ব্যাটিংয়ে কাজের ফল পেয়েছেন সাকিব

বিশ্বের মাত্র চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে বিশ্বকাপের প্রথম চার ম্যাচে পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেললেন সাকিব আল হাসান। প্রথম দুই ম্যাচে ফিফটি করে ফেরার পর টানা দুই ইনিংসে করলেন সেঞ্চুরি। আইসিসি ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ অলরাউন্ডার মনে করেন, ব্যাটিং নিয়ে দেড় মাসের পরিশ্রমের ফল পাচ্ছেন তিনি।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 June 2019, 06:54 PM
Updated : 17 June 2019, 06:54 PM

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৫ রানের ইনিংস দিয়ে শুরু বিশ্বকাপ করেন সাকিব। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ফিরেন ৬৪ করে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি করে থামেন ১২১ রান করে। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অপরাজিত ১২৪ রানের ইনিংসে দলকে এনে দিলেন দারুণ এক জয়। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতার পর জানালেন, এই পারফরম্যান্স তার পরিশ্রমের ফসল।

“এটা অসাধারণ একটা অনুভূতি। অবশ্যই উইকেটে শেষ পর্যন্ত থাকতে পারাটা সবচেয়ে সন্তুষ্টির। আমি ব্যাটিং নিয়ে গত দেড় মাস ধরে কাজ করেছি। তারই ফল পাচ্ছি। আমার মনে হয়, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আমরা ডিসেন্ট একটা স্কোরে থামাতে পেরেছিলাম। ওদের ইনিংস শেষে আমার বিশ্বাস ছিল, যদি ভালো ব্যাটিং করতে পারি তাহলে আমরা ওই রান পেরিয়ে যেতে পারব।”

৩২১ রান তাড়ায় ৫১ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জেতে বাংলাদেশ। টানা দুই সেঞ্চুরিতে এবারের আসরে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকার শীর্ষে উঠেছেন সাকিব। বিশ্বকাপে এক আসরে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ মাহমুদউল্লাহর ৩৬৫ ছাড়িয়ে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান করেছেন ৩৮৪ রান।

সাকিবের ব্যাটে এখন রানের জোয়ার। ব্যাটিং অর্ডারে পাঁচ থেকে তিন ওঠার পর এগিয়ে যাচ্ছেন তরতর করে।

“তিনে নামার সিদ্ধান্ত কেন নিয়েছিলাম? আমি জানি না (হাসি)। তবে আমি জানতাম যদি আমি তিনে ব্যাটিং করি তাহলে বেশি সুযোগ পাব। বেশি সময় ধরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাব। পাঁচে ব্যাটিং করার সময় কখনও কখনও আমি ৩০ বা ৪০ ওভারের সময় নামতাম। আমার মনে হয়েছিল, এটা আমার জন্য আদর্শ নয়। এ কারণেই আমি ওপরের দিকে ব্যাটিং করতে চেয়েছিলাম। এর বাইরে অন্য কোনো কারণ নেই।”

দুর্দান্ত সেঞ্চুরির আগে সাকিব ৫৪ রানে নেন ২ উইকেট। এবারের আসরে সব মিলিয়ে নিলেন ৫ উইকেট। তার বিশ্বাস, বোলিংয়ে আরও বেশি অবদান রাখার সামর্থ্য আছে তার।

“বোলিংয়েও অবদান রাখা প্রয়োজন ছিল। আমি আমার বোলিং নিয়ে কাজ করছি। এই মুহূর্তে ঠিকঠাক করছি, তবে আমি অবশ্যই এর চেয়েও ভালো করতে পারি।”

কুমার সাঙ্গাকারা বিশ্বকাপে টানা চার ম্যাচে করেছিলেন সেঞ্চুরি। তিনি ছাড়া ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্টে সেঞ্চুরির হ্যাটট্রিক নেই কারোর। পারবেন সাকিব?

“আশা করি হবে। তবে সেরা ছন্দে থাকা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কাজটা সহজ নয়। ওদের বিপক্ষে আমাদের সেরা খেলাটা খেলতে হবে।”

অন্য সব মাঠের মতো টনটনেও গ্যালারিতে ছিল বাংলাদেশের প্রবল সমর্থন। সাকিবের আশা পুরো টুর্নামেন্টেই এমনটা থাকবে।

“ওরা আমাদের পুরো বিশ্বকাপে সমর্থন জানিয়ে এসেছে। আশা করি, ওরা এটা অব্যাহত রাখবে। এই বিশ্বকাপে জুড়ে ওরা অসাধারণ।”