সুযোগ তার আগেই এসেছিল। বিশ্বকাপে দলের প্রথম তিন ম্যাচে জায়গা পেয়েছিলেন মিডল অর্ডারে। কিন্তু পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারেননি। প্রথম দুই ম্যাচে ভালো শুরু করলেও শেষ করতে পারেননি। তৃতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আউট হয়েছেন প্রথম বলেই।
সেটির খেসারত দিতে হয়েছে তাকে পরে। তার জায়গায় সুযোগ দেওয়া হয় লিটন দাসকে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবার পাঁচ নম্বরে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৬৯ বলে ৯৪ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেন লিটন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও শুরুটা খুব ভালো করেছিলেন লিটন। আউট হয়ে যান অ্যাডাম জ্যাম্পার দারুণ ডেলিভারিতে।
লিটন যেভাবে শুরু করেছেন নতুন পজিশনে, তাতে এই বিশ্বকাপে মিঠুনের আর জায়গা পাওয়া কঠিন। সেই বাস্তবতা জানেন তিনি নিজেও। তবে ক্রিকেটে বাস্তবতা বদলায় ক্ষণে ক্ষণে। সামনে যদি কখনও আবার আসে সময়, সেই সময়ের জন্য আপাতত নিজেকে প্রস্তুত রাখছেন মিঠুন।
“আসলে এটাকে আমি ইতিবাচকভাবেই দেখছি। আমার জায়গায় লিটন এসে অনেক ভালো করেছে। ওই ম্যাচ জয়ে ওর অনেক বড় অবদান ছিল। গত ম্যাচেও ভালো ব্যাটিং শুরু করেছিল।”
“আমার কাজ নিজেকে প্রস্তুত রাখা। কারণ যে কোনো সময় আবার আমাকে প্রয়োজন হতে পারে। চেষ্টা করছি অনুশীলন ঠিকমতো করতে, নিজের কাজগুলো করে রাখতে।”