বিশ্বকাপের নকআউট পর্বেই ওয়ানডে ক্যারিয়ারের শেষ দেখছেন না মিচেল স্টার্ক। তবে যতদিন সম্ভব টেস্ট ক্রিকেটে খেলার লক্ষ্যে সাদা বলের ক্রিকেট থেকে আগে অবসর নেবেন বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসার।
এখন পর্যন্ত ১১৯ ওয়ানডেতে ২৩.১৭ গড়ে ২৩০ উইকেট নিয়েছেন স্টার্ক। ২০২৭ সালে পরের বিশ্বকাপে নিশ্চিতভাবেই তিনি থাকবেন না। বয়স হয়ে যাবে তখন ৩৭। তবে খুব শিগগির ওয়ানডে ছাড়ার ভাবনাও তার নেই।
বিশ্বকাপের পর অস্ট্রেলিয়ার পরবর্তী ওয়ানডে সিরিজ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। তবে এরপর সেপ্টেম্বরের ইংল্যান্ড সফরের আগে আর কোনো ওয়ানডে নেই তাদের। ২০২৫ সালে পাকিস্তানে হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি।
কলকাতায় সোমবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ার নিয়ে নিজের ভাবনা জানান স্টার্ক।
“আমি এর (বিশ্বকাপ) পরেও খেলা চালিয়ে যেতে চাই, তবে কোনো সন্দেহ নেই যে, পরের বিশ্বকাপে খেলতে পারব না। ওই বিশ্বকাপের জন্য আমার কোনো ভাবনা নেই। চার বছর অনেক দীর্ঘ সময়।”
“আমার কাছে টেস্ট ক্রিকেটই সর্বোচ্চ স্তর। টেস্ট ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার আগে বাকি সব ছেড়ে দেব। আমার জন্য (সেমি-ফাইনাল) অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আরেকটি একদিনের ম্যাচ। আমার জন্য ওয়ানডে ক্রিকেটের পথ এখানেই শেষ নয়।”
ইডেন গার্ডেন্সে আগামী বৃহস্পতিবার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া। নিশ্চিতভাবেই অস্ট্রেলিয়াকে আরেকটি বিশ্বকাপ ফাইনালে নিয়ে যাওয়ার আশায় থাকবেন স্টার্ক। তার জন্য এবারের আসরটা যদিও ২০১৫ ও ২০১৯ বিশ্বকাপের মতো ভালো কাটেনি।
২০১৫ বিশ্বকাপে দলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে তিনি নিয়েছিলেন যৌথভাবে আসরের সর্বোচ্চ ২২ উইকেট। চার বছর পরের আসরে ধরেন ২৭ শিকার, এক বিশ্বকাপে যা সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড। এবার সেখানে ৮ ম্যাচে ৪৩.৯০ গড় ও ওভারপ্রতি ৬.৫৫ রান দিয়ে উইকেট নিয়েছেন স্রেফ ১০টি।
নিজের সেরার কাছাকাছি যে নেই, তা স্বীকার করে নিলেন স্টার্ক। একই সঙ্গে জানালেন, গত অ্যাশেজের পর থেকে বেশ কিছু ছোটখাটো চোট সঙ্গী করে চলছেন তিনি।
“আমি অবশ্যই সেই স্তরে নেই, যা চেয়েছিলাম। অথবা গত দুটি বিশ্বকাপের মতো একই পর্যায়ে নেই, তবে এখন আবার ম্যাচের ফলে প্রভাব বিস্তার করার সুযোগ আছে।”
“অবশ্যই নির্দিষ্ট কিছু উইকেটে প্রথমে বোলিং করা, নতুন বলে দুই ফিল্ডারকে বৃত্তের বাইরে রেখে বোলিং করা আমার মনে হয় সবচেয়ে কঠিন। খেলা চলার সঙ্গে সঙ্গে উইকেট সম্পর্কে কিছুটা বুঝতে পারবেন...এটিই একদিনের ক্রিকেটের বৈশিষ্ট্য।”