বাদ পড়ার পর আবারও কিছু না করেই হুট করে বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
Published : 14 Sep 2022, 08:58 PM
জিম্বাবুয়ে সফরে তেমন কিছু করতে না পারায় বাদ পড়েন এশিয়া কাপের দল থেকে। মাঝের সময়ে ছিল না কোনো খেলা, স্বাভাবিকভাবে তাই কিছু করার সুযোগও হয়নি নাজমুল হোসেন শান্তর। তবুও বাঁহাতি এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান জায়গা পেয়ে গেলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে। তাকে নেওয়ার পেছনে যুক্তি হিসেবে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন বললেন, বিপিএলের পারফরম্যান্সের কথা।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ পরিবর্তনের পথে হাঁটা শুরু করলে দলে ফেরেন শান্ত। গত নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে করেন মোটে ৫২ রান, একবারই স্পর্শ করতে পারেন দুই অঙ্ক। খেলেন ৪০ রানের ইনিংস।
বিবর্ণ এই পারফরম্যান্সে জায়গা হয়নি আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পরের দুটি সিরিজে। জুলাই-অগাস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচে করেন ৭২ রান। প্রথম ম্যাচে ২৫ বলে করেন ৩৭, ৯ ম্যাচের ছোট্ট ক্যারিয়ারে যা তার সবচেয়ে আগ্রাসী ইনিংস। পরের দুই ম্যাচে ২১ বলে করেন অপরাজিত ১৯ এবং ২০ বলে ১৬।
ছয় ম্যাচের সাদামাটা এই পারফরম্যান্সে নিজের দাবি জানাতে পারেননি শান্ত। তাই জায়গা পাননি এশিয়া কাপের দলে। সেখানে আবারও হুট করে তার বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়াটা অবাক করারই বটে। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার দল ঘোষণার সময় তার ব্যাখ্যা দিলেন মিনহাজুল।
“শান্তকে নিয়ে অনেক কিছু আলোচনা হয়েছে। অনেক বিশ্লেষণ করা হয়েছে ব্যাক আপ একটা ওপেনারের জন্য। যেটা বললাম, সবার সঙ্গে আলোচনা করে সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত এসেছে। এখানে কারও দ্বিমত থাকেনি।”
“আপনি বিপিএলের রেকর্ড দেখুন শান্তর। ঘরোয়া যে কজন ক্রিকেটার আছেন, তাদের মধ্যে ওর পারফরম্যান্স খারাপ নয়। রেকর্ড দেখুন, বিপিএলে স্থানীয় ক্রিকেটারদের যে কয়েকটি সেঞ্চুরি হয়েছে, শান্তরই করা। সে হিসেবে যদি চিন্তা করেন, ঘরোয়া রেকর্ড ওর খুব একটা খারাপ নয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই সংস্করণে আমরা সবাই ভুগছি। যেহেতু সবাই ধুঁকছে… টিম ম্যানেজমেন্টের একটা মতামত আছে, নির্বাচক প্যানেলের আছে, সবার সম্মতিক্রমেই সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
বিপিএলে চারটি দলের হয়ে ৫৬ ম্যাচ খেলা শান্ত এক সেঞ্চুরি ও দুই ফিফটিতে করেছেন ১ হাজার ২১ রান। গড় ২২.১৯, স্ট্রাইক রেট ১১৫.৪৯। সর্বোচ্চ খুলনা টাইগার্সের হয়ে অপরাজিত ১১৫।
এই টুর্নামেন্টে স্থানীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি- দুটি সেঞ্চুরি তামিম ইকবালের। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরিও বাঁহাতি এই ওপেনারের।
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ৯৫ ম্যাচে শান্তর রান ১ হাজার ৮৯৬। দুই সেঞ্চুরির পাশে তার ফিফটি ছয়টি।