টর্নেডো ইনিংস খেলে নিজেই বিস্মিত মর্গ্যান

এটা ছিল সেই সব দিনের একটি যখন সব কিছুই পক্ষে আসে। তাই হয়তো সম্ভব হয়েছে অমন ঝড়। প্রতিপক্ষের বোলিং এভাবে গুঁড়িয়ে দিতে পারবেন, কখনও ভাবেননি ওয়েন মর্গ্যান। নিজের খুনে ব্যাটিংয়ে নিজেই অবাক ইংলিশ অধিনায়ক।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 June 2019, 09:15 PM
Updated : 18 June 2019, 09:16 PM

প্রতিপক্ষের বোলারদের চোখের-পানি নাকের পানি এক হতে অনেকবার দেখেছেন মর্গ্যান। কখনও তা জস বাটলারের সৌজন্যে, কখনও জেসন রয়-অ্যালেক্স হেলস-মইন আলি-জনি বেয়ারস্টোর সৌজন্যে। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে সতীর্থদের চেয়ে কম যান না মর্গ্যান। তবে তার নিজের কখনও মনে হয়নি, অমন তাণ্ডব চালানো তার পক্ষে সম্ভব।

“কখনও ভাবিনি আমি এমন ইনিংস খেলতে পারব। খেলতে পেরে খুব ভালো লাগছে। জস (বাটলার) না আমি কে ক্রিজে যাব এটা নিয়ে একটা ফিফটি-ফিফটি কল ছিল। সম্ভবত এটা সহায়ক হয়েছে। কারণ, প্রথম কয়েকটা বল খেলার পর আমার আর কোনো বিকল্প ছিল না। আমাকে ঝুঁকি নেওয়া শুরু করতেই হতো, কারণ এরপর ও আসতো। ওরা আমার ক্যাচ ছাড়ার পর আমার জন্য ব্যাপারটা হয়ে যায় স্রেফ এগিয়ে যাওয়া। হ্যাঁ, এটা ছিল সেই সব দিনের একটি।”

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৭১ বলে ১৪৮ রানের ইনিংস খেলেছেন মর্গ্যান। ওয়ানডেতে যা তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। ২০১১ বিশ্বকাপে করেছিলেন ১২০, পরের আসরে ৯০! প্রতি আসরে মোট যত রান করেছিলেন তা ছাড়িয়ে গেলেন এক ইনিংসেই। তা করার পথে হাঁকালেন ১৭ ছক্কা, ওয়ানডেতে এক ইনিংসে কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ। ছাড়িয়ে গেলেন রোহিত শর্মা, এবি ডি ভিলিয়ার্স ও ক্রিস গেইলের ১৬ ছক্কার রেকর্ড। এটা নিজের কাছেই অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে ইংলিশ অধিনায়কের।

“সত্যি বলতে কী, আমি জানি না। এটা অস্বাভাবিক, খুবই অদ্ভুত। এটা এমন কিছু যা করতে পারবো বলে কখনও ভাবিনি। করতে পেরে ভালো লাগছে। ”

“আমার মনে হয়, ড্রেসিংরুমে আমি এখন সবার লক্ষ্য হয়ে যাব। আমি যে সেঞ্চুরিগুলো করি তা আমাদের ড্রেসিং রুমে মন্থর বলে বিবেচিত। ছেলেরা সব সময় এটা নিয়ে কথা বলে।”

৩০ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের রান ছিল ১৬২/২। সেখান থেকে বড়জোর তিনশ পর্যন্ত যাওয়া সম্ভব ভেবেছিলেন মর্গ্যান। তার টর্নেডো ইনিংসে ইংল্যান্ড করে ৬ উইকেটে ৩৯৭ রান, বিশ্বকাপে তাদের সর্বোচ্চ। শেষ পর্যন্ত ১৫০ রানে জিতে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে যায় স্বাগতিকরা।