আফিফের সেঞ্চুরির পর খুশদিলের ৬ উইকেটে আবাহনীর জয়

আবারও হেরেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, জয়ে ফিরেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। 

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 May 2023, 12:54 PM
Updated : 4 May 2023, 12:54 PM

দারুণ সেঞ্চুরিতে দলকে লড়াই করার সংগ্রহ এনে দিলেন আফিফ হোসেন। বল হাতে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের ব্যাটসম্যানদের নাকানিচুবানি খাওয়ালেন খুশদিল শাহ। দুজনের নৈপুণ্যে অনায়াস জয় পেল আবাহনী লিমিটেড।  

ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার সুপার লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে ৪২ রানে জিতেছে আবাহনী। ২৮৬ রানের লক্ষ্যে ২৬ বল আগেই ২৪৩ রানে গুটিয়ে গেছে প্রাইম ব্যাংক।  

১৩ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রাখল আবাহনী। সমান ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট পাওয়া প্রাইম ব্যাংক নেমে গেছে চার নম্বরে। 

আবাহনীর সহজ জয়ের দিন লিস্ট 'এ' ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেছেন আফিফ। চার নম্বরে নেমে খেলেছেন অপরাজিত ১১১ রানের ইনিংস। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে খুশদিলের শিকার ৪৯ রানে ৬ উইকেট।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি আবাহনীর। একশর আগেই ড্রেসিং রুমে ফেরেন এনামুল হক (৩১), মোহাম্মদ নাঈম শেখ (১৯) ও মাহমুদুল হাসান জয় (২৬)। দলের রান রেট তখনও ছিল চারের আশপাশে। 

মোসাদ্দেক হোসেনকে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে ১৩৯ বলে ১৪০ রান যোগ করেন আফিফ। ৪টি করে চার-ছক্কায় ৭৬ বলে ৬৭ রান করে আউট হন আবাহনী অধিনায়ক।  

শেষ পর্যন্ত খেলে দলকে তিনশর কাছে নিয়ে যান আফিফ। ১০১ বলের ইনিংসে ৬ চারের সঙ্গে ৫টি ছক্কা মারেন তিনি।  

রান তাড়ায় শুরুতেই আউট হন আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা প্রাইম ব্যাংক ওপেনার শাহাদাত হোসেন। আরেক ওপেনার জাকির খেলতে থাকেন সাবলীলভাবে। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন আরেক তরুণ প্রান্তিক নওরোজ নাবিল। 

রিশাদ হোসেনের বলে আফিফের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জাকির। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা বাঁহাতি ওপেনার এবার করেন ৫৪ বলে ৫১ রান। 

এরপর প্রান্তিক এক প্রান্ত আগলে রাখলেও অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষায় ফেলেন খুশদিল। অল্পেই ফেরেন মোহাম্মদ মিঠুন, নাসির হোসেন, আল আমিন হোসেনরা।  

৬৫ বলে ফিফটি ছুঁয়ে প্রান্তিকও আর বেশি দূর যেতে পারেননি। খুশদিলের চতুর্থ শিকার হয়ে ড্রেসিং রুমে ফেরেন ৫৭ রান করে।  

শেষ দিকে শেখ মেহেদি হাসান (২৬) ও কাশিফ ভাটকে (২৬) নিয়ে চেষ্টা করেন অলক কাপালি। তবে তার ৪০ রানের ইনিংস স্রেফ পরাজয়ের ব্যবধানই কমায়।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: 

আবাহনী লিমিটেড: ৫০ ওভারে ২৮৫/৫ (এনামুল ৩১, নাঈম ২৬, জয় ১৯, আফিফ ১১১*, মোসাদ্দেক ৬৭, খুশদিল ১২, জাকের ১১*; শেখ মেহেদি ১০-০-৬২-২, রুবেল ৯-১-৭২-০, রাজা ৬-০-৪৮-১, কাশিফ ১০-২-৩৯-২, নাসির ১০-০-২৬-০, অলক ৪-০-২৩-০, আল আমিন ১-০-১১-০) 

প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ৪৫.৪ ওভারে ২৪৩ (শাহাদাত ৫, জাকির ৫১, প্রান্তিক ৫৭, মিঠুন ১৬, নাসির ০, আল আমিন ৮, শেখ মেহেদি ২৬, অলক ৪০*, কাশিফ ২৬, রাজা ১, রুবেল ১; রিপন ৬-০-৩২-১, তানজিম ৮-০-৪৯-১, মোসাদ্দেক ৫-০-২৫-০, রিশাদ ৭-০-৪৩-০, তানভির ১০-০-৪৩-১, খুসদিল ৯.৪-০-৪৯-৬) 

ফল: আবাহনী লিমিটেড ৬ উইকেটে জয়ী 

ম্যান অব দা ম্যাচ: আফিফ হোসেন

আরিফ-তাইবুরের স্পিনে কুপোকাত মোহামেডান 

গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে বড় পরাজয়ে সুপার লিগ শুরু করেছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ঘুরে দাঁড়াতে সময় নেয়নি বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে হারিয়ে জয়ে ফিরেছে তারা।  

বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ৮৫ রানের বড় জয় পেয়েছে শেখ জামাল। ৪৭ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ৪ উইকেটে ২৫৯ রান করে তারা। ডাকওয়ার্থ লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে মোহামেডানের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৭৭ রানের। ৩৭ বল বাকি থাকতে ১৯১ রানে গুটিয়ে যায় তারা।  

প্রথম পর্বে টানা ছয় জয়ে সুপার লিগে নাম লেখানো মোহামেডান হারল পরপর দুই ম্যাচে। ১৩ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে সুপার লিগের টেবিলে সবার নিচে রয়েছে তারা। সমান ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে শেখ জামাল।

দলের জয়ে দারুণ ব্যাটিং করেছেন ফজলে মাহমুদ ও নুরুল হাসান সোহান। ওভার শেষ হয়ে যাওয়ায় স্রেফ ৭ রানের জন্য সেঞ্চুরি করতে পারেননি ফজলে মাহমুদ। তার হাতেই ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। সোহান খেলেন ৭০ রানের ইনিংস। 

পরে মোহামেডানের ব্যাটসম্যানদের আটকে রাখেন দুই স্পিনার আরিফ আহমেদ ও তাইবুর রহমান।  

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ধীর শুরু করেন শেখ জামালের দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও সৈকত আলি। ৬৬ রানের জুটি গড়ে ফেরেন সাইফ। ২৫ রান করতে তিনি খেলেন ৬৫ বল। সৈকতের ব্যাট থেকে আসে ৭০ বলে ৫০ রান।  

তৃতীয় উইকেট জুটিতে রানের গতি বাড়ান ফজলে মাহমুদ ও সোহান। স্রেফ ১২৪ বলে ১৫৫ রান যোগ করেন এই দুজন। ইনিংসের শেষ ওভারে ফেরার আগে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৬০ বলে ৭০ রান করেন সোহান। 

শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকা ফজলে মাহমুদ ৮৬ বলে করেন ৯৩ রান, মারেন ৬ চার ও ৫ ছক্কা।  

রান তাড়ায় কখনোই জয়ের আশা জাগাতে পারেনি মোহামেডান। ভালো শুরু করেও ৩৩ রানে আউট হন ইমরুল কায়েস। মাহমুদউল্লাহ ৪০ রান করতে খেলেন ৬২ বল। 

শেষ দিকে আরিফুল হকের ১৩ বলে ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংসে পরাজয়ের ব্যবধানই কেবল কমে।  

১০ ওভারে স্রেফ ৩৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন আরিফ। তাইবুরের শিকার ২৪ রানে ৪ উইকেট। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:  

শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব লিমিটেড: ৪৭ ওভারে ২৫৯/৪ (সাইফ ২৫, সৈকত ৫০, ফজলে ৯৩*, সোহান ৭০, জিয়াউর ৭*; এনামুল ১০-১-৩৯-০, মুশফিক ৯-০-৫১-০, নাজমুল ৮-০-৩০-০, কামিন্দু ৭-০-৪৫-২, শুভাগত ৯-০-৪৫-০, সৌম্য ৪-০-৪৪-১) 

মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব: ৪০.৫ ওভারে ১৯১ (ইমরুল ৩৩, আরিফুল ০, মাহিদুল ১৬, সৌম্য ২২, মাহমুদউল্লাহ ৪০, কামিন্দু ১৬, আরিফুল ৩২, শুভাগত ০, মুশফিক ৪, এনামুল ১১, নাজমুল ৯*; শফিকুল ৪-০-৩৫-০, রসুল ১০-২-২৫-২, রবিউল ৮-০-৫০-০, সাইফ ১-০-৯-০, আরিফ ১০-০-৩৫-৩, শহিদুল ৪-০-৯-১, তাইবুল ৩.৫-১-২৪-৪) 

ফল: শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ডাকওয়ার্থ লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে ৮৫ রানে জয়ী 

ম্যান অব দা ম্যাচ: ফজলে মাহমুদ

তানবীরের লেগ স্পিনে জয়ে ফিরল রূপগঞ্জ 

দারুণ লেগ স্পিনে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের সংগ্রহ নাগালে রাখলেন তানবীর হায়দার। রান তাড়ায় দারুণ ব্যাটিং করলেন পারভেজ হোসেন ইমন, চিরাগ জানি। শেষ দিকে ব্যাট হাতেও বাকি কাজ সারলেন তানবীর। দুই হারের পর জয়ে ফিরল লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। 

মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গাজী গ্রুপকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে রূপগঞ্জ। ২৬৬ রানের লক্ষ্য ১৭ বল আগেই ছুঁয়ে ফেলেছে তারা।  

১৩ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে উঠেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। সমান ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে গাজী গ্রুপ। 

দারুণ বোলিংয়ে ৩৭ রানে ৪ উইকেটের পাশাপাশি ১৯ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন তানবীর। অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখিয়েছেন চিরাগও; ১ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে করেছেন ৮১ রান।  

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারায় গাজী গ্রুপ। তৃতীয় উইকেটে ১৪৮ রানের জুটি গড়েন ফরহাদ হোসেন ও এসএম মেহেরব হাসান। 

৩১তম ওভারে প্রথমবার আক্রমণে এসে এই জুটি ভাঙেন তানবীর। সুইপ করতে গিয়ে পায়ের পেছন দিয়ে বোল্ড হন ১২ চার ও ২ ছক্কায় ৭০ বলে ৭৭ রান করা মেহেরব।  

তানবীরের পরের ওভারে ভেতরের কানায় লেগে বোল্ড ফরহাদ। তিনিও করেন ৭৭ রান। ৯৭ বলের ইনিংসে মারেন ৭ চার ও ২ ছক্কা। 

এরপর আকবর আলি, শাকিল হোসেন, মাহমুদুল হাসানরা ফেরেন অল্পে। শেষ দিকে এনামুল হকের ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩১ বলে ৪৯ রানের ইনিংসে আড়াইশ ছাড়ায় গাজী গ্রুপের স্কোর।  

রান তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে ৭০ রান যোগ করেন মুনিম শাহরিয়ার ও পারভেজ। যেখানে পারভেজের অবদানই বেশি। ২৪ রান করে ফেরেন মুনিম।  

দলকে একশর কাছাকাছি রেখে পারভেজ আউট হন ৫৭ রানে। ৫৪ বলের ইনিংসে তিনি ৫ চারের সঙ্গে মারেন ৪টি ছক্কা। সাব্বির রহমান ও ইরফান শুক্কুর তেমন কিছু করতে পারেননি।  

তবে এক প্রান্ত ধরে রেখে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান চিরাগ। স্রেফ ২০ রান বাকি থাকতে ছক্কা মারতে গিয়ে লং অফে ধরা পড়েন ভারতীয় অলরাউন্ডার। ৭৩ বলের ইনিংস তিনি সাজান ৭ চার ও ২ ছক্কায়।  

পরে আর কোনো বিপদ ঘটতে দেননি তানবীর ও সোহাগ গাজী।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: 

গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স: ৫০ ওভারে ২৬৫/৯ (হাবিবুর ৩, অমিত ৭, ফরহাদ ৭৭, মেহেরব ৭৭, আকবর ৯, মাহমুদুল ৮, শাকিল ১১, এনামুল ৪৯*, টিপু ৪, জয় ১৪, মহিউদ্দিন ০*; চিরাগ ১০-১-৪৩-১, আল আমিন ৬-০-২৫-২, মুক্তার ৬-০-২১-১, মাশরাফি ৯-০-৬৫-০, নাঈম ৫-০-২৯-০, সোহাগ ৫-০-৩০-০, সাব্বির ১-০-১৩-০, তানবীর ৮-১-৩৭-৪) 

লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ: ৪৭.১ ওভারে ২৬৯/৬ (মুনিম ২৪, পারভেজ ৫৭, সাব্বির ১৪, ইরফান ২৩, চিরাগ ৮১, মুক্তার ২০, তানবীর ১৯*, সোহাগ ১৩*; জয়নুল ৮-০-৩৯-১, এনামুল ১০-০-৪৫-১, মহিউদ্দিন ৯-০-৬৪-১, টিপু ১০-০-৪১-২, মাহমুদুল ৯-০-৬৩-২, মেহেরব ১-০-৭-০, হাবিবুর ০.১-০-৪-০)  

ফল: লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৪ উইকেটে জয়ী 

ম্যান অব দা ম্যাচ: তানবীর হায়দার  

জিসান-করুনারত্নের ফিফটিতে টিকে থাকার আশায় শাইনপুকুর 

বৃষ্টির চোখরাঙানির মাঝে ঝড় তুললেন জিসান আলম। দলকে এনে দিলেন উড়ন্ত সূচনা। মারকুটে ওপেনার ফিরে যাওয়ার পর হাল ধরলেন দিমুথ করুনারত্নে। তরুণ ও অভিজ্ঞদের নৈপুণ্যে ঢাকা লেপার্ডসকে সহজেই হারাল শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। 

বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে রেলিগেশন লিগের ম্যাচে ৫ উইকেটে জিতেছে শাইনপুকুর। বৃষ্টির কারণে ৪৫ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ১৯৭ রানে গুটিয়ে যায় লেপার্ডস। ডাকওয়ার্থ লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ২০৪ রান। ৫৮ বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় শাইনপুকুর।  

এই জয়ে প্রিমিয়ার লিগে টিকে থাকার আশা বেঁচে রইল তাদের। ১২ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৬ পয়েন্ট। ১৩ ম্যাচে স্রেফ ৩ পয়েন্ট নিয়ে আগেই প্রথম বিভাগে নেমে গেছে এবারই প্রিমিয়ার লিগে উঠে আসা লেপার্ডস। 

রেলিগেশন লিগের শেষ ম্যাচে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের মুখোমুখি হবে শাইনপুকুর। ১২ ম্যাচে যাদের ৮ পয়েন্ট। শেষ ম্যাচটি শাইনপুকুর জিতলে সমান পয়েন্ট হবে দুই দলের। সেক্ষেত্রে মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে থাকায় প্রিমিয়ার লিগে টিকে থাকবে শাইনপুকুর।  

দলটির আশা বাঁচিয়ে রাখা জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ওপেনার জিসান আলম। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে স্রেফ ৩১ বলে ৬০ রান করেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ১০ চার ও ২ ছক্কায় সাজানো ইনিংসের সৌজন্যে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও জেতেন তিনি। 

জিসান ফেরার পর দায়িত্ব নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন শ্রীলঙ্কান তারকা করুনারত্নে। তিন নম্বরে নেমে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৭০ রান করেন তিনি। ৬৬ বলের ইনিংসে ৮টি চার মারেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। 

লেপার্ডসকে দুইশ ছুঁইছুঁই সংগ্রহ এনে দেওয়ার কারিগর সাব্বির হোসেন। চলতি লিগে নিজের তৃতীয় ফিফটিতে ৬৯ বলে ৯৩ রান করেন ডানহাতি কিপার-ব্যাটসম্যান। ওপেনার জসিম উদ্দিনের ব্যাট থেকে আসে ৩৯ রান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:  

ঢাকা লেপার্ডস: ৪৩.৫ ওভারে ১৯৭ (পিনাক ১, জসিম ৩৯, রিদয় ২১, রাকিবুল ০, সাব্বির ৬৯, সোহরাওয়ার্দি ১০, আশিকুর ২২, মইন ৫, দেলোয়ার ১৮, আরিফুল ১*, সালাউদ্দিন ১; মাসুম ৭-০-২৩-২, ফরহাদ ৬.৫-০-৪৪-৩, নাঈম ১০-০-৪৫-২, মুরাদ ৯-২-৩০-১, তুষার ১০-১-৩৬-০, শামসুর ১-০-১২-০) 

শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব: ৩৫.২ ওভারে ২০৬/৫ (খালিদ ২১, জিসান ৬০, করুনারত্নে ৭০*, অমিত ১৬, শামসুর ১৯, তাহজিবুল ১২, ফরহাদ ৪*; আরিফুল ৭-০-২৯-০, সালাউদ্দিন ৬-০-৩৪-১, মইন ৯-০-৫১-২, দেলোয়ার ৪-০-৪১-০, সোহরাওয়ার্দি ৭-০-৩৬-১, রিদয় ২.২-০-১৩-১) 

ফল: শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব ৫ উইকেটে জয়ী 

ম্যান অব দা ম্যাচ: জিসান আলম