টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
পাকিস্তানের সহকারী কোচ আজহার মাহমুদ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ভারতের বিপক্ষে হারে বেশি ভেঙে পড়েছে দল।
Published : 11 Jun 2024, 07:41 PM
কানাডার বিপক্ষে লড়াইয়ের আগে দল নিয়ে কিছুটা চিন্তিত আজহার মাহমুদ। পরপর দুই ম্যাচে হার বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ানদের মানসিকভাবে ভেঙে দিয়েছে বলে মনে করছেন পাকিস্তানের সহকারী কোচ। বিশেষ করে, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে পরাজয় মানতে কষ্ট হচ্ছে তাদের।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চলতি আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অঘটনের শিকার হয় পাকিস্তান। শক্তি-সামর্থ্য ও অভিজ্ঞতায় অনেক পিছিয়ে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সুপার ওভারে গড়ানো রোমাঞ্চকর ম্যাচে হেরে যায় তারা।
পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াবে কী, উল্টো আরও বড় ধাক্কা খায় দলটি। ভারতকে বাগে পেয়েও হারাতে ব্যর্থ হয় তারা। প্রতিপক্ষকে ১১৯ রানে আটকে রাখার পরও হতশ্রী ব্যাটিংয়ে ভেস্তে যায় তাদের জয়ের স্বপ্ন। ৬ রানের পরাজয়ে এখন পরের ধাপে যাওয়া নিয়েই অনিশ্চয়তায় পড়েছে ২০০৯ আসরের চ্যাম্পিয়নরা।
সুপার এইটে খেলার ক্ষীণ আশা বাঁচিয়ে রাখার লক্ষ্যে মঙ্গলবার কানাডার মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। এই লড়াইয়ে নামার আগে সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদ বলেন, ভারতের বিপক্ষে হারে পুরো দলের মনোবল তলানিতে নেমে গেছে।
“দুটি হারের পর সবাই বেশ হতাশ। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হারের চেয়ে ভারতের বিপক্ষে হারটা বেশি হতাশার। এই মুহূর্তে দলের সবার মনোবল তলানিতে। মনোবল শক্ত করা দরকার, কারণ আমরা এখনও ঘুরে দাঁড়াতে পারি এবং শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আশা হারাব না।”
“কোনো খেলোয়াড় যদি নিজের সামর্থ্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করতে শুরু করে, তাহলে সেটা (ভালো করা) খুব কঠিন হয়ে যায়। আমরা যদি নিজেদের ওপর আস্থা রেখে খেলি, তাহলে তা সবাইকে ভুল প্রমাণ করবে।”
প্রতিবেশীদের বিপক্ষে হারের দায় শুধু ক্রিকেটারদের নয়, দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে দিলেন পাকিস্তানের সাবেক এই অলরাউন্ডার।
“আমাদের শট নির্বাচন সঠিক ছিল না, যার ফলে (শেষ দিকে) ওভারপ্রতি দরকার ছিল ১০ রান। পঞ্চদশ ওভারের আগ পর্যন্ত আমরা বেশ ভালো খেলছিলাম। আমরা দল হিসেবে হেরেছি, একজনকে দোষ দিতে পারি না। ব্যর্থতার দায় পুরো ম্যানেজমেন্টের, আমরা সবাই ভুল করেছি।”
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হারের পর পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর বলেছিলেন, প্রতিপক্ষকে হালকাভাবে নেওয়ার মাশুল গুনেছেন তারা। একই ভুল কানাডার বিপক্ষে করতে নারাজ মাহমুদ। এই দলটিই আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে ক্রিকেট বিশ্বকে উপহার দিয়েছিল চমক।
“এখন আর ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ নেই। কেউ যদি কোনো প্রতিপক্ষকে সহজ মনে করে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাদের কোনো জায়গা নেই। কানাডায় এমন কিছু খেলোয়াড় আছে যারা আমাদের বিপক্ষে পারফর্ম করতে পারে। এখন আমাদের যেকোনো মূল্যে এই ম্যাচ জিততে হবে।”
সুপার এইটের লড়াইয়ে গ্রুপের শেষ দুই ম্যাচ জেতা ছাড়া বিকল্প নেই পাকিস্তানের। কানাডার বিপক্ষে হেরে গেল কিংবা ম্যাচ পরিত্যক্ত হলে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়া নিশ্চিত হয়ে যাবে তাদের।