শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদল করে আক্ষেপে পুড়ছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
Published : 27 Oct 2022, 04:25 PM
আনরিক নরকিয়ার স্টাম্প সোজা বল শাফল করে লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে ব্যাটে লাগাতে পারলেন না সাকিব আল হাসান। বল আঘাত হানল তার প্যাডে। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে সাড়া দিয়ে আঙুল তুলে দিলেন আম্পায়ার। সাকিব হাঁটা দিলেন ডাগআউটের দিকে। অথচ রিভিউ নিলেই বেঁচে যেতেন তিনি! দুটি রিভিউ অটুট থাকার পরও কেন রিভিউ নেননি, সেই ব্যাখ্যা দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্বে বৃহস্পতিবার ২০৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশের ইনিংসের পঞ্চম ওভারের ঘটনা সেটি। নরকিয়ার আগের ওভারেই দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও নাজমুল হোসেন শান্তর বিদায়ে দল তখন চাপে। গতিময় পেসারের পরের ওভারে সাকিব এলবিডব্লিউ হন ১ রান করে।
উইকেটের সঙ্গী লিটন দাসের সঙ্গে কথা বলেও শেষ পর্যন্ত রিভিউ নেননি সাকিব। একটু পর টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বল পিচ করেছিল লেগ সাইডের বাইরে। ডাগআউটে তখন সাকিবের অভিব্যক্তিতেও ফুটে ওঠে রিভিউ না নেওয়ার হতাশা।
সিডনিতে এই ম্যাচে নিদারুণ ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশ হারে ১০৪ রানে, টি-টোয়েন্টিতে যা তাদের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার। সাকিব ওই সময়ে বেঁচে গেলে হয়তো এতো বড় হার এড়ানো যেত। তাই তিনি রিভিউ না নেওয়ায় উঠেছে প্রশ্ন। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক বলেছেন, রিভিউ নিতে চেয়েও শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদল করেন তিনি।
“রিভিউটার ক্ষেত্রে যেটা হয়েছিল, আমি প্রায় নিয়েই নিয়েছিলাম। পরে আবার ওটা বাতিল করে দেই। অবশ্যই একটু তো হতাশাজনক ব্যাপার যে, আমি একবার নিতে গিয়েও কিংবা নিয়ে ফেলেও ওটা বদল করেছি। যখন দেখেছি যে, পিচড আউট সাইড লেগ, তখন অবশ্যই হতাশ ছিলাম।”