়ার জন্য স্পিনার বেশি রাখা হবে নাকি মাঠের আকারের ঝুঁকির কারণে স্পিনার কম, সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। টস জিতলে কোনটি বেছে নেওয়া হবে, সেই সিদ্ধান্তও জরুরি।
 
ব্যবহৃত উইকেটে বেশিরভাগ সময়ই দলগুলি আগে ব্যাট করতে চায়। উইকেট পরের দিকে আরও মন্থর হয়ে ওঠে সাধারণত। ব্যাটিংয়ের জন্য হয়ে ওঠে কঠিন। তবে মাশরাফি তুলে ধরলেন অন্য ছবি, ভারত যে রান তাড়ায় বেশ ভালো! বাংলাদেশ অধিনায়ক জানালেন, সবাই মিলে নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত।
 
“ওরা রান তাড়ায় ভালো দল। ইংল্যান্ডের সঙ্গে পারেনি, ইংল্যান্ডের বোলিংও তো বেশ ভালো (বাংলাদেশের তুলনায়)। আবার আগে ব্যাট করলে, অবশ্যই বড় স্কোর গড়তে হবে। তো এরকম অনেক কিছু আছে, যেসব চিন্তা করতে হবে।”
 
“ভারতের বিপক্ষে তাই টস জিতলেও আগে ব্যাট করা উচিত কিনা, আমি জানি না। এরপরও দল যা চায়, সেভাবেই হবে। ব্যবহৃত উইকেটে আগে ব্যাট করতে চায় সবাই। যদিও আমি ঠিক নিশ্চিত নই, ভারতের বিপক্ষে সেটি কতটা কার্যকর হবে। তবে সবাই যেটি চায়, সেটি হবে।”