বাংলাদেশের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচের ফল ভুলে গিয়ে বিশ্বকাপে ভালো শুরুর বার্তা দিলেন আফগানিস্তান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদি।
Published : 06 Oct 2023, 05:52 PM
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সবশেষ লড়াইয়ে অনায়াস জয় বাংলাদেশের। সার্বিক মুখোমুখি পরিসংখ্যানেও এগিয়ে তারা। তাই বলে আশা ছাড়তে রাজি নয় আফগানরা। বরং ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প লিখে বিশ্বকাপে শুভ সূচনা করতে চান দলটির অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদি।
ধারামশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে শনিবার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। জুলাইয়ে বাংলাদেশের মাঠে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ, অগাস্টে এশিয়া কাপের পর গত কয়েক মাসের মধ্যে দুই দলের পঞ্চম ম্যাচ হবে এটি।
বাংলাদেশ থেকে সিরিজ জিতে ফিরলেও এশিয়া কাপে লড়াইও করতে পারেনি আফগানিস্তান। মেহেদী হাসান মিরাজ, নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ করে ৩৩৪ রান। জবাবে আফগানদের ইনিংস গুটিয়ে যায় ২৪৫ রানে। বড় জয়ে সুপার ফোরে উঠে যায় বাংলাদেশ।
সব মিলিয়ে দুই দলের ১৫ সাক্ষাতে বাংলাদেশের জয় ৯টিতে। আফগানিস্তান জিতেছে বাকি ৬টি। গত বছরের শুরু থেকে দুই দল খেলেছে ৭টি ম্যাচ। যেখানে বাংলাদেশ জিতেছে ৪টি, আফগানরা পেয়েছে ৩ জয়।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলার এই অভিজ্ঞতা এবার বিশ্বকাপে কাজে লাগাতে চায় আফগানিস্তান। মাঠের লড়াইয়ে নামার আগে শুক্রবার ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে শাহিদি জানালেন, ভালো শুরুর আশাবাদ।
“আমরা একে অপরের বিপক্ষে অনেক খেলেছি। কখনও আমরা জিতেছি, কখনও তারা। এশিয়া কাপে সবশেষ ম্যাচে তারা আমাদের হারিয়েছে। তবে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। নিজেদের প্রস্তুত করেছি। তাদের খুব ভালোভাবে চিনি। তো আমরা সেভাবেই খেলব এবং দল হিসেবে সেরাটা দিয়ে তাদের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব।”
এশিয়া কাপে হেরে যাওয়া ওই ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগোনোর বার্তা আফগান অধিনায়কের।
“বিশেষ কিছু নয়। স্বাভাবিক বিষয়, আমাদের নিজেদের শক্তিমত্তায় মনোযোগ দিতে হবে। আমাদের শক্তি কোনটা, তাদের দুর্বলতা কোনটা। সবশেষ ম্যাচে যা হয়েছে, আমাদের সেখান থেকে শিক্ষা নিতে হবে। তারা আমাদের চেয়ে ভালো খেলেছে। তো আমরা তাদের থেকে শিখব এবং আগামীকাল সেগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করব। আমরা ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করব।”
ইংল্যান্ডে ২০১৯ বিশ্বকাপে চমক দেখানোর প্রতিশ্রুতি নিয়ে খেলতে নেমে কঠোর বাস্তবতা টের পায় আফগানিস্তান। প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপের এক আসরে হারে ৯ ম্যাচ। খালি হাতেই ফেরে বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্ট থেকে।
পেছনের ওই হতাশা ভুলে তারুণ্যের জয়গানে এবার ভালো কিছুর আশা শাহিদির।
“সেটি অতীত। চলে গেছে। চার বছর হয়ে গেছে। আমরা এখন বর্তমান নিয়ে ভাবছি। এই দল নিয়ে ভাবছি, যারা গত ২-৩ বছর কঠোর পরিশ্রম করেছে। অন্যান্য বিশ্বকাপের তুলনায় এবার অনেক তরুণ তারকা রয়েছে।”
“আমরা বর্তমান নিয়ে ভাবছি। অতীত চলে গেছে। আমরা ইতিবাচক থাকব এবং এই বিশ্বকাপে ইতিবাচক খেলার চেষ্টা করব। আগামীকাল আমাদের প্রথম ম্যাচ। ভালো শুরুর জন্য কাল আমরা সেরাটা দিয়েই চেষ্টা করব।”