মাহিদুলের সেঞ্চুরিতে সুপার লিগে মোহামেডান, ব্রাদার্সকে জেতালেন তানজিদ

রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে শেষ বলে রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবকে ২ উইকেটে হারিয়েছে সিটি ক্লাব।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 April 2023, 01:00 PM
Updated : 14 April 2023, 01:00 PM

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শুরুর দিকে প্রথম জয়ের খোঁজে হাপিত্যেশ করছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। প্রথম পাঁচ ম্যাচে ছিল জয়হীন। বাজে সময় পেছনে ফেলে তারা এখন ছুটছে দুর্বার গতিতে। মাহিদুল ইসলামের সেঞ্চুরিতে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি পেয়েছে টানা পঞ্চম জয়।  

বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে ৫২ রানে হারিয়েছে মোহামেডান। ২৭৭ রানের লক্ষ্যে ৪০ বল বাকি থাকতেই ২২৪ রানে গুটিয়ে গেছে শাইনপুকুর।

দশ ম্যাচে পাঁচ জয় ও এক পরিত্যক্ত ম্যাচের সৌজন্যে ১১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচ নম্বরে উঠে গেছে মোহামেডান। প্রথম পর্বের এক ম্যাচ হাতে রেখে সুপার লিগ নিশ্চিত হয়েছে তাদের। সমান ম্যাচে স্রেফ ৪ পয়েন্ট নিয়ে ১১ নম্বরে শাইনপুকুর। 

মোহামেডানকে টানা পঞ্চম জয় এনে দেওয়ার নায়ক মাহিদুল। অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ১২৫ রান করেন কিপার-ব্যাটসম্যান। অধিনায়ক ইমরুল কায়েস খেলেন পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস। 

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই আব্দুল মজিদের (১০ বলে ২) উইকেট হারায় মোহামেডান। দ্বিতীয় উইকেটে ৯৭ রান যোগ করেন ইমরুল ও মাহিদুল।  

লিগে চতুর্থ পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংসে ৭ চার ও ২ ছয়ে ৮৬ বলে ৬৯ রান করে আউট হন ইমরুল।  

চার নম্বরে নেমে শুরু থেকেই চালিয়ে খেলতে থাকেন সাকিব আল হাসান। তবে বেশি দূর যেতে পারেননি। এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে এক চার ও দুই ছয়ে করেন ২৫ বলে ৩০ রান। 

আগের দুই ম্যাচে ফিফটি করা মাহমুদউল্লাহ এদিন রানের খাতাই খুলতে পারেননি। ব্যাট হাতে ফের ব্যর্থ মেহেদি হাসান মিরাজ। 

এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে এগিয়ে নেন মাহিদুল। চলতি লিগে নিজের প্রথম ও লিস্ট 'এ' ক্রিকেটের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করতে খেলেন ১১২ বল। শেষ পর্যন্ত ১২৫ বলের ইনিংসে ৬ চারের সঙ্গে ৭টি ছক্কা মারেন তিনি। 

রান তাড়ায় পাওয়ার প্লেতে কোনো বিপদ ঘটতে দেননি শাইনপুকুরের দুই ওপেনার খালিদ হাসান ও অভিষেক মিত্র। একাদশ ওভারে ২০ রান করে ফেরেন অভিষেক।  

এরপর জিসান আলম এবং তাহজিবুল ইসলামও আউট হন অল্পে। শুভাম শর্মা ও খালিদ মিলে এগিয়ে নিতে থাকেন দলকে। তবে ফিফটির পর আর ইনিংস বড় করতে পারেননি খালিদ। ৬ চার ও ৩ ছয়ে ৫৭ বলে ৫৬।

১৪৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বড় পরাজয়ের শঙ্কায় পড়ে যায় শাইনপুকুর। মাসুম খানকে নিয়ে ৬৫ রানের জুটি গড়েন ভারতীয় ব্যাটসম্যান শুভাম। ২১০ রানের মাথায় তিনি আউট হন ৬৬ রান করে। মাসুম ফেরেন ৩০ রানের ইনিংস খেলে। 

স্রেফ ১৪ রানে শাইনপুকুরের শেষ ৪ উইকেট তুলে নিয়ে সহজ জয় নিশ্চিত করে মোহামেডান। সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন নাজমুল ইসলাম। জেইক লিন্টট ও মুশফিক হাসানের শিকার ২টি করে উইকেট।  

সংক্ষিপ্ত স্কোর:  

মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব: ৫০ ওভারে ২৭৬/৬ (ইমরুল ৬৯, মজিদ ২, মাহিদুল ১২৫*, সাকিব ৩০, মাহমুদউল্লাহ ০, মিরাজ ২, আরিফুল ইসলাম ২৬, আরিফুল হক ১২*; মেহেদি ১০-১-৫২-২, মাসুম ১০-০-৬৩-২, জিসান ৫-০-২৬-০, শুভাম ৪-০-২২-০, মুরাদ ১০-০-৫৪-১, সাজ্জাদুল ১-০-১১-০) 

শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব: ৪৩.২ ওভারে ২২৪ (খালিদ ৫৬, অভিষেক ২০, জিসান ৬, শুভাম ৬৬, তাহজিবুল ৯, আমিনুল ১, সাজ্জাদুল ১৯, মাসুম ৩০, মেহেদি ৫, মুরাদ ৪*, নাবিল ১; সাকিব ৯-১-৩৯-১, মিরাজ ৭.২-০-৩১-১, মুশফিক ৮-১-৫৭-২, নাজমুল ১০-০-৪১-৩, লিন্টট ৯-০-৫১-২) 

ফল: মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ৫২ রানে জয়ী 

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মাহিদুল ইসলাম 

তানজিদের সেঞ্চুরিতে ৩০৬ তাড়া করে জিতল ব্রাদার্স 

দারুণ সেঞ্চুরি করলেন তানজিদ হাসান। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন সাব্বির হোসেন, আনিসুল ইসলামরা। শেষ দিকে সাদ নাসিম, জাহিদুজ্জামানদের ঝড়ে বড় লক্ষ্যে সহজ জয় পেল ব্রাদার্স ইউনিয়ন। 

মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ব্রাদার্স। ৩০৬ রানের লক্ষ্য এক ওভার হাতে রেখেই ছুঁয়ে ফেলেছে তারা। 

দশ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে সুপার লিগে খেলার আশা বেঁচে রইল ব্রাদার্সের। বর্তমানে সাত নম্বরে রয়েছে তারা। সমান ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে গাজী গ্রুপের অবস্থান ষষ্ঠ।  

তিনশ ছাড়ানো স্কোর তাড়া করে ব্রাদার্সের জয়ের নায়ক তানজিদ। চলতি লিগে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে ৬ চার ও ৫ ছয়ে ১০৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।   

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৬৭ রান যোগ করেন গাজী গ্রুপের দুই ওপেনার মেহেদি মারুফ ও হাবিবুর রহমান। ৩ চার ও ১ ছয়ে ২৯ বলে ২৯ রান করে আউট হন হাবিবুর। 

ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন মেহেদি। ৩৩তম ওভারে এবারের লিগে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি করেন ডানহাতি ওপেনার।  

তবে তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পর আর ব্যাটিং করতে পারেননি। পেশির টানে মাঠ ছাড়েন তিনি। ৮ চার ও ২ ছয়ে ১০৪ বলে তিনি করেন ১০০ রান। 

এরপর রবি তেজা, আকবর আলি, এসএম মেহেরবরা হতাশ করলে দুইশর আগে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে গাজী গ্রুপ।

একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকেন ফরহাদ। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন মাহমুদুল হাসান। ৬ চারে ৮৫ বলে ৭০ রানের ইনিংস খেলেন ফরহাদ। ৭ চারে ৩৮ বলে ৪৯ রান করে আউট হন মাহমুদুল। 

শেষ দিকে এনামুল হকের ২ চার ও ৩ ছয়ে ২১ বলে ৩৯ রানের ক্যামিওতে তিনশ ছাড়ায় গাজী গ্রুপের স্কোর।  

ব্রাদার্সের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন আরাফাত সানি জুনিয়র। মেহেদি হাসানের শিকার ২ উইকেট।  

রান তাড়ায় ব্রাদার্সের দুই ওপেনার গড়েন ৪৯ রানের জুটি। পাওয়ার প্লে শেষ হতেই ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন অধিনায়ক মিজানুর রহমান। ২ চার ও ১ ছয়ে ২৩ বলে ২৩। 

দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১০২ রান যোগ করেন তানজিদ ও সাব্বির হোসেন। স্রেফ ২ রানের জন্য ফিফটি করতে পারেননি সাব্বির। ৪৬ বলের ইনিংসে ৬ চারের সঙ্গে মারেন ১টি ছক্কা। 

আনিসুলের সঙ্গে মিলে দলকে দুইশ পার করান তানজিদ। লিগে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পূরণ করেন ১১১ বল খেলে। ৬ চার ও ৪ ছয়ে। তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পর আরেকটি ছক্কা মেরে মাহমুদুলের বলে এলবিডব্লিউ হন তানজিদ।  

এরপর দলকে জেতানোর দায়িত্ব নেন আনিসুল ও সাদ নাসিম। দুজনের জুটিতে আসে ৪৪ রান। ফিফটি ছুঁয়ে ছক্কা মারার চেষ্টায় লং অনে ধরা পড়েন আনিসুল। ৭ চার ও ১ ছয়ে করেন ৬২ বলে ৫৭ রান। পরের বলে রানআউট হন মাইশুকুর রহমান।

আর কোনো বিপদ হতে দেননি সাদ ও জাহিদুজ্জামান খান। দুজনের ৩১ বলে ৫৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে অনায়াসে ম্যাচ জিতে নেয় ব্রাদার্স।  

২টি করে চার-ছয়ে ৩০ বলে ৩৯ রান করেন সাদ। জাহিদুজ্জামান অপরাজিত থাকেন ৪ ছয়ে ১৮ বলে ২৮ রান করে। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর: 

গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স: ৫০ ওভারে ৩০৫/৭ (মেহেদি ১০০ আহত অবসর, হাবিবুর ২৯, ফরহাদ ৭০, রবি ৩, আকবর ৪, মেহেরব ১, মাহমুদুল ৪৯, এনামুল ৩৯*, কাজি অনিক ০, সুমন ৩*; মেহেদি ৭-০-৩৬-২, মোহর ১০-০-৭০-১, আরাফাত ৯-০-৫৪-৩, সাকলাইন ১০-০-৪১-০, আনিসুল ৪-০-৪৭-০, সাদ ১০-০-৫৫-১) 

ব্রাদার্স ইউনিয়ন: ৪৯ ওভারে ৩১০/৫ (মিজানুর ২৩, তানজিদ ১০৬, সাব্বির ৪৮, আনিসুল ৫৭, সাদ ৩৯*, মাইশুকুর ০, জাহিদুজ্জামান ২৮*; সুমন ৯-০-৭০-০, এনামুল ১০-০-৪৪-১, টিপু ১০-১-৪১-২, মাহমুদুল ৮-০-৬৪-১, কাজি অনিক ৫-০-৪৯-০, মেহেরব ৭-০-৩৮-০) 

ফল: ব্রাদার্স ইউনিয়ন ৫ উইকেটে জয়ী 

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: তানজিদ হাসান 

রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে শেষ বলে জিতল সিটি ক্লাব 

১ বলে প্রয়োজন ২ রান। আলাউদ্দিন বাবুর অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল পয়েন্টের দিকে ঠেলেই ছুটলেন রবিউল হক। সোজা ফিল্ডারের হাতে যাওয়ায় দ্বিতীয় রান নেওয়া ছিল প্রায় অসম্ভব। কিন্তু রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবের ফিল্ডারের এলোমেলো থ্রোয়ে দ্বিতীয় রান নিয়ে ম্যাচ জিতে যায় সিটি ক্লাব।  

ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে ২ উইকেটে জিতেছে সিটি ক্লাব। ২৩২ রানের লক্ষ্য একদম শেষ বলে ছুঁয়েছে তারা।  

শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১২ রান। ওয়াইডের পর প্রথম বৈধ ডেলিভারিতে ছক্কা মারেন ইফরান হোসেন। পাঁচ বলে জয়ের জন্য বাকি থাকে ৫ রান। পরের ৪ বলে ৩ রান দেন আলাউদ্দিন। ফলে সম্ভাবনা জাগে টাই হওয়ার। ফিল্ডারের ব্যর্থতায় তা সম্ভব হয়নি।  

দশ ম্যাচে সিটি ক্লাবের এটি চতুর্থ জয়। পয়েন্ট টেবিলের ৮ নম্বরে রয়েছে তারা। সমান ম্যাচে ৭ পয়েন্ট পাওয়া রূপগঞ্জ টাইগার্সের অবস্থান নবম। 

রান তাড়ায় সিটি ক্লাবের শুরুটা তেমন ভালো ছিল না। পাওয়ার প্লের মধ্যে ড্রেসিং রুমে ফিরে যান দুই ওপেনার তৌফিক খান (৫) ও মইনুল ইসলাম (২১)। 

শুরুর চাপ সামলে তৃতীয় উইকেটে ৬৬ রান যোগ করেন শাহরিয়ার কোমল ও রাফসান আল মাহমুদ। দলীয় একশ হওয়ার পরপর আউট হন রাফসান (২৩)। তবে ফিফটি তুলে নেন শাহরিয়ার। 

দলীয় ১৪৮ রানের মাথায় শাহরিয়ার ৬৯ রান করে ফেরার পর বেশি কিছু করতে পারেননি মাজ আহমেদ সাদাকাত, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আসিফ আহমেদ রাতুলরা।  

১৭১ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় সিটি ক্লাব। নবম উইকেটে ৫৬ বলে ৬১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে অবিশ্বাস্য জয় এনে রবিউল ও ইফরান।  

রবিউল ৩২ ও ইফরান ৩১ রান করেন।  

রূপগঞ্জ টাইগার্সের পক্ষে তেমন বড় ইনিংস খেলতে পারেননি কেউই। ইমরানুজ্জামান ৫ চার ও ১ ছয়ে করেন ৫০ বলে ৪৩ রান।  মুমিনুল হক, নাঈম ইসলামরা ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেননি। 

ছয় নম্বরে নেমে ১টি করে চার-ছয়ে ৫৯ বলে ৩৯ রান করেন শামীম হোসেন। শেষ দিকে আলাউদ্দিন বাবুর ১ চার ও ৩ ছয়ে ২৮ বলে ৩৭ রানের ইনিংসে দুইশ পেরোয় দলীয় সংগ্রহ।  

সংক্ষিপ্ত স্কোর: 

রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব: ৫০ ওভারে ২৩১/৮ (ইমতিয়াজ ১২, ইমরানুজ্জামান ৪৩, মুমিনুল ২১, নাঈম ইসলাম ২৩, অঙ্কিত ২৬, শামিম ৩৯, নাঈম হাসান ১৫, আলাউদ্দিন ৩৭, নাসুম ২*, হাসান ২*; রবিউল ১০-১-৫৪-২, আসিফ হাসান ১০-০-৩৯-১, মাজ ৪-০-২৫-০, ইফরান ৭-০-৫০-১, ইফতেখার ১০-২-৩২-১, রাফসান ৫-০-১৯-২, মইনুল ৪-০-৯-১) 

সিটি ক্লাব: ৫০ ওভারে ২৩২/৮ (মইনুল ২১, তৌফিক ৫, শাহরিয়ার ৬৯, রাফসান ২৩, মাজ ৩, মামুন ১৫, আসিফ আহমেদ ৮, ইফতেখার ০, রবিউল ৩২*, ইফরান ৩১*; নাসুম ১০-০-৩৬-২, হাসান ১০-১-৫০-২, নাঈম হাসান ১০-০-৪৮-২, সানজামুল ১০-০-৪৩-১, আলাউদ্দিন ৭-০-৩৮-০, নাঈম ইসলাম ১-০-৩-০, মুমিনুল ২-০-৭-১) 

ফল: সিটি ক্লাব ২ উইকেটে জয়ী 

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: রবিউল হক