ভারত বধের ছক কষছেন বাংলাদেশের যে ভারতীয়

লোকেশ রাহুল তার কাছের বন্ধু। ভুবনেশ্বর কুমারের সঙ্গে সম্পর্ক দারুণ। ভারতীয় ক্রিকেটের অনেকের সঙ্গে আছে ঘনিষ্ঠতা। নিজেও ভারতীয়। তবে আপাতত তিনিই আঁকছেন ভারতকে হারানোর ছক। মুম্বাইয়ের ছেলে শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখরন বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স অ্যানালিস্ট। ক্রিকেটারদের অনেকে তাকে বলেন দলের ‘ব্রেইন’। আপাতত তিনি ব্যস্ত প্রিয় বন্ধু রাহুলকে ফেরানো, নিজ দেশ ভারতকে হারানোর পরিকল্পনা সাজাতে।

আরিফুল ইসলাম রনিআরিফুল ইসলাম রনিবার্মিংহাম থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 June 2019, 04:43 PM
Updated : 28 June 2019, 05:29 PM

গত বছরের জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স অ্যানালিস্ট হিসেবে কাজ করছেন শ্রীনিবাস। অ্যানালিস্ট হিসেবে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে তার চাহিদা ক্রিকেট বিশ্বজুড়ে। বাংলাদেশ দলে মিশে গেছেন দারুণভাবে। প্রতিপক্ষকে জানতে, নিজেকে আরও ভালোভাবে চিনতে ক্রিকেটাররা তার ওপর নির্ভর করেন প্রবলভাবে। পেশার বাইরেও হয়ে উঠেছেন দলের সবার বন্ধু।

প্রতিপক্ষ স্বদেশ

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পরের ম্যাচে আগামী মঙ্গলবার প্রতিপক্ষ ভারত। ‘আপনার দেশের সঙ্গে খেলা....’, কথা শেষ হওয়ার আগেই কেড়ে নিলেন শ্রীনিবাস, “ভারতীয় হিসেবে আমি অবশ্যই নিজ দেশ নিয়ে গর্বিত, তবে আমার দেশ এখন বাংলাদেশ। এই দেশের প্রতিটি মানুষের মতোই আমাদের সঙ্গে ভারতের হার দেখতে চাই।”

এমনিতে পেশাদারিত্বের এটি মৌলিক দিক। বাংলাদেশের জয়ের সব রকম পথ তিনি বাতলে দিতে চাইবেন বটে। তবে পাশাপাশি মজার আরেকটি কারণও আছে। ভারতকে মাঠের লড়াইয়ে হারাতে পারলে, ভারতীয় ক্রিকেটে তার বন্ধুদের সঙ্গে কথার লড়াইয়েও জেতা যাবে!

“ওদের অনেকের সঙ্গেই আমার সবসময় খুনসুটি চলছে। মজা করা হয় অনেক। আমি অপেক্ষায় আছি, আমরা কবে ভারতকে হারাব। বিশ্বকাপে হারাতে পারলে দারুণ হবে, ওদেরকে অনেক কথা শোনাতে পারব, হালে পানি পাবে না আমার সঙ্গে...!”

ইলেক্ট্রনিক্স কৌশল থেকে ক্রিকেট কৌশলে

শ্রীনিবাসের জন্ম ও বেড়ে ওঠা মুম্বাইয়ে। সেখানেই শেষ করেছেন কলেজ। পরে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চলে যান চেন্নাইয়ে। পড়েছেন ইলেকট্রনিক্স ও কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং। যদিও তার নিজের ইচ্ছে খুব একটা ছিল না, “কখনোই চাইনি ইঞ্জিনিয়ারিং করতে। পরিবারের চাপে যেতে হয়েছে। ভালো লাগত না একদম। তবু পরিবারকে খুশি রাখতে শেষ করলাম পড়াশোনা।”

পড়াশোনা শেষের আগেই অবশ্য ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ গতিপথের সন্ধান পেয়ে যান। ছোট থেকেই তার ভালো লাগা, আবেগ ছিল খেলাধুলা ঘিরে। পেশাদার খেলোয়াড় হওয়ার বাস্তবতা ছিল না, কিন্তু খুব করে চাইতেন যেন এই জগতেই কোনোভাবে ক্যারিয়ার গড়তে।

পথের রেখা মিলল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময়ই। শ্রীনিবাস শোনালেন সেই গল্প।

“পড়াশোনার পাশাপাশি স্থানীয় বিভিন্ন একাডেমির হয়ে ক্রিকেট খেলতাম। একবার এক একাডেমির কোচ জিজ্ঞেস করলেন, ‘পড়াশোনা শেষে কি করবে?’ আমি বললাম, ‘ইঞ্জিনিয়ারিং আমাকে দিয়ে হবে না। টিপিক্যাল কিছু করতে চাই না। খেলাধুলা সংক্রান্ত যে কোনো কাজ পেলে লুফে নেব। ২-৩ বছর পর একদিন আচমকা তার ফোন পেলাম। বললেন একটি স্পোর্টস অ্যানালাইসিস ফার্মে কাজ করার সুযোগ আছে। ‘হ্যাঁ’ বলে দিতে সময় নেইনি।”

সেই ফার্ম থেকেই শুরু। ক্রিকেটের সরাসরি স্রোতে ঢুকতে পারলেন সেই ফার্মের সূত্রেই। কর্নাটক প্রিমিয়ার লিগে হুবলি টাইগার্স দলের হয়ে কাজ করার সুযোগ পেল তাদের ফার্ম। সেখানে তিনি নিজেকে চেনালেন আলাদা করে।

ওই দলে খেলতেন লোকেশ রাহুল ও চিদাম্বরম গৌতম। তারা কর্নাটক রাজ্য দলের জন্য সুপারিশ করলেন শ্রীনিবাসের নাম। সাক্ষাৎকারের পর চাকরি পেয়েও গেলেন। তিনি অ্যানালিস্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর ঘরোয়া ক্রিকেটে টানা দুই বছর ট্রিপল জিতেছে কর্নাটক, ভারতীয় ক্রিকেটে সেটির নজির নেই আর। তার নাম-ডাক হয়ে গেল বেশ।

সেই পরিক্রমায় সুযোগ পেলেন আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দলে কাজ করার। দলটিতে আগের দুই বছরে দুইজন অ্যানালিস্ট কাজ করেছেন। কিন্তু কাজে সন্তুষ্ট ছিল না দল। শ্রীনিবাস আসার পর ২০১৬ আইপিএলে সানরাইজার্স চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল। এর কিছুদিন পরই বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে তার সম্পর্কের শুরু।

“আইপিএলে কোনো দল চ্যাম্পিয়ন হলে তাদের সাপোর্ট স্টাফের সবার ওপরে অন্য লিগগুলোর নজর থাকে। কিছুদিন পরই আমি ফোন পেলাম চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে বিপিএল কাজ করার। চিটাগংও সেবার ভালোই করল।”

সেটি ছিল কেবলই শুরু। পরের বিপিএলে টম মুডিকে কোচ নিয়োগ দিল রংপুর রাইডার্স। সানরাইজার্স থেকেই শ্রীনিবাসকে ছাড়া মুডির চলেই না। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের এই তুমুল জনপ্রিয় কোচের কোচিং স্টাফের অপরিহার্য অংশ শ্রীনিবাস। পিএসএলেও শ্রীনিবাসকে ছাড়েননি মুডি। তাকে নিয়ে এলেন রংপুরেও।

রংপুরে কাজ করার সময়ই তাকে দারুণভাবে মনে ধরে যায় মাশরাফি বিন মুর্তজার। তিনিই বিসিবিকে অনুরোধ করেন, বাংলাদেশ দলে তাকে সম্পৃক্ত করার সম্ভাব্যতা দেখতে। বোর্ড তার সঙ্গে, মুডির সঙ্গে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে দলে নিয়ে নেয় তাকে। বিসিবির প্রস্তাব পাওয়ার দিনটির মজার একটি ঘটনা মনে করে এখনও হাসেন শ্রীনিবাস।

“বিপিএলে সেদিন বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ। আমরা ফুটবল খেলছিলাম মজা করে। ম্যাশ ভাই এসে বলল, ‘সিইও তোমার সঙ্গে কথা বলবে। দেখা করো।” আমি ভেবেছি রংপুরের সিইও। ভাবলাম ফুটবল খেলা শেষে যাব। একটু পরে ম্যাশ ভাই আবার এসে বললেন, দেখা করেছো? আমি বিসিবির সিইওর সঙ্গে কথা বলছি কিন্তু!’ তখন গিয়ে দেখা করলাম।”

“প্রস্তাব পাওয়ার পর টমের (মুডি) সঙ্গে কথা বলি। উনি সাহস দিলেন যে এখন সময় হয়েছে আন্তর্জাতিক দলে কাজ করার। আমার ভাবনা ছিল ২০২৩ বিশ্বকাপে হয়তো কোনো দলে কাজ করব। বিসিবিকে ধন্যবাদ সুযোগটির জন্য। বাংলাদেশের প্রতি আমার আবেগটাও এজন্য বেশি, প্রথম আন্তর্জাতিক দল আমার।”

‘ফটোজেনিক মেমোরি’

‘ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সঙ্গে ক্রিকেট অ্যানালিস্টের সম্পর্ক কি?’ প্রশ্ন শুনে হাসেন শ্রীনিবাস, “কোনো সম্পর্ক নেই। ওই ফার্মে কাজ শুরুর পর সফটওয়ারটা বুঝে নিতে আমার ১০-১৫ দিন সময় লেগেছে। এরপর নিজেই ডাটা সংগ্রহ করেছি, ফার্মের কাজের বাইরেও নিজে সফটওয়ার ডেভেলপ করেছি। আর ক্রিকেট নিয়ে আমার পড়া, জানাশোনা ছিল। বুঝতাম ভালো। প্যাশন তীব্র। এটা খুব সাহায্য করেছে এগিয়ে যেতে।”

আরেকটি সহজাত ক্ষমতা তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে। তার নিজের ভাষায়, ‘ফটোজেনিক মেমোরি’। একবার কিছু দেখলে আর ভোলেন না।

“একটা ব্যাপার আমার পক্ষে খুব কাজ করেছে, আমার ফটোজেনিক মেমোরি। আমার সবসময়ই মনে হয়েছে, ক্রিকেটে এটা কাজে লাগতে পারে। সেটা হতে পারে পরিসংখ্যানবিদ বা ধারাভাষ্যকার, বা যে কোনো কিছুতে।”

“অ্যানালিস্ট হওয়ার পর ফটোজেনিক মেমোরিটা খুব সাহায্য করেছে শুরু থেকেই। সব মনে থাকে আমার। প্রচুর খেলা দেখতাম, এখনও দেখতে হয়। ধরুন কোনো ব্যাটসম্যান একভাবে আউট হয়ে গেল, আমার মাথায় একদম গেঁথে যায়। অনেক পরেও আবার ওরকম আউট হলে আমি সঙ্গে সঙ্গে বলে দিতে পারব আগে কখন হয়েছে। কারও আউটের প্যাটার্ন, শট খেলা বা খুঁটিনাটি সবকিছু আমার মাথায় থাকে। খেলাটা বুঝি বলে হয়তো সহজ হয়েছে।”

বিশ্বের সব ক্রিকেট খেলুড়ে দেশের সম্ভাব্য সব ক্রিকেটারের শক্তি-দুর্বলতা থেকে শুরু করে খুঁটিনাটি অনেক কিছু, জমা আছে তার ল্যাপটপ ও ফোনে। তবে সবচেয়ে বেশি সচল তার মস্তিষ্ক।

কোন ব্যাটসম্যানকে কিভাবে আউট করা যায়, কোন ধরনের ডেলিভারিতে কোন ব্যাটসম্যানের জন্য ফিল্ড প্লেসিং কিভাবে করতে হবে, ল্যাপটপ না দেখেই গড়গড় করে বলে দিতে পারেন। যেটা বিশ্বের শীর্ষ ব্যাটসম্যান হোক বা কোনো টেলএন্ডার। কিভাবে এটা সম্ভব, সেটা এক বিস্ময় বটে। শ্রীনিবাস জানালেন চর্চার কথা। অভ্যাসের কথাও।

“এত এত খেলা যে হয়, আমি সব অনুসরণ করি। সিনেমা খুব বেশি দেখি না, বই-টই অত পড়ি না। এ কারণে হয়তো ক্রিকেটই মাথায় থাকে। শুধু ক্রিকেট দেখি। দুনিয়ার যে প্রান্তেই খেলা হোক, যে কোনো খেলা, আমি দেখি। খেলা টিভিতে না দেখালে অন্তত স্কোর দেখি, খোঁজখবর রাখি। এই যে বিশ্বকাপ চলছে, অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের ইংল্যান্ড সফরের ম্যাচে কে কিভাবে আউট হয়েছে, সব আমি জানি।”

“ক্রিকেটারদের বিশ্রাম থাকে, আমার কোনো অফ সিজন নেই। সারা বছর সবকিছু আমি অনুসরন করি। কারণ ক্রিকেটাররাও বদলাতে থাকে। যেটা আমি দুর্বলতা ভেবে রেখেছি, সেখানে হয়তো উন্নতি করেছে। তার অন্য কিছু বের করতে হবে। বোলার হয়তো এক ফিল্ড সেট আপ নিয়ে বল করত, এখন ভিন্ন করছে। সেটার কারণ বের করি।”

এভাবে তার উপাত্ত ভাণ্ডার সমৃদ্ধ হচ্ছে প্রতিদিনই। জমা হচ্ছে তার স্মৃতি কোষেও। তবে এসব উপাত্ত, তথ্যই যে সবকিছু নয়, সেটিও মনে করিয়ে দিলেন শ্রীনিবাস।

“আমি স্রেফ বলে দিতে পারি। পরিকল্পনায় সাহায্য করতে পারি। মাঠে বাস্তবায়ন ক্রিকেটারদের করতে হয়। আমি কোচ নই, অধিনায়ক নই, ক্রিকেটার নই। আমি স্রেফ কিছু তথ্য দেব, ভাবনা জানাব, যা মাঠের বাইরে পরিকল্পনা করতে ও মাঠে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।”

“অনেক সময় ক্রিকেটারদের বুঝে প্ল্যান করতে হয়। যে বোলার ওয়াইড ইয়র্কার করতে পারে না, তার জন্য আমি সেই প্ল্যান তো দিতে পারি না। জোর করতে পারি না। তার যা সামর্থ্য আছে, সেসবের মধ্য থেকেই সাফল্য পাওয়ার উপায় বের করতে হবে। তবেই আমার স্বার্থকতা।”

স্বার্থক তিনি কতটা হতে পারছেন, সেটিও নির্ভর করে মাঠে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের ওপর। তিনিও চান, আড়াল থেকে শক্তির উৎস হয়ে উঠতে, যা মাঠে আলোকিত করে তুলবে ক্রিকেটারদের।

“সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আড়াল থেকে কাজ করা। কঠিন কাজটা করতে হয় ক্রিকেটারদের। আমি তো স্রেফ বলেই দিতে পারি, এটা করো। কিন্তু মাঠে নেমে করা সহজ নয়। আমার সাফল্য-ব্যর্থতা তাদের মাঠে করে দেখানোর ওপর নির্ভর করে। তো গুরুত্বপূর্ণ হলো, তাদেরকে দেখিয়ে দিয়ে পেছন থেকে কাজটা করতে দেখা, উপভোগ করতে দেওয়া।”

প্রিয় অ্যানালিস্ট, প্রিয় বন্ধু

বিশ্বকাপের আগে তখন আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ চলছে। শ্রীনিবাস তখনও দলে যোগ দেননি, আইপিএল চলছে। বিসিবির সঙ্গে তার চুক্তির ধরনই এমন। মাশরাফি মুর্তজা, তামিম ইকবালরা তখন হায়দরাবাদের প্রতি ম্যাচেই স্কোর দেখেন আর তাদের পরাজয় কামনা করেন। হায়দরাবাদ ছিটকে গেলেই যে শ্রীনিবাস এসে যোগ দেবেন বাংলাদেশ দলে!

সেই চাওয়া অ্যানালিস্টকে দলে প্রয়োজনের দিক থেকে যেমন, তেমনি বন্ধুত্বের তাগিদেও। ক্রিকেটারদের সঙ্গে তার বন্ধুত্বের গভীরতা দারুণ। সিনিয়রদের সঙ্গে যেমন ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা দিচ্ছেন, জুনিয়র কেউ এসে মজা করে তার গলা ধরে ঝুলে পড়তে পারেন। সবাই তাকে ডাকেন ‘শ্রী’ নামে, সবার কাছেই দারুণ প্রিয় তিনি। বন্ধুত্বকে অবশ্য তিনি মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি হিসেবেই দেখেন।

“একসঙ্গে এত সময় কাটালে সম্পর্ক গড়েই ওঠে। আর আমি নিজে মিশুক, দলের ছেলেরা মিশুক। ওদের সঙ্গে অনেক কিছুতেই আমার মনের মিল। তাই ভালো সম্পর্ক হতে সময় লাগেনি।”

তবে এই বন্ধুত্ব তার কাজের ক্ষেত্রেও সহায়তা করছে দারুণভাবে, সেটিও বললেন নিজে থেকেই।

“লোকে মনে করে সফটওয়্যার থাকলে, বা প্রযুক্তিই সব করে দেয়। আসলে সেটি কেবল প্রাথমিক ধাপ। খেলাটা বুঝতে হবে, ক্রিকেটারদের মানসিকতা আলাদা করে বুঝতে হবে, পরিস্থিতি বুঝতে হবে। ম্যাচ সচেতনতা থেকে শুরু করে সবকিছু, ক্রিকেটারদের যতটা জানা থাকে, অ্যানালিস্টকেও ততটা থাকতে হবে। ভালো সম্পর্ক অবশ্যই পরস্পরকে ভালোভাবে জানতে, মানসিকতা বুঝতে সহায়তা করে।”