ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে শনিবার ২৯২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ব্র্যাথওয়েট যখন ক্রিজে আসেন তখন ১৪২ রানে চার উইকেট হারিয়ে চাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেখান থেকে আর ২৪ রান যোগ হতে ফিরে যান থিতু ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইলসহ আরও তিন জন।
এরপর দলের ভার নিজের কাঁধে তুলে নেন ব্র্যাথওয়েট। কেমার রোচের সঙ্গে ৪৭, শেলডন কটরেলের সঙ্গে ৩৪ ও ওশান টমাসের সঙ্গে ৪১ রানের জুটি গড়েন তিনি। এর মধ্যে শেষ উইকেটের জুটিতে ২০ বলে একাই ৪১ করেন ব্র্যাথওয়েট।
শেষ সাত বলে ৬ রান দরকার ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ৪৯তম ওভারের শেষ বলে জিমি নিশামকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সীমানায় ট্রেন্ট বোল্টের হাতে ধরা পড়েন ব্র্যাথওয়েট। চরম হতাশায় মাথা নুইয়ে ফেরেন ৮২ বলে ১০১ রান করে।
“অবশ্যই, বলটা সীমানার উপর দিয়ে পাঠাতে না পেরে আমি বিধ্বস্ত। আমি ভেবেছিলাম বলটা ব্যাটে ভালোই লেগেছে। আমি অনেক ওপর দিয়ে বল বাইরে পাঠাতে চেয়েছিলাম কিন্তু সেখানে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিল্ডার ছিল।…আর এক বা দুই গজ গেলেই আমরা জয়ী হতাম।”
তবে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ব্র্যাথওয়েট কখনোই ধারাবাহিকভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। প্রথম ৩৭ ওয়ানডেতে তার ফিফটি মাত্র একটি, এবার পেলেন সেঞ্চুরির দেখা। তাই জিততে না পারার হতাশা থাকলেও ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারায় আছে কিছুটা তৃপ্তিও।
“অবশ্যই, আমি জানতাম যে আমি পারব। আমি কখনোই পরিশ্রম করা বন্ধ করিনি। তাই কঠোর পরিশ্রমের ফল পাওয়াটা দারুণ। টেস্ট ক্রিকেটে আমার গড় ৪৫। তাই আমার মনে হয়, আমি কিছুটা ব্যাট করতে পারি।”
“সেঞ্চুরিটা যেহেতু হেরে যাওয়া ম্যাচে তাই এটা অম্লমধুর অনুভূতির। নিজেকে আমি কষ্ট দিব না, কারণ বলটা মাঠ পেরিয়ে যেতে পারতো এবং আমরা জিততে পারতাম।”
নিজেদের প্রথম ছয় ম্যাচের মাত্র একটিতে জেতা ওয়েস্ট ইন্ডিজের পয়েন্ট ৩। পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে অভিযান শুরু করা দুবারের বিশ্বকাপ জয়ীদের দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল।