ভারতে চলমান বিশ্বকাপে দলের ব্যর্থতায় লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডকে বরখাস্ত করে অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি বসিয়েছে শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
নিজেদের প্রথম ৭ ম্যাচে কেবল দুটিতে জিতেছে শ্রীলঙ্কা। এতে আগেভাগেই শেষ হয়ে গেছে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সেমি-ফাইনালে খেলার আশা।
স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে গত বৃহস্পতিবার ৩০২ রানের বড় হারের পর ক্ষুব্ধ সমর্থকদের কড়া সমালোচনার মুখে পড়ে বোর্ড। এরপরই সোমবার মন্ত্রণালয় জানায় তাদের বরখাস্ত করার খবর।
শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া মন্ত্রী রোশান রানাসিংহে শুক্রবার এক বিবৃতিতে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের (এসএলসি) সদস্যদের “বিশ্বাসঘাতক ও দুর্নীতিগ্রস্ত” আখ্যা দিয়ে পদত্যাগ করতে বলেন। পরদিন বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সমর্থকদের তুমুল বিক্ষোভের মধ্যে পদত্যাগ করেন এসএলসি সচিব মোহন ডি সিলভা।
এক বিবৃতিতে সোমবার শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ক্রীড়া মন্ত্রী বোর্ডের বাকি সদস্যদের বরখাস্ত করেছেন। আপাতত একটি অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি দায়িত্ব পালন করবে, যার প্রধান বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গা।
সাত সদস্যের কমিটিতে থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের দুই জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।
শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া মন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে আইসিসির প্রতিক্রিয়া কী, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। ২০১৪ সালে সবশেষ এসএলসিতে শ্রীলঙ্কার সরকার-নিযুক্ত কমিটির বিষয়ে অন্যরকম পদক্ষেপ নিয়েছিল আইসিসি।
শ্রীলঙ্কার নিজস্ব ক্রীড়া আইন অনুযায়ী, যে কোনো খেলার গভর্নিং বডি ভেঙে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে সরকারের। এই ক্ষমতা গত ২০ বছরে এসএলসিতে একাধিকবার ব্যবহার করা হয়েছে।
কিন্তু, সবশেষ ২০১৪ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত যখন অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, তখন এসএলসিকে অর্থ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল আইসিসি। এসএলসির সদস্যদের মাধ্যমে একটি নতুন বোর্ড নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত আইসিসির তহবিলগুলো আটকে রাখা হয়েছিল। আইসিসির বোর্ড মিটিংয়েও এসএলসিকে পর্যবেক্ষকের মর্যাদায় অবনমিত করা হয়েছিল।
২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখার লক্ষ্যে সোমবার দিল্লিতে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে সপ্তম স্থানে থাকা শ্রীলঙ্কা।