বিশ্বকাপে আরও একবার দুর্দান্ত ছন্দে থেকে সেমি-ফাইনালে উঠেছে ভারত। আরও একবার তাদের সামনে পড়েছে নিউ জিল্যান্ড। গত আসরে তাদের বিপক্ষে হেরেই থেমেছিল ভিরাট কোহলিদের যাত্রা। চার বছরের বেশি সময় পর এবারও দুই দলের ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে স্বাগতিকরাই চাপে থাকবে, মনে করছেন রস টেইলর।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বুধবার প্রথম সেমি-ফাইনালে লড়বে ভারত ও নিউ জিল্যান্ড। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায়।
অপরাজিত থেকে সেরা চারের টিকেট পাওয়া ভারতকে এগিয়ে রাখছেন বেশিরভাগ সাবেক ক্রিকেটার, বিশ্লেষকদের অনেকে। তবে কিউইদেরও ভালো সুযোগ দেখছেন নিউ জিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক টেইলর।
গত বিশ্বকাপে প্রথম পর্বে ৯ ম্যাচের সাতটি জিতে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে থেকে সেমি-ফাইনালের টিকেট পায় ভারত। ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডে হওয়া ওই আসরে নেট রান রেটের হিসেবে পাকিস্তানকে কোনো রকমে পেছনে ফেলে সেরা চারে জায়গা করে নেয় নিউ জিল্যান্ড।
এবারও প্রায় অভিন্ন চিত্র। ৯ ম্যাচের সবকটি জিতে চূড়ায় আছে ভারত। এবারও সেরা চারের শেষ স্থানটির জন্য পাকিস্তানের সঙ্গেই লড়াই ছিল নিউ জিল্যান্ডের। গতবারের মতো এবারও টেবিলের শীর্ষে থাকা ভারতের মোকাবেলা চার নম্বরে থেকে সেমি-ফাইনালে ওঠা নিউ জিল্যান্ডের সঙ্গে।
২০১৯ সালের আসরে উড়তে থাকা ভারতকে বিদায় করে দেয় নিউ জিল্যান্ড। চার বছর পর সেটারই পুনরাবৃত্তির আশায় টেইলর। আইসিসিতে লেখা কলামে চাপমুক্ত কিউইদের সামনে এগোনোর টোটকাও দিলেন সাবেক মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান।
“চার বছর আগে টুর্নামেন্টের সেরা ছন্দে থেকে সেমি-ফাইনালে গিয়েছিল ভারত। আর আমাদের মনোযোগ ছিল, নেট রান রেট এমন অবস্থায় রাখা যেন পাকিস্তানকে সেরা চারের দৌড় থেকে দূরে রাখা যায়।”
“এবার নিজেদের ঘরের মাঠে প্রথম পর্বে এতো ভালো খেলে ভারত আরও বড় ফেভারিট। তবে আমাদের যখন হারানোর কিছু থাকে না, তখন নিউ জিল্যান্ড দল ভয়ঙ্কর হতে পারে। যদি কোনো দলের মুখোমুখি হতে ভারত চিন্তিত হয়, সেটা এই নিউ জিল্যান্ড দল।”
চলতি বিশ্বকাপে ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং; তিন বিভাগেই দুর্দান্ত ছন্দে ভারত। এখন পর্যন্ত পাঁচশর বেশি রান করা চার ব্যাটসম্যানের দুজনই ভারতের- ভিরাট কোহলি (৫৯৪) ও রোহিত শার্মা (৫০৩)। বল হাতে ১৫ বেশি উইকেট পেয়েছেন জাসপ্রিত বুমরাহ (১৭), মোহাম্মদ শামি (১৬) ও রবীন্দ্র জাদেজা (১৬)।
উড়তে থাকা স্বাগতিকদের থামানোর জন্য শুরুতেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ দখলে নেওয়ার তাগিদ দিলেন টেইলর।
“ভারত যখন ব্যাটিং করে, তখন দশ ওভারের মধ্যে ২-৩ উইকেট নিয়ে তাদের চাপে ফেলতে চাইবেন। দুর্দান্ত টপ-অর্ডারের ওপর তারা অনেকাংশে নির্ভর করে। শুবমান গিল, বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটসম্যান। এরপর রোহিত শার্মা ও ভিরাট কোহলি। তাদের আক্রমণের চেষ্টা করে মিডল-অর্ডারকে চাপে ফেলতে হবে।”
“যদি এটা করা সম্ভব হয়, তাহলে শুরুতেই তাদের আধিপত্য বিস্তারের পথ বন্ধ হয়ে যায়। আর বোলিংয়ের সময়ও অনেকটা একইরকম। আপনি রান করতে চাইবেন তবে জাসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ ও মোহাম্মদ শামির মতো বোলারদের সামনে উইকেট বাঁচিয়ে রাখাও গুরুত্বপূর্ণ।”