পান্ডিয়ার ক্ষোভের পর চাকরি হারালেন লক্ষ্ণৌর কিউরেটর

চাকরিচ্যুত কিউরেটরের জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ থেকে বরখাস্ত হওয়া সঞ্জীব কুমার আগারওয়ালকে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Jan 2023, 08:38 AM
Updated : 31 Jan 2023, 08:38 AM

স্পিনারদের জন্য স্বর্গ আর ব্যাটসম্যানদের জন্য বধ্যভূমির মতো উইকেট বানানোর কারণে চাকরি হারালেন লক্ষ্ণৌর একানা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পিচ কিউরেটর সুরেন্দর কুমার। হার্দিক পান্ডিয়ার প্রকাশ্য সমালোচনার এক দিনের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তর প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (ইউপিসিএ)।

লক্ষ্ণৌ স্টেডিয়ামে রোববার সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে‌ নিউ জিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারায় ভারত।

ম্যাচ জিতলেও উইকেটের আচরণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভারত অধিনায়ক। উইকেটে স্পিনারদের জন্য ছিল প্রবল সাহায্য। ব্যাটসম্যানদের কাজ ছিল খুবই কঠিন।

সফরকারীদের করা ৯৯ রান টপকে যেতে ভারতকে খেলতে হয় ১৯.৫ ওভার। দুই দল মিলে ম্যাচে ৩০ ওভার করায় স্পিন। পাঁচ স্পিনার দিয়ে ১৭ ওভার বোলিং করায় নিউ জিল্যান্ড। শিশির থাকলেও স্পিনারদের টার্ন-বাউন্স পেতে কোনো সমস্যাই হয়নি লক্ষ্ণৌর উইকেটে।

ম্যাচ শেষে এমন উইকেট নিয়ে মাঠের কিউরেটরের সমালোচনা করেন পান্ডিয়া। তার ক্ষোভ প্রকাশের পর শাস্তির খড়গ নেমে আসে সেই কিউরেটরের ওপর। তাকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গোয়ালিয়রের কিউরেটর সঞ্জীব কুমার আগারওয়ালকে।

ইউপিসিএ'র সূত্রের বরাত দিয়ে এই খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই)।

“আমরা এক মাসের মধ্যে সব কিছু বদলে ফেলব। (ভারতের) টি-টোয়েন্টির আগে এই মাঠে ঘরোয়া ক্রিকেটের অনেক ম্যাচ হয়েছে। কিউরেটরের উচিত ছিল এক-দুইটি উইকেট বাঁচিয়ে রাখা। অত্যধিক ব্যবহার ও বাজে আবহাওয়ার কারণে নতুন উইকেট তৈরি করার যথেষ্ট সময় ছিল না।”

লক্ষ্ণৌর কিউরেটরের জায়গায় দায়িত্ব পাওয়া সঞ্জীবেরও আছে বাজে উইকেট বানিয়ে চাকরিচ্যুত হওয়ার অভিজ্ঞতা। সিলেটে গত সেপ্টেম্বরে নারী এশিয়া কাপে নিচু ও ধীরগতির উইকেটের কারণে তাকে বরখাস্ত করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।

এরপর দেশে ফিরে গোয়ালিয়রে দায়িত্ব পালন করেন সঞ্জীব। এবার গোয়ালিয়র থেকে লক্ষ্ণৌতে স্থলাভিষিক্তি হলেন তিনি। বিসিসিআইয়ের অভিজ্ঞ কিউরেটর তাপস চ্যাটার্জির সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবেন সঞ্জীব।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ভিন্ন তথ্য। সূত্রের বরাত দিয়ে তারা জানাচ্ছে, মূলত ভারতীয় দলের চাহিদার ভিত্তিতেই শেষ মুহূর্তে অমন পিচ তৈরি করেন লক্ষ্ণৌর কিউরেটর।

“আগেভাগেই দুটি কালো মাটির উইকেট তৈরি করেছিলেন কিউরেটর। তবে ম্যাচ শুরুর তিন দিন আগে টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে লাল মাটির নতুন উইকেট তৈরির অনুরোধ করা হয়। এত অল্প সময়ে নতুন পিচ পুরোপুরি তৈরি করা যায়নি। যে কারণে সেটি আরও ধীর হয়ে যায়।”