লোকভর্তি ঘরেও নিঃসঙ্গ বোধ করেছেন কোহলি

মানসিক সুস্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিতে বললেন ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 August 2022, 10:20 AM
Updated : 18 August 2022, 10:20 AM

ভারতীয় ক্রিকেটে ফিটনেসের আলাদা মানদণ্ড তৈরি করেছেন বিরাট কোহলি। শারীরিকভাবে ফিট থাকা নিয়ে বেশ উচ্চকিত দেখা যায় তাকে। একজন ক্রীড়াবিদের জন্য যে মানসিক সুস্বাস্থ্যও গুরুত্বপূর্ণ, তা মনে করিয়ে দিলেন ভারতের এই সাবেক অধিনায়ক।

সময়ের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন কোহলি। তার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে অসংখ্য রেকর্ড-কীর্তি। ভারতের অনেক জয়ের নায়ক তিনি। সাফল্যমণ্ডিত ক্যারিয়ারে এখন অবশ্য কিছুটা ভাটার টান। নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারছেন না তিনি।

প্রত্যাশার চাপ, খারাপ সময়ের মধ্যে থাকা, যে কোনো ক্রিকেটারকে যে মানসিকভাবে দুর্বল করে দিতে পারে, খুব ভালোভাবেই জানেন কোহলি। নিজের ক্যারিয়ার জুড়েই মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে তাকে। দা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া বুধবারের সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে কথা বললেন; বাতলে দিলেন উত্তরণের পথ।

“ব্যক্তিগতভাবে আমার এই অভিজ্ঞতাও হয়েছে, এমনকি যখন আমি লোকভর্তি ঘরে আছি, যে লোকগুলো আমাকে সমর্থন করে এবং ভালবাসে, কিন্তু আমি একাকী বোধ করছি। এবং আমি নিশ্চিত যে, এই অনুভূতি আরও অনেক মানুষেরই হয়েছে।”

“তখন নিজের জন্য সময় বের করতে হবে এবং নিজের ভেতরের মূল সত্ত্বার সঙ্গে পুনরায় সংযোগ স্থাপন করতে হবে। যদি সেই সংযোগ হারিয়ে যায়, তাহলে নিজের চারপাশের বাকিসব ভেঙে যেতে খুব বেশি সময় লাগবে না।”

ক্রিকেট থেকে আপাতত বিশ্রামে আছেন কোহলি। সবশেষ খেলেছেন গত জুলাইয়ে, ইংল্যান্ড সফরে। ভারতের হয়ে তাকে আবার মাঠে দেখা যাবে আসছে এশিয়া কাপে।

মাঠে কিংবা মাঠের বাইরে, একজন ক্রীড়াবিদকে মানসিকভাবে চাপে থাকতে হয় বেশিরভাগ সময়ই। কোহলি মনে করেন, এতে ভেঙে পড়তে পারেন যে কেউ। তাই তার পরামর্শ, ফিটনেসের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও মনোযোগ দেওয়া।

“একজন অ্যাথলেটের ক্ষেত্রে, খেলোয়াড় হিসেবে খেলাটি তার সেরাটা বের করে আনতে সক্ষম, কিন্তু একই সঙ্গে ক্রমাগত যে পরিমাণ চাপের মধ্যে থাকতে হয়, তা তার মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা যত বেশি দৃঢ় থাকার চেষ্টা করি, এটা আমাদের আরও ধ্বংস করে দিতে পারে।”

“উচ্চাকাঙ্ক্ষী অ্যাথলেটের জন্য আমার পরামর্শ হবে, হ্যাঁ, শারীরিক সুস্থতা এবং সতেজ থাকার ওপর মনোনিবেশ করা একজন ভালো অ্যাথলেট হওয়ার মূল চাবিকাঠি। কিন্তু একই সময়ে ভেতরের সত্ত্বার সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে যোগাযোগ রাখাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”