Published : 22 Jul 2023, 09:58 PM
বাংলাদেশে ছেলেদের ক্রিকেটে জাতীয় দল তো বটেই, বয়সভিত্তিক পর্যায়ের ক্রিকেটাররাও অল্পে পেয়ে যান তারকাখ্যাতি। মাঠের বাইরে কখনও তাদের কাছে পেলে উৎসুক জনতার ভিড় দেখা যায় প্রায় নিয়মিতই। নারী ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে বাস্তবতা ভিন্ন। জাতীয় দলে দীর্ঘ দিন ধরে খেলা ক্রিকেটারকে ঘিরেও জমে না কোনো ভিড়, থেকে যান তারা আলোর বাইরেই।
তবে ভারতের বিপক্ষে দারুণ সিরিজ কাটানোর পর পরিস্থিতি বদলানোর আশা মেয়েদের অধিনায়ক নিগার সুলতানার। এটিকে বাংলাদেশ নারী দলের জন্য সম্মানজনক একটি ধাপ এগোনো হিসেবে দেখছেন তিনি।
নিগারের আশানুযায়ী পরিস্থিতি বদলানোর ছাপ অবশ্য ছিল শনিবার সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচেই। শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন দেখা গেছে আগের দুই ম্যাচের চেয়ে তুলনামূলক বেশি দর্শক। যারা ম্যাচজুড়েই আনন্দ-উৎসবে সমর্থন দিয়ে গেছেন।
এই বদলের কারিগর নিগার, ফারজানা হকরাই। আইসিসি উইমেন’স চ্যাম্পিয়নশিপের সিরিজে ভারতের সঙ্গে সমানে-সমান লড়াই করে শিরোপা ভাগাভাগি করেছেন তারা। আগের ছয় ম্যাচে অপরাজিত থাকা ভারত এই সিরিজেই পেয়েছে প্রথম পরাজয়ের তিক্ততা।
শনিবার সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে স্নায়ু লড়াইয়ে দারুণভাবে নিজেদের মেলে ধরে বাংলাদেশ। হারের দুয়ার থেকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে অবিশ্বাস্যভাবে ‘টাই’ করে মাঠ ছাড়ে তারা।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সিরিজ জিততে না পারার আক্ষেপ থাকলেও দলকে নিয়ে গর্ব ফুটে ওঠে নিগারের কণ্ঠে। পাশাপাশি সবার কাছ থেকে সাড়া পেয়ে অভিভূত তিনি।
“একটু আনন্দিত। তবে আমি বলব, আরেকটু ভালোভাবে শেষ হলে উদযাপনটা আরও ভালো করতে পারতাম। তবে এখনও আমার কাছে মনে হয়, বিসিবি থেকে আমরা যে ইতিবাচক কথা শুনেছি। তারা এসেছেন, খেলা দেখেছেন। দর্শকরা এসেছেন। আপনারা (সংবাদমাধ্যম) এসেছেন, যেভাবে আমাদের প্রচার করছেন, সব কিছু মিলিয়ে আমি খুশি।”
সিরিজে ব্যাট হাতে এক সেঞ্চুরিসহ সর্বোচ্চ ১৮১ রান করেন ফারজানা হক। বোলিংয়ে ৭ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে মারুফা আক্তার। শেষ ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ৩টিসহ তিন ম্যাচে ৬ উইকেট শিকার নাহিদা আক্তারের।
ভারতের মতো প্রতিষ্ঠিত শক্তির বিপক্ষে এমন পারফরম্যান্সের পর বাংলাদেশ অধিনায়কের আশা, ধীরে ধীরে গণমানুষের কাছে চেনা মুখে পরিণত হবেন দলের ক্রিকেটাররা।
“আমি সবসময় চেয়েছি, এই দলটা যেন একটা ধাপ এগিয়ে যায়। আমি বলব, আমরা একটা সম্মানজনক ধাপ এগোলাম। অনেকেই ছিল যারা আমাদেরকে চেনে না, দুই-একজনকে ছাড়া। এখন অন্তত বলতে পারবে, নাহিদা কে, (ফারজানা হক) পিঙ্কি কে, মারুফা কে। তো আমার মনে হয়, এটাই একটা অর্জন। কারণ বাংলাদেশের মানুষ এখন জানে, মেয়েদের দলে কারা কারা খেলছে।”